Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের বঙ্গানুবাদ

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের বঙ্গানুবাদ


আমার বন্ধু মাননীয় ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযুষ গোয়েল

অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

টাটা ট্রাস্টস-এর চেয়ারম্যান শ্রী রতন টাটা

টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান শ্রী এন চন্দ্রশেখরন

এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও শ্রী ক্যাম্পবেল উইলসন

এয়ার বাসের সিইও গুইলোমি ফাউরি

সর্বপ্রথম আমি এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার বাসকে এই যুগান্তকারী সমঝোতার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় আমি তাঁকে সবিশেষ ধন্যবাদ জানাই।

এই চুক্তি ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে গভীর সম্পর্কের এক সাক্ষ্য স্বরূপ। এর পাশাপাশি ভারতীয় অসামরিক পরিবহণ শিল্পের সাফল্য ও উচ্চাকাঙ্খার এটা এক নমুনা। আজ ভারতের উন্নয়নের সঙ্গে অসামরিক পরিবহণ ক্ষেত্র অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অসামরিক পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা আমাদের জাতীয় পরিকাঠামো কৌশলের এক গুরুত্বপূ্র্ণ দিক। বিগত ৮ বছরে ভারতে বিমান বন্দরের সংখ্যা ৭৪ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৭ হয়েছে। বৃদ্ধির হার এক কথায় দ্বিগুণ। আমাদের আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রকল্প (উড়ান)-এর মধ্যে দিয়ে দেশের প্রান্তিক এলাকাগুলিকে বিমান সংযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে যার মধ্যে দিয়ে জনসাধারণের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিকাশ প্রসারলাভ করছে।

ভারত শীঘ্রই বিমান ক্ষেত্রে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হয়ে উঠবে। বেশ কিছু সমীক্ষা থেকে মনে করা হচ্ছে আগামী ১৫ বছরে ভারতে ২ হাজারেরও বেশি বিমানের প্রয়োজন পড়বে। আজকের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করবে। ‘ভারতে তৈরি-বিশ্বের জন্য তৈরি’ ভারতের এই দৃষ্টিভঙ্গীর ফলে বিমান নির্মাণ ক্ষেত্রে অনেক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাচ্ছে। গ্রীন ফিল্ড এবং ব্রাউন ফিল্ড বিমান বন্দরের জন্য স্বয়ংক্রিয় পথে ১০০ শতাংশ বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের সংস্থান করা হয়েছে। ঠিক তার পাশাপাশি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং ওভারহল–এর জন্য ১০০ শতাংশ বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই সমগ্র এলাকায় রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং ওভারহল যাকে বলে এমআরও-র ক্ষেত্রে ভারত একটি হাব হয়ে উঠতে পারে। আজ বিশ্বের সমস্ত বিমান কোম্পানীগুলি ভারতে রয়েছে। আমি তাদের প্রত্যেককে এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার বাসের মধ্যে চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক। কয়েক মাস আগে ২০২২এর অক্টোবরে আমি ভদোদরায় প্রতিরক্ষা পরিবহণ এয়ারক্র্যাফ্ট প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। ২৫০ কোটি ইউরো ব্যয়ে এই প্রকল্প টাটা এবং এয়ার বাসের মধ্যে অংশীদারি ভিত্তিতে গড়ে উঠছে। আমি জেনে খুশি হলাম যে ফরাসী সংস্থা স্যাফ্রোঁ বিমান ইঞ্জিন পরিষেবার ক্ষেত্রে ভারতে সর্ববৃহৎ এমআরও সুবিধা গড়ে তুলছে।

আজ ভারত-ফ্রান্স সহযোগিতা আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং বহুস্তরীয় ব্যবস্থা ক্ষেত্রে সুস্থিতি এবং ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সুরক্ষা এবং সুস্থিতির প্রশ্নেই হোক অথবা বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা বা স্বাস্থ্য নিরাপত্তাই হোক ভারত এবং ফ্রান্স উভয়ে সদর্থক অবদান রেখে চলেছে।

রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ

আমার স্থির বিশ্বাস আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এ বছর আরও উন্নত শিখর স্পর্শ করবে। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার আরও অনেক সুযোগ আসবে। আপনাদের সকলকে আরও একবার অনেক অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে।