নতুন দিল্লি, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে জনসংখ্যার ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত ডিজিটাল সমাধানগুলি বিনিময়ে সহযোগিতার বিষয়ে ভারত এবং সিয়েরা লিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটি অনুমোদন করেছে। চলতি বছরের ১২ জুন বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং সিয়েরা লিয়নের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রকের মধ্যে এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
এই সমঝোতাপত্রের লক্ষ্য হল দু’দেশের ডিজিটাল রূপান্তরমূলক উদ্যোগের বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাত্রা বাড়ানো এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাধানের (যেমন ইন্ডিয়া স্ট্যাক) মানোন্নয়ন ঘটানো। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার উপরেও এতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরের দিন থেকে তিন বছরের জন্য বলবৎ থাকবে।
ডিজিটাল জন পরিকাঠামো ক্ষেত্রে জি২জি এবং বি২বি – দুই ধরণের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাই আরও মজবুত করা হবে। দুই দেশের প্রশাসন এই উদ্যোগের জন্য নিয়মিত অর্থের যোগান দেবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময়ের হার বাড়াতে বিভিন্ন দেশের নানা সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বা সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করা হয়েছে। ভারত সরকার ডিজিটাল ক্ষমতাসম্পন্ন সমাজ ও জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিজিটাল ইন্ডিয়া, আত্মনির্ভর ভারত, মেক ইন ইন্ডিয়া-র মতো যেসব কর্মসূচি নিয়েছে, এই উদ্যোগ তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। ক্রম পরিবর্তনশীল এই সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাণিজ্যের সুযোগ অণ্বেষণ, মতবিনিময় ও ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আকর্ষণের আশু প্রয়োজন রয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে ভারত ডিজিটাল জন পরিকাঠামো রূপায়নের ক্ষেত্রে নেতৃত্বাস্থানীয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কোভিড অতিমারির সময়েও মানুষের কাছে বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর ফলস্বরূপ অনেক দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে এবং ভারতের সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরে আগ্রহী হচ্ছে।
ইন্ডিয়া স্ট্যাক সলিউশন হল ভারতের তৈরি ও বাস্তবায়িত ডিজিটাল জন পরিকাঠামো, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এর লক্ষ্য হল অর্থপূর্ণ যোগাযোগ গড়ে তোলা, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রচার এবং সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবার নাগাল পান তার ব্যবস্থা করা। এগুলি মুক্ত প্রযুক্তির ভিত্তিতে নির্মিত, সহজে পরিচালনা যোগ্য। শিল্পমহল ও সাধারণ মানুষ যাতে এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তা বিবেচনা করেই এটি গড়ে তোলা হয়েছে। এর অন্যতম লক্ষ্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। ডিজিটাল জন পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব কিছু চাহিদা ও সমস্যা থাকে। তবে, এর মূলগত কার্যধারা একই ধরণের, সেখানে বিশ্বজনীন সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে।
AC/SD/SKD