Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি শিখর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি শিখর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নয়াদিল্লি, ২৪ মার্চ, ২০২৩

আজ বারাণসীতে রুদ্রাক্ষ কনভেশন সেন্টারে ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি’ শিখর সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েত স্তরে উদ্যোগ, দেশজুড়ে সরকারিভাবে স্বল্পকালীন যক্ষ্মা প্রতিরোধ চিকিৎসা এবং যক্ষ্মার জন্য পরিবার-কেন্দ্রিক তত্ত্বাবধান মডেলের সূচনা ও ২০২৩-এর ভারতের বার্ষিক যক্ষ্মা রিপোর্টের প্রকাশ করেন তিনি। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চহারে রোগ দমন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং বারাণসীতে মেট্রোপলিটন জনস্বাস্থ্য নজরদারি কেন্দ্র গড়ে তোলার স্থানেরও উদ্বোধন করেন তিনি। শ্রী মোদী সফল কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলাকে যক্ষ্মা নির্মূল করার কাজে তাদের অগ্রগতির জন্য পুরস্কৃতও করেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল – কর্ণাটক এবং জম্মু ও কাশ্মীর এবং জেলাস্তরে নীলগিরি, পুলওয়ামা ও অনন্তনাগ পুরস্কৃত হয়েছে।

স্টপ টিবি-র কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ডঃ লুসিকা ডিটিও বলেন, বিশ্বের হাজার হাজার বছরের প্রাচীন রোগ অর্থাৎ, যক্ষ্মা নিয়ে আলোচনার জন্য পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন শহর বারাণসীতে এই শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা প্রচুর হলেও সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা, লক্ষ্য এবং উন্নত রূপায়ণ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হচ্ছে। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বে বিশ্বকল্যাণ ক্ষেত্র বিশেষভাবে আদৃত হচ্ছে জানিয়ে ‘এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য’ – এই বিষয়ের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করতে ভারত তার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারাণসীর সাংসদ হিসেবে ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি’ শিখর সম্মেলন এখানে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আনন্দিত। শ্রী মোদী বলেন, কাশী শহর এক চিরন্তন প্রবাহের মতো এবং হাজার হাজার বছর ধরে মানবতার নিরলস সেবায় ব্যাপৃত। ‘সবকা প্রয়াস’-এর লক্ষ্যে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে কাশী সব সময়েই নতুন পন্থা সৃষ্টি করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দেশ হিসেবে সমগ্র ধরিত্রীকে এক করে নেওয়ার লক্ষ্যে ভারতের ভাবধারায় ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর প্রকাশ ঘটে। এই প্রাচীন আদর্শ আজকের উন্নত বিশ্বে এক সম্মিলিত দিশা এবং সমন্বিত সমাধানের পথ দেখিয়েছে। এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বে ‘এক পরিবার, এক পৃথিবী, এক ভবিষ্যৎ’ – এই থিমকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বজুড়ে ‘এক পৃথিবী এক স্বাস্থ্য’ – এই ভাবধারার লক্ষ্যে ভারত এগিয়ে চলেছে এবং ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি’ শিখর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের উন্নতিকল্পে প্রস্তাবগুচ্ছের সফল রূপায়ণ ঘটানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে যক্ষ্মা রোগীদের শনাক্ত করতে ভারত যেভাবে নিজেকে নিয়োজিত করেছে, এই দায়বদ্ধতা ও সঙ্কল্প নজিরবিহীন। ভারতের এই প্রয়াস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যক্ষ্মাকে ঘিরে বিশ্বযুদ্ধের এক নতুন মডেল গড়ে তোলা হচ্ছে। বিগত ৯ বছরে যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে বহুবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জন-ভাগীদারি, পুষ্টির উন্নতিসাধন, নিরাময়ের উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি সংযোগ এবং ‘ফিট ইন্ডিয়া’, যোগ, ‘খেলো ইন্ডিয়া’র মতো কল্যাণমূলক এবং রোগ প্রতিরোধকারী ব্যবস্থার উল্লেখ করেন তিনি।

জন-ভাগীদারির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিক্ষয় মিত্র অভিযান’ যক্ষ্মা রোগীদের সাহায্যার্থে নেওয়া হয়েছে। ১০ লক্ষ যক্ষ্মা রোগীর দায়ভার জনসাধারণ নিয়েছেন এবং ১০ থেকে ১২ বছরের ছেলে-মেয়েরাও এই মহান লক্ষ্যে সামিল হয়েছে। এই কর্মসূচির অধীন যক্ষ্মা রোগীদের আর্থিক সাহায্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই আন্দোলনকে উৎসাহজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী ভারতীয়রা এতে যোগ দেওয়ায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিক্ষয় মিত্র অভিযান’ এক্ষেত্রে যক্ষ্মা রোগীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। শ্রী মোদী আরও বলেন, যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০১৮ সালে সরকার প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের যে প্রকল্প ঘোষণা করেছিল তাতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ৭৫ লক্ষ যক্ষ্মা রোগী উপকৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিক্ষয় মিত্র’ সমস্ত যক্ষ্মা রোগীকে এক নতুন উৎসাহ যোগাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অচল পন্থার মাধ্যমে এই নতুন সমাধানসূত্রে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তিনি বলেন যে যক্ষ্মা রোগীরা যাতে চিকিৎসা পরিষেবার বাইরে না থাকেন সেজন্য সরকার নতুন কৌশল নির্ণয় করেছে। যক্ষ্মা রোগীদের শনাক্তকরণ এবং তাঁদের চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে নতুন নতুন পরীক্ষাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং এলাকাভিত্তিক কর্মনীতি রূপায়ণ করা হচ্ছে সেইসব শহরগুলির দিকে লক্ষ্য রেখে যেখানে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেশি। তিনি জানান, যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েত অভিযানের আজ সূচনা করা হচ্ছে। ছ’মাসের জায়গায় যক্ষ্মা প্রতিরোধে তিন মাসের চিকিৎসা কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। তিনি জানান, আগে যক্ষ্মা রোগীদেরকে ছ’মাসের জন্য প্রতিদিন ওষুধ নিতে হত কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় রোগীরা সপ্তাহে একদিন ওষুধ নিলেই হবে।

যক্ষ্মামুক্ত ভারত অভিযানের লক্ষ্যে প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। এক্ষেত্রে ‘নিক্ষয়’ পোর্টাল এবং ডেটা বিজ্ঞানের ব্যবহারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, ডব্লিউএইচও ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রক – আইসিএমআর আঞ্চলিক স্তরে এই রোগের নজরদারির এক নতুন পন্থা বের করেছে। ভারতই এক্ষেত্রে এক অনন্য নিদর্শন সৃষ্টি করেছে।

যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এবং কর্ণাটক ও জম্মু-কাশ্মীর সফল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যক্ষ্মা নির্মূল করার জন্য বিশ্বস্তরে যখন ২০৩০-কে লক্ষ্য রাখা হয়েছে, তখন ভারত সেখানে ২০২৫-এর মধ্যেই একে নির্মূল করতে চায়। অতিমারীর সময় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং দক্ষতা বৃদ্ধির যে প্রসার ঘটানো হয়েছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে রোগীকে খুঁজে বের করা, পরীক্ষা করা, রোগ নির্ধারণ করা, তাঁর সুশ্রুষা এবং এক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে সর্বাধিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি জানান, ভারতের আঞ্চলিক স্তরের এই কর্মপ্রচেষ্টা বিশ্বের কাছে বড় সুযোগ এনে দেবে। বিশ্বের সমস্ত দেশকে যৌথভাবে এই প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শ্রী মোদী বলেন, যক্ষ্মার চিকিৎসার ৮০ শতাংশ ওষুধই ভারতে তৈরি হয়। এই অভিযান, উদ্ভাবন ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেক দেশই উপকৃত হতে পারে। এই শিখর সম্মেলনে যুক্ত সমস্ত দেশগুলি ‘আমরা যক্ষ্মাকে নির্মূল করতে পারি’ – এই সঙ্কল্পকে সম্পূর্ণ রূপ দিতে একটি কর্মকৌশল তৈরি করতে পারে।

কুষ্ঠ নির্মূল করতে মহাত্মা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তিনি বলেন, আমেদাবাদে কুষ্ঠ রোগীদের এক হাসপাতালের উদ্বোধন করার জন্য গান্ধীজিকে যখন ডাকা হয়, তখন তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত মানুষদেরকে বলেন যে এই দরজায় তালা লাগানো দেখতে পেলে তিনি খুশি হবেন। প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, দশকের পর দশক ধরে হাসপাতালগুলি একইরকমভাবে চলেছে কিন্তু কুষ্ঠ নির্মূল হয়নি। ২০০১ সালে যখন গুজরাটের মানুষ তাঁকে সেই সুযোগ দেন তখন কুষ্ঠ রোগের বিরুদ্ধে অভিযানে একটা নতুন মাত্রা সংযোজন করা হয়। গুজরাটে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জন-ভাগীদারি এবং সামাজিক সংগঠনগুলির ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, যক্ষ্মার ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য সম্পর্কেও তিনি অনুরূপ আশাবাদী। আজকের নতুন ভারত পরিগণিত হচ্ছে ‘লক্ষ্য পূরণ সম্ভব করছে’ হিসেবে। এক্ষেত্রে তিনি উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বন্ধ করার সাফল্যের কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন তিনি। সৌরশক্তি উৎপাদন এবং পেট্রোলে ইথানল মিশ্রণেরও উল্লেখ করেন তিনি। ভারতের জন-ভাগীদারির শক্তি সারা বিশ্বের আস্থাকে বাড়িয়ে চলেছে এবং এর মধ্য দিয়েই ভারতে যক্ষ্মার বিরুদ্ধে আন্দোলনে সাফল্য আসছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যক্ষ্মা রোগীদের রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে সকলকে প্রয়াসী হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

কাশীতে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিস্তার ঘটাতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া তার কথা শ্রী মোদী জানান। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর বারাণসী শাখার আজ উদ্বোধন হয়। জনস্বাস্থ্য নজরদারি ইউনিটও কাজ শুরু করেছে। তিনি জানান, বিএইচইউ-তে চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট, ব্লাড ব্যাঙ্কের আধুনিকীকরণ, আধুনিক ট্রমা সেন্টার, সুপার স্পেশালিটি ব্লক এবং পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য ক্যান্সার হাসপাতালে ৭০ হাজারেরও বেশি চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে। কোভিড চৌরা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, ডায়ালিসিসের সুবিধা, সিটি স্ক্যানের সুযোগ এবং কাশীর গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রসার ঘটছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। বারাণসীতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ১.৫ লক্ষেরও বেশি রোগী নিখরচায় চিকিৎসা পেয়েছেন এবং ৭০-এরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র থেকে মূল্যসাশ্রয়ী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।

ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যক্ষ্মা নির্মূল করার এই অভিযানে দেশ তার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। ভারত সব সময় অন্য দেশকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি। সকলের প্রয়াসের মধ্য দিয়ে যক্ষ্মার বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান সফল হবে। আমাদের আজকের এই প্রয়াস সুরক্ষিত ভবিষ্যতের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আগামী প্রজন্মের হাতে আমরা এক উন্নত বিশ্ব তুলে দিতে পারব বলে ভাষণ শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী আনন্দিবেন প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মাণ্ডব্য, উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ব্রিজেশ পাঠক, স্টপ টিবি-র কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ডঃ লুসিকা ডিটিউ অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

PG/AB/DM