নয়াদিল্লি, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ‘প্রধানমন্ত্রী জনজাতি ন্যায় মহা অভিযান’-এ ছাড়পত্র দিয়েছে। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৪,১০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্র দেবে ১৫,৩৩৬ কোটি টাকা এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি দেবে ৮,৭৬৮ কোটি টাকা। ১১টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নয়টি মন্ত্রক জনকল্যাণমূলক নানান উদ্যোগ নেবে প্রকল্পটির আওতায়। জনজাতীয় গৌরব দিবসে খুঁটি থেকে প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন।
২০২৩-২৪ বাজেট ভাষণে বলা হয়েছে যে, বিশেষভাবে সঙ্কটাপন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী (পিভিটিজি)-গুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পিভিটিজি অভিযান-এর সূচনা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষভাবে সঙ্কটাপন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীভুক্ত পরিবারগুলির কাছে নিরাপদ আবাসন, পরিশ্রুত পানীয় জল ও শৌচ ব্যবস্থাপনা, উন্নতমানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক এবং টেলি-যোগাযোগ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রকল্পটির রূপায়ণে আগামী ৩ বছর তপশিলি উপজাতি বিকাশ কর্মপরিকল্পনার আওতায় ১৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।
২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী, ভারতে ১০.৪৫ কোটি আদিবাসীর বাস। এঁদের ৭৫টি গোষ্ঠীকে বিশেষভাবে সঙ্কটাপন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এঁরা ছড়িয়ে আছেন ১৮টি রাজ্য এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীগুলি অনেকটাই পিছিয়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আওতায় ৪.৯ লক্ষ পরিবারের জন্য পাকা বাড়ি, ৮ হাজার কিলোমিটার সড়ক, প্রতিটি পিভিটিজি পরিবারে নলবাহিত জল সংযোগ, ২০-র কম পরিবারের বাস এমন ২,৫০০টি গ্রামে জল সরবরাহের সুবন্দোবস্ত করা হবে। গড়ে তোলা হবে ২,৫০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বিভিন্ন গ্রামে তৈরি হয়ে উঠবে ৩ হাজার মোবাইল টাওয়ার।
এছাড়াও, আয়ুষ মন্ত্রক ঐ অঞ্চলগুলিতে আয়ুষ কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তুলবে। ভ্রাম্যমান যানে পরিবারগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে চিকিৎসা পরিষেবা। দক্ষতা বিকাশ এবং ঔদ্যোগিকতা মন্ত্রক ঐসব প্রান্তিক এলাকায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করবে।
PG/AC/DM/