Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য নিয়ে টিম ইসরোর সামনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য নিয়ে টিম ইসরোর সামনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নমস্কার বন্ধুগণ,

আজ আমি আপনাদের সামনে এক নতুন ধরনের আনন্দ অনুভব করছি। সম্ভবত কেউ কোনো বিরল মুহূর্তে এ ধরনের আনন্দ অনুভব করে থাকেন। যখন মানুষের জীবনে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন তার মন পুরোপুরি আনন্দে ভরে ওঠে এবং তখন তিনি অস্থির হয়ে ওঠেন। একই ধরনের ঘটনা এই সময় আমার জীবনে ঘটেছে এবং আমি অত্যন্ত চঞ্চল হয়ে উঠেছিলাম। আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলাম। এরপর গ্রিসে এক কর্মসূচিতে অংশ নিই। আমি সেখানে থাকলেও, আমার মন পুরোপুরি আপনাদের দিকেই ছিল। কিন্তু কখনও কখনও আমার মনে হয় যে আমি আপনাদের প্রতি অন্যায় করেছি। আমার অস্থিরতা আপনাদের সমস্যায় ফেলেছে। এই সকালে আমি এখানে ছুটে এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের কুর্নিশ জানাতে। এটা আপনাদের অবশ্যই অসুবিধায় ফেলেছে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম, দেশের মাটিতে পা রাখা মাত্র আপনাদের মুখোমুখি হতে। আমি আপনাদের কঠির শ্রম, ধৈর্য, আবেগ, উদ্দীপনা এবং চেতনাকে কুর্নিশ জানাতে চাই। যে উচ্চতায় আপনারা দেশকে নিয়ে গেছেন, এটা খুব একটা সাধারণ সাফল্য নয়। এটি অসীম শূন্যে ভারতের বৈজ্ঞানিক সক্ষমতার নিদর্শন।

চাঁদে পা রেখেছে ভারত। আমরা আমাদের জাতির গর্বকে চাঁদে স্থাপন করেছি। আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছি, যেখানে আগে কেউ কখনও পৌঁছতে পারেনি। আমরা এমন কাজ করেছি, যা আগে কেউ করতে পারেনি। এটাই আজকের ভারত, নির্ভীক ভারত, যোদ্ধা ভারত। এই ভারত নতুন পথে ভাবে, বিশ্বে আলো ছড়ায়। ২১ শতকে এই ভারত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির সমাধান করবে। সেই দৃশ্য ভোলার নয়, যখন চাঁদের মাটি স্পর্শ করা মাত্র ইসরো সেন্টারে সবাই আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন, গোটা দেশবাসী ঊচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন! কিছু কিছু স্মৃতি চিরকাল থেকে যায়। এই মুহূর্ত চিরন্তন। এই শতকে ওই মুহূর্তটি অন্যতম সেরা অনুপ্রেরণাদায়ক মুহূর্ত হয়ে থাকবে। প্রত্যেক ভারতবাসী নিজের জয় অনুভব করেছেন, যেন তাঁরা কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় পাশ করেছেন! এমনকি আজও মানুষ অভিনন্দন জানাচ্ছেন এবং এটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের জন্যই। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা এটা সম্ভব করেছেন।

বন্ধুগণ,

অঙ্গদের মতো চাঁদের মাটিতে যেভাবে চন্দ্রযান পা রেখেছে, সেই ছবি আমি দেখেছি। একদিকে বিক্রমের বিশ্বাস, অন্যদিকে প্রজ্ঞানের সাহস। আমাদের প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে তার পদচিহ্ন রেখে চলেছে। বিভিন্ন ক্যামেরায় তোলা ছবি সবে আসতে শুরু করেছে। আমি সেগুলি দেখার সুযোগ পেয়েছি, এককথায় যা বিস্ময়কর। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই প্রথম, পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম, যেখানে মানুষ নিজের চোখে এই ছবিগুলি দেখতে পাচ্ছে এবং ভারত গোটা বিশ্বকে এই ছবিগুলি দেখাচ্ছে! আপনাদের মতো বিজ্ঞানীরাই এই কাজ করেছেন। আজ গোটা বিশ্ব বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের আধিপত্যকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। চন্দ্রযান মহা অভিযান শুধুমাত্র ভারতের সাফল্য নয়, এটি গোটা মানব সমাজের জয়। ওই অঞ্চলে আমাদের মিশন বিশ্বের অন্য দেশগুলির মিশনেও নতুন পথ খুলে দেবে। এটি শুধুমাত্র চাঁদের গোপন রহস্য উন্মোচন করবে না, এটি বিশ্বের নানা চ্যালেঞ্জের সমাধানে সহায়তা করবে। আমি আবার সব বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, ইঞ্জিনিয়ার এবং চন্দ্রযান অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আমার পরিবারের সদস্যগণ,

আপনারা সবাই জানেন, যে স্থানে মহাকাশ যান অবতরণ করে, সেখানকার নামকরণ করার একটি বৈজ্ঞানিক প্রথা চালু রয়েছে। আমাদের চন্দ্রযান যে পয়েন্টে অবতরণ করেছে, সেই স্থানটি এখন থেকে ‘শিবশক্তি’ নামে পরিচিত হবে। শিব হলেন মানুষের কল্যাণের প্রতীক এবং শক্তি আমাদের কাজ করার সক্ষমতা জোগায়। এটা বলা হয়ে থাকে যে, সৃষ্টি স্থিতি বিনাশনাং, শক্তিভূতে সনাতনি। অর্থাৎ সৃষ্টি থেকে ধ্বংস, গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নারী-শক্তির আধার। আপনারা আমাদের মহিলা বিজ্ঞানীদের ভূমিকার কথা জানেন, চন্দ্রযান-৩এ গোটা দেশ নারী-শক্তির ক্ষমতা দেখেছে। চাঁদের ‘শিবশক্তি’ পয়েন্ট বিজ্ঞানকে মানব কল্যাণে ব্যবহারের জন্য আমাদের আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। মানব কল্যাণ সাধনই আমাদের চূড়ান্ত অঙ্গীকার।

বন্ধুগণ,

চার বছর আগে চন্দ্রযান-২ চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তখন সেটি যেখানে পৌঁছেছিল, তার নামকরণ করার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু সেইসময় কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। সেসময় আমরা শপথ করেছিলাম চন্দ্রযান-৩ যখন সফল হবে চাঁদে পৌঁছবে, তখন আমরা দুটি পয়েন্টের নামকরণ করবো। আজ আমি অনুভব করছি দেশের প্রতিটি মানুষের মন তেরঙ্গার রঙে রঞ্জিত হয়ে উঠেছে। এই মূহূর্তে চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে যুক্ত পয়েন্টের নাম ‘তিরঙ্গা’র চেয়ে ভালো কী হতে পারে! এই তিরঙ্গা পয়েন্ট প্রত্যেক ভারতবাসীর প্রচেষ্টার প্রতীক হয়ে থাকবে। তিরঙ্গা পয়েন্ট আমাদের শিক্ষা দেবে, কোনো ব্যর্থতাই চূড়ান্ত নয়। কঠোর ইচ্ছাশক্তি থাকলে, সাফল্য আসতে বাধ্য।

বন্ধুগণ,

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ভারত। আমরা যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, তা ভাবতে গেলে এই সাফল্য বিস্ময়কর। এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের হাতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ছিল না এবং কোনোরকম সহায়তাও ছিল না। আমরা ‘তৃতীয় বিশ্ব’র দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলাম। সেখান থেকে ভারত আজ বিশ্বের পঞ্চম আর্থিক শক্তিধর দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাণিজ্য থেকে প্রযুক্তি আজ সব ক্ষেত্রে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। ‘তৃতীয় সারি’ থেকে ‘প্রথম সারি’তে উঠে আসার ক্ষেত্রে ইসরোর মতো সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আজ আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে আমি দেশবাসীর কাছে আপনাদের কঠোর কাজ সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। আপনাদের আমি যা বলেছি, সেটা আপনাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু দেশবাসীরও জানা উচিত, আপনারা কী করেছেন। দেশের দক্ষিণাংশ থেকে চাঁদের দক্ষিণ মেরু, চন্দ্রযানের এই অভিযান খুব একটা সহজ ছিল না। চাঁদের মাটিতে ‘সফট ল্যান্ডিং’-এর জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম চাঁদ তৈরি করেছেন। এই কৃত্রিম চাঁদে বিভিন্ন উপরিতলে বিক্রম ল্যান্ডারের অবতরণের পরীক্ষা চালানো হয়।

বন্ধুগণ,

আজ আমি দেখছি ভারতের তরুণ প্রজন্ম বিজ্ঞান, মহাকাশ এবং উদ্ভাবন নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহী। মহাকাশ মিশনে সাফল্যের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলযানের সাফল্য, চন্দ্রযানের সাফল্য, গগনযানের প্রস্তুতি দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার জন্ম দিয়েছে। আজ চন্দ্রযানের নাম ভারতের একটি ছোট শিশুও জানে। আজ ভারতের প্রত্যেকটি শিশু আপনাদের মধ্যে তাদের ভবিষ্যৎকে দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণে চাঁদে তেরঙ্গা উত্তোলনের মধ্যে আমাদের সাফল্য সীমাবদ্ধ নেই। আপনারা আরও একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছেন। সেই সাফল্য হল ভারতের গোটা প্রজন্মকে নতুন শক্তিতে উদ্দীপ্ত করা। শিশুমনে আপনারা আজ যে বীজ বপন করেছেন, আগামীদিনে তা বটবৃক্ষের চেহারা নেবে।

২৩ অগাস্ট চাঁদে তেরঙ্গা উড়িয়েছে ভারত। এখন থেকে ওই দিনটি জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসেবে উদযাপিত হবে। এখন থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের চেতনা নিয়ে দেশবাসী প্রতি বছর জাতীয় মহাকাশ দিবস উদযাপন করবেন এবং তা চিরকাল দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যাবে।

আমার পরিবারের সদস্যগণ,

আপনারা জানেন যে শুধুমাত্র উপগ্রহ উৎক্ষেপণ বা মহাকাশ অভিযান নয়, মহাকাশ ক্ষেত্রে আরও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এর অন্যতম বড় শক্তি হল, জীবনযাত্রার সরলীকরণ এবং প্রশাসন পরিচালনার কাজ সহজ করা। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনিক কাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে মহাকাশকে যুক্ত করা হয়েছে। যখন আপনারা আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার দিলেন, তখন আমি ভারত সরকারের যুগ্ম সচিব স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি কর্মশালা করি। এর উদ্দেশ্য ছিল, প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে মহাকাশ ক্ষেত্রকে যতটা বেশি সম্ভব কাজে লাগানো এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা। এর ফলশ্রুতি হিসেবে, দেশে যখন স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু হল, শৌচাগার নির্মাণ শুরু হল এবং কোটি কোটি ঘর-বাড়ি তৈরির প্রচারাভিযান শুরু হল, তখন এইসব কাজের ওপর নজরদারির ক্ষেত্রে মহাকাশ বিজ্ঞান ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিল।

আজ দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে শিক্ষা, যোগাযোগ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে মহাকাশ ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। এখন দেশে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ চলছে, প্রতিটি জেলায় অমৃত সরোবর তৈরি করা হচ্ছে। একমাত্র মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমেই এগুলির ওপর নজরদারি সম্ভব। মহাকাশ প্রযুক্তি ছাড়া আমরা টেলি-মেডিসিন এবং টেলি-শিক্ষার কথা কল্পনাও করতে পারি না। দেশের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও মহাকাশ বিজ্ঞান ব্যাপকভাবে সাহায্য করে চলেছে। প্রত্যেক কৃষক জানেন আবহাওয়া পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে মহাকাশ প্রযুক্তির সাহায্য প্রয়োজন। এখন একজন কৃষক মোবাইল ফোন থেকেই আগামী সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে পারেন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া, দেশে বন্যা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ভূমিকম্প সব ক্ষেত্রেই মহাকাশ প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে। যখন কোন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে, তখন উপগ্রহের মাধ্যমে আমরা এই ঝড়ের গতিপথ, সময় এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আগাম তথ্য জানতে পারি। সে অনুযায়ী জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বন্ধুগণ,

আপনারা ছাড়াও দেশের তরুণ প্রজন্মকে আমি আলাদাভাবে আরও একটি কাজ দিতে চাই। আপনারা জানেন, হাজার হাজার বছর আগে ভারত মহাকাশ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছিল। আমাদের আর্যভট্ট, ব্রহ্মগুপ্ত, বরাহমিহির এবং ভাস্করাচার্য শত শত বছর আগে গবেষণার পরম্পরা তৈরি করে গেছেন।

বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং গবেষকদের সামনে দুটি দায়িত্ব রয়েছে। দাসত্বের দীর্ঘ পর্বে ভারতের বিজ্ঞান ভাণ্ডারকে ধ্বংস করা হয়েছিল। আজাদি কা অমৃতকালে আমাদের সেই ভাণ্ডার খুঁজে বের করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে হবে এবং গোটা বিশ্বকে সে সম্পর্কে জানাতে হবে। দ্বিতীয় দায়িত্বটি হল, আধুনিক বিজ্ঞান, আধুনিক প্রযুক্তিকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করতে হবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে। ভারতে আপনাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাচ্ছে। ২১ শতকে দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি লাভ করেছে, আগামীদিনে তা আরও এগিয়ে যাবে।

বন্ধুগণ,

এখন বড় বড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক বছরে ভারতের মহাকাশ শিল্প ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা মহাকাশ ক্ষেত্রে ক্রমাগত সংস্কার করে চলেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মও উদ্দীপ্ত হচ্ছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, গত চার বছরে মহাকাশ ক্ষেত্রে স্টার্টআপের সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে ১৫০ হয়েছে। কয়েকদিন পর পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের চন্দ্রযান মিশন নিয়ে দেশজুড়ে এক বৃহৎ ক্যুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হতে চলেছে। এতে বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণের জন্য আমি ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

আমার পরিবারের সদস্যগণ,

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আপনাদের পরামর্শ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনারা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন নিয়ে কাজ করছেন এবং আগামী প্রজন্ম এই মিশনগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারা তাদের কাছে আদর্শ স্বরূপ। আপনাদের গবেষণা এবং বছরের পর বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম প্রমাণ করেছে যে, আপনারা যে সিদ্ধান্ত নেন তা আপনারা করে দেখান। দেশের মানুষের আপনাদের ওপর পুরোপুরি আস্থা রয়েছে। কাজের মধ্যে দিয়ে আপনারা সেই আস্থা অর্জন করেছেন। গোটা দেশবাসীর আশীর্বাদ আপনাদের ওপর রয়েছে। এই আশীর্বাদ এবং আপনাদের নিষ্ঠা আগামীদিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতকে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে পৌঁছে দেবে এবং আমি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের বলতে পারি, যে চেতনা নিয়ে আমরা উদ্ভাবন করে চলেছি, তা ২০৪৭-এ উন্নত ভারতের স্বপ্নকে পূর্ণ করবে।
ভারত মাতা কি জয়,
ভারত মাতা কি জয়,
ভারত মাতা কি জয়,

ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি দিয়েছেন হিন্দিতে।