Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

৫,৯৪০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে ২৪৭ কিলোমিটার বরাবর জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী

৫,৯৪০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে ২৪৭ কিলোমিটার বরাবর জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের ২৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-দৌসা-লালসট সেকশনটি আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫,৯৪০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে ২৪৭ কিলোমিটার বরাবর জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পগুলির শিলান্যাসও করেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সড়ক সংযোগের একটি চালিকাশক্তি হিসেবে উন্নতমানের সড়ক পরিকাঠামো গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্বমানের এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নতুন ভারত গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়ে উঠবে।

এই উপলক্ষে এক সমাবেশে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্যায়টি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করে তিনি গর্বিত। কারণ, এটি হল বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উন্নতমানের মহাসড়কগুলির অন্যতম। উন্নত ভারতের এক বিশেষ চিত্র ফুটে উঠতে চলেছে এর মাধ্যমে।

শ্রী মোদী বলেন যে এই ধরনের আধুনিক সড়ক সংযোগ গড়ে ওঠার পাশাপাশি রেল স্টেশন, রেললাইন, মেট্রো ও বিমানবন্দরগুলি যখন নির্মিত হয় তখন জাতির উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এক নতুন উদ্যম সঞ্চারিত হয়। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রচেষ্টার সুফল যে সুদূরপ্রসারিত, একথারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৯ বছর যাবৎ কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামো খাতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে। প্রসঙ্গত রাজস্থানে মহাসড়ক নির্মাণে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান যে এ বছরের বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে সংস্থান রাখা হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকার যা কিনা ২০১৪-র তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। এই বিনিয়োগের ফলে রাজস্থানের দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত মানুষ যে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন, সেকথারও অবতারণা করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুফল প্রসারিত হয় দেশের সার্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেও। কারণ এর ফলে, সড়ক সংযোগের পাশাপাশি সুযোগ সৃষ্টি হয় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে মহাসড়ক, রেল, বন্দর, বিমানবন্দর, অপটিক্যাল ফাইবার, ডিজিটাল সংযোগ, পাকা বাসস্থান নির্মাণ, কলেজ ইত্যাদি গড়ে তোলার জন্য যখন বিনিয়োগ করা হয় তখন সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষেরই ক্ষমতায়ন ঘটে।

পরিকাঠামো উন্নয়নের আরও একটি সুফলের কথা ব্যাখ্যা করে শ্রী মোদী বলেন যে এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টাও উৎসাহিত হয়। দিল্লি-দৌসা-লালসট সড়কপথে দিল্লি ও জয়পুরের মধ্যে যাতায়াতের সময় যে অনেকটাই হ্রাস পাবে, একথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর বিভিন্ন স্থানে গ্রামীণ হাটও গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে স্থানীয় কৃষক ও শিল্পী-কারিগররা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হতে পারেন। তিনি বলেন, দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে রাজস্থানের পাশাপাশি দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রবাসীও বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। সেইসঙ্গে, সরিস্কা, কেওলাডিও জাতীয় উদ্যান, রনথম্বর এবং জয়পুরের মতো পর্যটন স্থানগুলি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

প্রসঙ্গত আরও তিনটি পরিকাঠামো প্রকল্পের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর মধ্যে একটিতে সরাসরি সংযুক্তি ঘটবে জয়পুরের। দ্বিতীয় প্রকল্পটির মাধ্যমে সংযোগ ঘটবে আলোয়ারের কাছে আম্বালা-কাটপুতলি করিডরটির। এর ফলে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলির অনেক সুবিধা হবে। এক্সপ্রেসওয়েটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টি হবে লালসট কারোলি সড়কটির।

প্রধানমন্ত্রীর মতে, দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর রাজস্থানের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে দুটি শক্তিশালী স্তম্ভ হয়ে উঠবে। ফলে, আগামীদিনে রাজস্থান সহ সমগ্র এলাকারই বিশেষ রূপান্তর ঘটতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এই দুটি সড়ক প্রকল্পের মাধ্যমে মুম্বাই-দিল্লি অর্থনৈতিক করিডরটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং ফ্রেট করিডরটির মাধ্যমে সড়ক সংযোগ ঘটবে রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন বন্দরের। শ্রী মোদী বলেন, এই সড়ক প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের ফলে দেশের সার্বিক পরিবহণ ব্যবস্থা যেমন উপকৃত হবে, তেমনই লাভবান হবে পরিবহণ সহ অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রগুলি।

দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’টি যে বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে একথার উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, সড়ক সংযোগকে আরও উন্নত করে তুলতে অপটিক্যাল ফাইবার এবং সেইসঙ্গে বিদ্যুতের লাইন ও গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজও যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। বাকি অংশে সৌরশক্তি সংস্থাপনের কাজ এবং গুদামঘর তৈরির কাজ চলবে বলে তিনি প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলে ভবিষ্যতে দেশের অনেকটাই ব্যয়সাশ্রয় ঘটবে।

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে রাজস্থান সহ দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্রটিকেই সম্বল করে আমরা এগিয়ে চলেছি। কারণ, সরকারের সঙ্কল্পই হল এক দক্ষ ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তোলা।

আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহণ ও মহাসড়ক দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি, জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৈলাস চৌধুরি, রাজস্থানের পূর্তমন্ত্রী শ্রী ভজনলাল জাঠব এবং অন্যান্য সাংসদরা।

PG/SKD/DM