দেশের তরুণ-তরুণী, উপস্থিত বিশিষ্ট জন এবং ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ! প্রথমেই ধনতেরস উপলক্ষে সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই। ধন্বন্তরী দেব আপনাদের সুস্থ রাখুন, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আপনাদের উপর বর্ষিত হোক! আমি ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনাই করি। আমি কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ দর্শন করে এলাম। তাই, আসতে একটু দেরী হ’ল। এর জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।
বন্ধুগণ,
ভারতের যুবশক্তির জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ৮ বছর ধরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং স্বনির্ভর হতে সাহায্য করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তারই একটি নতুন সংযোজন আজকের রোজগার মেলা। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আজ এই কর্মসূচির আওতায় ৭৫ হাজার তরুণ-তরুণীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গত ৮ বছরে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত দপ্তরের জন্য একবারে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার একটি রীতির সূচনা করব। সেই উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের নতুন প্রয়াস ‘রোজগার মেলা’।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভারত সরকার লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং এনডিএ শাসিত ও বিজেপি শাসিত রাজ্য এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে। আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীর, দাদরা-নগর হাভেলী ও দমন-দিউ এবং আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসন এই ধরনের অনুষ্ঠান করে হাজার হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবে। আজ যাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
দেশ যখন স্বাধীনতার অমৃতকালে প্রবেশ করছে, তখন আপনারা সবাই ভারত সরকারের কাজে যোগদান করতে চলেছেন। আমরা আত্মনির্ভর ভারতের পথে এগিয়ে চলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য উন্নত ভারত গড়া। আমাদের উদ্ভাবক, শিল্পপতি, কৃষক এবং উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সবকা প্রয়াস – এর ভাবনায় আমরা এগিয়ে চলব। ফলস্বরূপ, প্রত্যেক ভারতবাসী মৌলিক সুবিধাগুলি দ্রুত পাবেন এবং সরকারি প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে। গত ৭-৮ বছর ধরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বড় সড় পরিবর্তন নজরে আসছে। এরই অঙ্গ হিসাবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীকে নিয়োগ করা হবে। এর আগে আমরা দেখেছি, সরকারি কাজে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বহু মাস কেটে যেত। ফাইলগুলির উপর ধুলো জমতো, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দ্রুত কাজ করার মানসিকতা ও দক্ষতার কারণে কর্মযোগী হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আগে কেউ যদি সরকারের চাকরির জন্য আবেদন করতেন, তা হলে অনেক শংসাপত্র তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হ’ত। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের বাড়ির বাইরে সেই শংসাপত্র প্রত্যয়িত করার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়তো। আমরা সরকারের আসার পরই, যুবসম্প্রদায়কে এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়েছি। এখন যুবক-যুবতীরা নিজেদের শংসাপত্রগুলিকে নিজেরাই প্রত্যয়িত করতে পারেন। দ্বিতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি আমরা নিয়েছি, তা হ’ল – কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে ‘গ্রুপ – সি’ এবং ‘গ্রুপ – ডি’ পদে নিয়োগের জন্য আর ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে, লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী উপকৃত হয়েছেন।
বন্ধুগণ,
আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে ভারত আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা গত ৭-৮ বছরের মধ্যে দশম স্থান থেকে কয়েক ধাপ উঠে এসে পঞ্চম স্থানে পৌঁছেছি। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। অনেক উন্নত দেশই এখন আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের মতো সমস্যায় বহু দেশ জর্জরিত। বিগত ১০০ বছরের মধ্যে ঘটা সবচেয়ে বড় সমস্যার সমাধান যে ১০০ দিনে হবে না, তা ভারত সহ সারা বিশ্বই উপলব্ধি করতে পারে। যেহেতু সমস্যা ব্যাপক এবং সারা বিশ্ব জুড়ে তা অনুভূত হচ্ছে, কিন্তু এর মধ্যেও ভারত আন্তর্জাতিক সঙ্কট থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে এইসব সমস্যাগুলির সমাধান করতে ভারত প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পরীক্ষা – নিরীক্ষা চলছে। আপনাদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতার জন্য আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছি। গত ৮ বছরে বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে।
বন্ধুগণ,
কৃষি, বেসরকারি ক্ষেত্র, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প যাতে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে – আমরা সেই লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলছি। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। আজ আমরা যুবক-যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার মাধ্যমে দেশের শিল্প সংস্থাগুলির চাহিদা অনুযায়ী, যুবসম্প্রদায়কে প্রশিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ১ লক্ষ ২৫ লক্ষেরও বেশি যুবক-যুবতী স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়েছেন। দেশ জুড়ে দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। গত ৮ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ শিক্ষার জন্য বহু নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। আমরা যুবসম্প্রদায়ের কাছে মহাকাশ ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করেছি, ড্রোন নীতির সরলীকরণ ঘটিয়েছি – এসবের মাধ্যমেই দেশের যুবসম্প্রদায়ের কাছে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুযোগ খুব সীমিতভাবে পাওয়ার কারণে দেশে প্রচুর কর্মসংস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হ’ত। আমরা সেই বাধাও দূর করেছি। গ্রাম ও ছোট শহরগুলিতে মুদ্রা যোজনার পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। দেশে এর আগে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। যাঁরা এই ঋণ পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭.৫ কোটি মানুষ এই প্রথম ব্যবসা শুরু করেছেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল আমাদের মা-বোনেরা এই মুদ্রা যোজনার সুবিধা সবচেয়ে বেশি পাচ্ছেন – ৭০ শতাংশ। গত কয়েক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তাপুষ্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে ৮ কোটি মহিলা যোগদান করেছেন। এই মহিলারা এখন তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী দেশ জুড়ে বিক্রি করছেন এবং এর ফলে তাঁদের আয় বাড়ছে। বদ্রীনাথে গতকাল আমি স্ববনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েকজন মা-বোনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তাঁরা জানালেন, প্রচুর মানুষ বদ্রীনাথ দর্শন করায় এখন তাঁদের লাভও অনেকটাই বেড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা।
বন্ধুগণ,
গ্রামাঞ্চলে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টির আরেকটি উদাহরণ হ’ল – খাদি ও গ্রামোদ্যোগ শিল্প। প্রথমবারের মতো খাদি ও গ্রামোদ্যোগ শিল্পের ব্যবসা-বাণিজ্য ১ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে এই শিল্পে ১ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এর সুফল আমাদের বোনেরাই বেশি পেয়েছেন।
বন্ধুগণ,
দেশের যুবসম্প্রদায়ের সম্ভাবনার আরেকটি উদাহরণ স্টার্টআপ ইন্ডিয়া কর্মসূচি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র কয়েকশো স্টার্টআপ সংস্থা ছিল। আজ এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। আমাদের তরুণ সম্প্রদায় এই সময়কালে তাঁদের সংস্থায় হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন। আজ লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এইসব নতুন শিল্পোদ্যোগ বা স্টার্টআপ সংস্থায় কাজ করছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিতে কোটি কোটি মানুষ কাজে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে ৩ লক্ষ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ায় করোনা মহামারীর ফলে উদ্ভুত সঙ্কটের মধ্যেও দেড় কোটি চাকরি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এমএনআরইজিএ – এর মাধ্যমে কেন্দ্র ৭ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এই প্রকল্পে সম্পদ সৃষ্টি করার উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানের মাধ্যমে দেশ জুড়ে লক্ষ লক্ষ ডিজিটাল শিল্পোদ্যোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ৫ লক্ষেরও বেশি কমন সার্ভিস সেন্টারে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী কাজ পেয়েছেন। ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে।
বন্ধুগণ,
একবিংশ শতাব্দীর ভারতের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্প হ’ল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ আজ আমদানীকারকের পরিবর্তে রপ্তানীকারক হয়ে উঠছে। ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে গ্লোবাল হাব হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে। প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলারের মোবাইল ফোন রপ্তানী আমাদের নতুন সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে এসেছে। ভারত যখন তার সমস্ত পুরনো রপ্তানী রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে, তৃণমূল স্তরে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। আজ যানবাহন, মেট্রো রেল কোচ, সাধারণ ট্রেনের কোচ এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের রপ্তানী দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ জুড়ে এগুলি নির্মাণ কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আর যত কারখানা বৃদ্ধি পাবে, তত বেশি কাজের সুযোগ বাড়বে।
বন্ধুগণ,
আজ উৎপাদন ও পর্যটন ক্ষেত্র হ’ল এমন দুটি ক্ষেত্র, যেখানে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আজ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা যাতে ভারতে এসে তাদের ইউনিট খুলতে পারে এবং বিশ্বের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়, সেই দিকটি বিবেচনা করেবিভিন্ন পন্থা-পদ্ধতির সরলীকরণ করা হয়েছে। উৎসাহ-ভিত্তিক উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় সরকার নানা ধরনের ছাড় দিচ্ছে। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সরকারের এইসব উদ্যোগের ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। দু’দিন আগে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশে অগাস্ট মাসে প্রায় ১৭ লক্ষ কর্মী কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে যোগদান করেছেন। অর্থাৎ, তাঁরা দেশের সংগঠিত অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ লক্ষের বয়স ১৮-২৫ এর মধ্যে।
বন্ধুগণ,
পরিকাঠামো গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গেও দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, বিশ্ব জুড়ে যা স্বীকৃত। গত ৮ বছরে হাজার হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছে। রেলের বিভিন্ন শাখায় দ্বিতীয় লাইন, ব্রডগেজে পরিবর্তন এবং বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ হয়েছে। নতুন নতুন বিমানবন্দর গড়ে উঠেছে। রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের পাশাপাশি, নতুন জলপথ গড়ে তোলা হয়েছে। দেশ জুড়ে অপটিকাল ফাইবার ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। লক্ষ লক্ষ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। পিএম আবাস যোজনার মাধ্যমে ৩ কোটিরও বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশদে আমি আজ বিকেলে বলব। আজ ধনতেরস উপলক্ষে মধ্যপ্রদেশের সাড়ে চার লক্ষ ভাই-বোনেদের হাতে আমি বাড়ির চাবি তুলে দেব। আজ সন্ধ্যায় আমার ভাষণ শোনার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্র পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন। এই বিপুল উন্নয়নযজ্ঞে স্থানীয় স্তরে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই প্রকল্পগুলি আধুনিক পরিকাঠামো যেমন গড়ে তুলবে, পাশাপাশি পর্যটন ক্ষেত্রেও নতুন শক্তি যোগাবে। দেশ জুড়ে ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক স্থানগুলিকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে। এর ফলে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান সহ নানা সু্যোগ সৃষ্টি হবে। সার্বিকভাবে কেন্দ্র একসঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে কাজ করছে, যার ফলে আরও অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বন্ধুগণ,
দেশের যুবসম্প্রদায়কে আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে বিবেচনা করি। স্বাধীনতার অমৃতকালে উন্নত ভারত গড়ার মূল কারিগর আমাদের যুবসম্প্রদায়। আজ যাঁরা এখানে নিয়োগপত্র পেলেন, তাঁদের একটি বিষয় মনে রাখার জন্য অনুরোধ করব, যখনই অফিসে কাজ করতে ঢুকবেন, তখনই আপনার কর্তব্য পথ – এর কথা স্মরণ করবেন। জনসাধারণের সেবার জন্য আপনাদের নিয়োগ করা হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতে সরকারি পরিষেবা শুধুমাত্র একটি ব্যবস্থাপনা নয়, তা আসলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার। এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। পরিস্থিতি কতটা জটিল, সেটি বিচার্য বিষয় নয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমি নিশ্চিত যে, এই ভাবনায় আপনারা কাজ করবেন। মনে রাখবেন, আজ থেকে আপনাদের স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু হ’ল। উন্নত ভারত গড়ার মধ্য দিয়েই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে। নিয়োগপত্রের মাধ্যমে জীবনের যে নতুন অধ্যায় আপনাদের জন্য সূচিত হ’ল তার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি বিশ্বাস করি, একযোগে আমরা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্য সবধরনের উদ্যোগ নেব। আজ পবিত্র ধনতেরস। আমাদের দেশে এই উৎসবের বিশেষ মাহাত্ম রয়েছে। দিন কয়েক পরই দীপাবলি। উৎসবের এই আবহে আপনাদের হাতে এই নিয়োগপত্র আসায় আপনাদের কাছে উৎসব আরও রঙিন হয়ে উঠবে। এই সময়ে আপনারা সকলে এই সংকল্প নিন যে, দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন দেশকে আরও উন্নত আমরা করে তুলব। অমৃতকালের এই ২৫টি বছর আর আপনাদের জীবনের ২৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন, আমরা সকলে মিলে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন
Addressing the Rozgar Mela where appointment letters are being handed over to the newly inducted appointees. https://t.co/LFD3jHYNIn
— Narendra Modi (@narendramodi) October 22, 2022
PM @narendramodi begins his speech by congratulating the newly inducted appointees. pic.twitter.com/eX10PI5t9l
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
For fulfillment of the resolve of a developed India, we are marching ahead on the path of self-reliant India. pic.twitter.com/1NMP9RBCAj
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
The efficiency of government departments has increased due to the efforts of our Karmayogis. pic.twitter.com/yCwmHJPHFV
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
Today India is the 5th biggest economy. This feat has been achieved because of the reforms undertaken in the last 8 years. pic.twitter.com/3GYDrrgPf4
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
Skilling India's youth for a brighter future. pic.twitter.com/AmKKdu6EHw
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
Giving a boost to rural economy. pic.twitter.com/RnmXL3CtQG
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
StartUp India has given wings to aspirations of our country's youth. pic.twitter.com/RDpHKgLNr7
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
India is scaling new heights with @makeinindia and Aatmanirbhar Bharat Abhiyan. The initiatives have led to a significant rise in number of exports. pic.twitter.com/Q85KnZJFzF
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022
India's youth are our biggest strength. pic.twitter.com/ceHrHhcvkv
— PMO India (@PMOIndia) October 22, 2022