Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

‘বীর বাল দিবস’ পালন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

‘বীর বাল দিবস’ পালন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নতুন দিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির ভারত মন্ডপমে ‘বীর বাল দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সামনে আবৃত্তি পরিবেশন এবং মার্শাল আর্ট প্রদর্শন করে শিশুরা। এই উপলক্ষে দিল্লিতে তরুণদের এক কুচকাওয়াজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ বীর সাহিবজাদার আত্মত্যাগকে স্মরণ করছে এবং আজাদি কা অমৃতকালে ‘বীর বাল দিবস’ প্রেরণার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। গত বছর একই দিনে প্রথম বীর বাল দিবস উদযাপনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয়ত্ব রক্ষায় এই দিনটি হার না মানা মানসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শৌর্য প্রদর্শনের কোনো বয়স হয় না।” তিনি আরও বলেন, বীর বাল দিবস হল, মায়েদের প্রতি জাতীয় শ্রদ্ধা, যাঁরা অতুলনাীয় সাহসের অধিকারী সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং গ্রিসেও বীর বাল দিবস সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। চমকৌর এবং শিরহিন্দ যুদ্ধের অতুলনীয় ইতিহাসের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ইতিহাস কখনো ভোলা যাবে না। কীভাবে ভারতীয়রা নিষ্ঠুরতা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন, সেকথাও স্মরণ করেন শ্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যখন আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ববোধ করছি, তখন গোটা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটছে। তিনি বলেন, আজকের ভারত দাসত্বের মানসিকতা কাটিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। আজকের ভারতে সাহিবজাদাদের আত্মত্যাগ প্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব আজ সম্ভাবনার অগ্রগণ্য দেশগুলির মধ্যে ভারতকেও স্থান দিয়েছে। অর্থনীতি, বিজ্ঞান, গবেষণা, ক্রীড়া ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। তাঁর কথায়, “এটাই হচ্ছে ভারতের সময়, আগামী ২৫ বছর ভারতের সক্ষমতার প্রদর্শন দেখা যাবে।”

অমৃতকালের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, বেশ কিছু বিষয়ের সন্নিবেশ ঘটেছে, যা ভারতের স্বর্ণযুগের গতিপথ নির্ধারণ করবে। ভারতের যুবশক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্ম দেশকে এক অকল্পনীয় উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২৫ বছর আমাদের যুব শক্তির জন্য ব্যাপক সম্ভাবনা নিয়ে আসবে। এলাকা বা সমাজ নির্বিশেষে যেখানেই তাদের জন্ম হোক না কেন, তাদের জন্য সীমাহীন স্বপ্ন থাকবে। এই স্বপ্ন পূরণে সরকার একটি স্পষ্ট রোড ম্যাপ তৈরি করেছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি, ১০ হাজার অটল টিঙ্কারিং ল্যাব এবং স্টার্টআপ সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করেন। মুদ্রা যোজনায় গরিব, পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ৮ কোটি নতুন শিল্পোদ্যোগীর কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। 

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে শ্রী মোদী বলেন, গ্রামাঞ্চলের মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকেই বেশিরভাগ অ্যাথলিট উঠে এসেছেন। তাঁদের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন, যার মাধ্যমে ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারতের লক্ষ্যের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এর ফলে তরুণরাই বেশি উপকৃত হবেন এবং এর অর্থ হল– উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সম্ভাবনা, চাকরি, উন্নত জীবনযাপন এবং উন্নত পণ্য। মাই ভারত পোর্টালে নাম নথিভুক্তির জন্য তিনি তরুণদের কাছে আর্জি জানান। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “দেশের তরুণ-তরুণীদের কাছে এটি একটি বড় মঞ্চ হয়ে উঠেছে।”

স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়ার জন্য তরুণদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে নিজেদের জন্য কিছু নিয়ম নীতি তৈরি করা এবং তা মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে ব্যায়াম, ডিজিটাল ডিটক্স, মানসিক সুস্থতা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং খাদ্যের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজে মাদকের বিপদ এবং এর বিরুদ্ধে দেশ ও সমাজকে একজোট হওয়ার ডাক দেন শ্রী মোদী। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার এবং বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে একজোট হয়ে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সমস্ত ধর্মীয় নেতাদের কাছে আবেদন জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গুরুরা ‘সব কা প্রয়াস’-এর যে শিক্ষা দিয়েছেন, তা উন্নত ভারত গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। 

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

PG/MP/SKD/