নয়াদিল্লি, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়!
সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়!
সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়!
মঞ্চে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, সব আওয়াধবাসী, দেশ এবং বিশ্বজুড়ে শ্রী রাম এবং শ্রী ভারতের সব পুণ্যার্থী, ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়গণ!
আজ অযোধ্যা আলোকমালা এবং মহান আত্মার স্বর্গীয় মহিমায় আর্বিভূত। আজ অযোধ্যা শহর ভারতের নব জাগ্রত সংস্কৃতির সুবর্ণ অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি। রামাভিষেকের পর আমি যখন এখানে আসছিলাম বিভিন্ন রকম মনোভাব, আবেগ এবং অনুভূতিতে আমি অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। আমি বিস্মিত হচ্ছিলাম ১৪ বছর বনবাসের পর ভগবান রাম যখন অযোধ্যায় ফিরছেন তখন অযোধ্যা কীভাবে সজ্জিত হয়েছিল? আমরা ত্রেতা যুগের অযোধ্যাকে দেখতে পাবো না। কিন্তু আজ ভগবান রামের আশীর্বাদ যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি অমৃতকালে চিরন্তন অযোধ্যায় স্বর্গীয় মহিমাকে।
বন্ধুগণ,
আমরা সভ্যতা এবং সংস্কৃতির অনুসারী। উৎসবের উদযাপন যা আমাদের জীবনের এক স্বাভাবিক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সমাজে যখনই নতুন কিছু ঘটেছে, আমরা নতুন উৎসবের সৃষ্টি করেছি। সমাজে ‘সত্যের জয় এবং অসত্যের পরাজয়’ এই বার্তা সদা জাগ্রত রাখার ক্ষেত্রে ভারতের তুলনা মেলা ভার। হাজার হাজার বছর আগে রাবনের স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়েছিলেন ভগবান শ্রী রাম। কিন্তু আজ হাজার হাজার বছর পর প্রত্যেক মানুষের কাছে ওই ঘটনা থেকে এই আধ্যাত্মিক বার্তা নিরন্তর উজ্জ্বল আলোকমালায় প্রজ্জ্বলিত হয়ে রয়েছে।
বন্ধুগণ,
দীপাবলির প্রদীপ আমাদের কাছে কেবলমাত্র পণ্য নয়, এটি ভারতীয় আদর্শ, মূল্যবোধ এবং দর্শনের প্রতীক স্বরূপ। যতদূর দেখতে পাচ্ছি, এই উজ্জ্বল আলোকমালা এই আলোর প্রভাব রাতের আকাশের বুকে যা দীপ্যমান হয়ে রয়েছে তা যেন ভারতের মূল মন্ত্র ‘সত্যমেব জয়তে’-র ই এক গর্বিত ঘোষণা মাত্র। আমাদের উপনিষদের স্তোত্রের মধ্য দিয়ে যা ঘোষিত হয়েছে “सत्यमेव जयते नानृतं सत्येन पन्था विततो देवयानः”। এর অর্থ, সত্যের জয় অসত্যের পরাজয়। আমাদের সাধুদের ঘোষণা হল “रामो राजमणि: सदा विजयते” যার অর্থ, জয় সবসময় ভালোর যা ভগবান রামের সঙ্গে সমোচ্চারিত দস্যুর সঙ্গে নয়, যা রাবনের সঙ্গে যুক্ত। এই কারনে আমাদের সাধুরা মাটির প্রদীপে স্বর্গীয় মহিমা প্রত্যক্ষ করতেন दीपो ज्योतिः परब्रहम दीपो ज्योतिः जनार्दन যার অর্থ, প্রদীপের আলো ব্রহ্মা স্বরূপ। আমি বিশ্বাস করি আধ্যাত্মিক এই আলো ভারতের অগ্রগতি এবং উত্থানের পথ দেখাবে।
বন্ধুগণ,
আজ এই মহিমাময় অনুষ্ঠানে আমি দেশবাসীকে লক্ষ্যাধিক আলোক প্রদীপের উজ্জ্বলতা নিয়ে আরো একটা কথা জানাতে চাই। রামচরিত মানসের গোস্বামী তুলসী দাসজি বলেছেন, “जगत प्रकास्य प्रकासक रामू” যার অর্থ, ভগবান রাম সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করে রেখেছেন। তিনি হলেন সমগ্র বিশ্বের প্রতিভূ স্বরূপ। আলো কী? তা হল দয়া এবং সহানুভূতির আলো। তা হল মানবতা এবং মর্যাদার আলো। তা হল সমতা এবং ভালোবাসার আলো। এই আলো সকলের জন্য। এই আলোর বার্তা হল সকলের সঙ্গে একত্রে পথ হাঁটা। বেশ কয়েক বছর আগে প্রদীপ নিয়ে লেখা একটি কবিতার কথা আমার মনে আসছে। এই কবিতার নাম ছিল দিয়া। আমি আপনাদের সঙ্গে আজ কবিতার কয়েকটি লাইন ভাগ করে নিতে চাই। আমি লিখেছিলাম દીવા જેવી આશ ને દીવા જેવો તાપ, દીવા જેવી આગ ને દીવા થકી હાશ. ઊગતા સૂરજને હર કોઈ પૂજે, એ તો આથમતી સાંજે’ય આપે સાથ. જાતે બળે ને બાળે અંધાર, માનવના મનમાં ઊગે રખોપાનો ભાવ। এর অর্থ হল এই প্রদীপ কেবল আশা যোগায় না, তা উত্তাপকেও ছড়িয়ে দেয়। এই প্রদীপ অগ্নিশিখায় তৈরি হয়, তা আরামও দেয়। উদিত সূর্যকে সকলে পুজো করে কিন্তু প্রদীপের আলো অন্ধকারে পথ দেখায়। প্রদীপ নিজে জ্বলে এবং অন্ধকারকে ঘোঁচায়। প্রদীপ ব্যক্তির মধ্যে উৎসর্গের মনোভাব তৈরি করে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করি এবং (লক্ষ্য পূরণের জন্য) সব কিছু প্রদান করি। কিন্তু যখন তা সম্পাদিত হয় তখন সেই সাফল্যের আলো সমগ্র বিশ্বজুড়ে নিঃস্বার্থ ভাবে ছড়িয়ে দিই। সারা বিশ্বের প্রতি তা উৎসর্গীকৃত হয়।
ভাই ও বোনেরা,
আত্মপরতার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃস্বার্থতার যাত্রাপথ যখন আমরা গ্রহণ করি তখন স্বাভাবিকভাবেই সমন্বয়ের সংকল্প এরসঙ্গে অঙ্গীভূত হয়ে পরে। আমাদের চিন্তা যখন পরিপূণ হয় আমরা বলি ‘इदम् न मम्’। এর অর্থ হল এই সাফল্য শুধু আমার নয়, তা মানবতার কল্যাণের জন্য। ‘দীপ সে দীপাবলি তক’ হল ভারতের দর্শন। এটাই হল ভারতের ভাবধারা এবং ভারতের চিরন্তন সংস্কৃতি। আমরা সকলেই জানি মধ্যযুগ এবং আধুনিক সময়ে ভারত অনেক অন্ধকার যুগের মুখোমুখি হয়েছে। বেশ কয়েকটি মহান সভ্যতা এই ঝড়ে ধ্বংস হয়ে গেলেও আমাদের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত থেকেছে এবং আমাদের আলো দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত ঝড় প্রশমিত হওয়ার পর আমাদের পুনরুত্থান হয়েছে। তার কারন আমরা কখনই প্রদীপের আলো নিভিয়ে দিই নি। আমরা কখনই আস্থা গড়ে তোলার পথে থেমে যায়নি। বেশিদিন আগে নয়, কঠিন করোনার সময়কালে প্রত্যেক ভারতীয় এই মনোভাবের ওপর ভর করেই প্রদীপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সারা পৃথিবী আজ প্রত্যক্ষ করছে করোনার বিরুদ্ধে ভারত শক্তির সঙ্গে লড়েছে। এর থেকে প্রমাণ হয় অন্ধকারের যুগের পর অতীতে ভারত শৌর্য্যের আলো ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা করে যাবে। এই আলো যখন আমাদের কর্মের পরিচায়ক হয় অন্ধকারের তখন নিশ্চিতভাবেই অবসান ঘটবে। আলো যখন আমাদের কাজের প্রত্যক্ষদর্শী হয় তখন আস্থার নতুন প্রভাত জাগবে এবং এই নবোদয় স্বাভাবিকভাবেই আরো শক্তিশালী হবে। এই বিশ্বাসের সঙ্গেই আরো একবার আপনাদের সকলকে শুভ দীপাবলি জানাচ্ছি। পূর্ণ ভক্তির সঙ্গে আমার সঙ্গে বলুন,
সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়!
সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়!
সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়!
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে।
PG/AB/NS
श्रीराम भारत के कण-कण में हैं। जन-जन के मन में हैं। https://t.co/SRljAQdh28
— Narendra Modi (@narendramodi) October 23, 2022
आज अयोध्या जी, दीपों से दिव्य हैं, भावनाओं से भव्य हैं। pic.twitter.com/Z9uU9RzSel
— PMO India (@PMOIndia) October 23, 2022
हम उस सभ्यता और संस्कृति के वाहक हैं, पर्व और उत्सव जिनके जीवन का सहज-स्वाभाविक हिस्सा रहे हैं। pic.twitter.com/2RfhZbB2Iy
— PMO India (@PMOIndia) October 23, 2022
दीपावली के दीपक, भारत के आदर्शों, मूल्यों और दर्शन के जीवंत ऊर्जापुंज हैं। pic.twitter.com/cz06Xvjs8Y
— PMO India (@PMOIndia) October 23, 2022
भगवान् राम पूरे विश्व को प्रकाश देने वाले हैं।
— PMO India (@PMOIndia) October 23, 2022
वो पूरे विश्व के लिए एक ज्योतिपुंज की तरह है। pic.twitter.com/qQFSohdxs1
दीप से दीपावली तक, यही भारत का दर्शन है, यही भारत का चिंतन है, यही भारत की चिरंतर संस्कृति है। pic.twitter.com/yHXbmILV9e
— PMO India (@PMOIndia) October 23, 2022