নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর, ২০২২
নমস্কার!
ধনতেরস এবং দীপাবলি উৎসব সমাগত। ধনতেরস এবং দীপাবলির আগে আমাদের গুজরাটে আরোগ্য মহা উৎসব পালিত হচ্ছে। আমাদের দেশে ধনতেরস উপলক্ষে আমরা ভগবান ধন্বন্তরির পুজো করি। ভগবান ধন্বন্তরিকে আর্য়ুবেদের জন্মদাতা বলা হয়। আর এ কথাও বলা হয় যে তিনি ছিলেন দেবতাদের চিকিৎসক। সেজন্য তাঁকে আরোগ্য বিষয়ক সমস্ত প্রেরণার ঈষ্ট দেবতা বলা যেতে পারে। আর আরোগ্য থেকে বড় ধন-দৌলত আর সৌভাগ্য কী হতে পারে? আমাদের শাস্ত্রেও বলা হয়েছে-
আরোগ্যম পরম ভাগ্যম।
অর্থাৎ আরোগ্যই পরম ভাগ্য। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ আমাদের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র ভাইয়ের নেতৃত্বে যে অভিযানের সূচনা হল দীপাবলির উৎসবের দিনগুলিতে এরকম অভিযানের কথা আগে কেউ ভাবেনি। এই সময় সবাই ছুটির মেজাজে থাকে, অথচ আজ এখানে যখন এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ হবে তারপর থেকে আজ রাতের মধ্যেই দেড় থেকে দু লক্ষ মানুষ এর কাছে পিএমজেএওয়াই-এমএ যোজনা আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ সম্পন্ন করা হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৫০ লক্ষ মানুষকে এই কার্ড বিতরণের জন্য আমি রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্মচারীদের, আমার পুরনো সঙ্গীদের, সরকারি আধিকারিকদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। আপনারা দীপাবলির ছুটির মেজাজ ভুলে একবড় কাজ মাথায় নিয়েছেন। আপনাদের এই পরিশ্রম অবশ্যই সুফলদায়ক হবে। আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে-
সর্বে সন্তু নিরাময়া!
অর্থাৎ সবাই যেন রোগমুক্ত থাকে। আমাদের পূর্বজদের এই কল্পনা, এই ভাবনা-চিন্তা প্রত্যেক মানুষের, প্রতিটি পরিবারের, প্রত্যেক সমাজের জন্য বড় সুরক্ষা কবচের এই মন্ত্র নিয়েই আজ আমাদের আয়ুষ্মান যোজনা চলছে। একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে গুজরাটের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ৫০ লক্ষেরও বেশি পরিবারে পিএমজেএওয়াই-এমএ যোজনা আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করা অনেক বড় কাজ। প্রতিটি জেলায়, প্রত্যেক তালুকে এবং প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সমস্ত পর্যায়ের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে যারা এই কার্ড পাননি তাদের কাছে এই কার্ড পৌঁছে দেওয়ার সাফল্য অত্যন্ত অভিনন্দনযোগ্য কাজ। এজন্য আপনারা অনেক মানুষের আশীর্বাদ পাবেন। আমরা সবাই জানি গোটা বিশ্বে যত প্রগতিশীল এবং সমৃদ্ধ দেশ রয়েছে সেখানে দীর্ঘকাল ধরে বীমা প্রকল্পগুলি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে চলছে। কিন্তু আমরা ভারতে তার থেকে এক পা এগিয়ে শুধুই ‘হেল্থ ইনসিউরেন্স’ নয়, ‘হেল্থ অ্যাসিওরেন্স’এ অনেক বড় স্বপ্ন দেখেছি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা ও কর্তব্য নিষ্ঠা ফলদায়ক হয়েছে।
আজকের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আমি বলতে পারি যখন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে স্থির সরকার থাকে আর তার কর্মসংস্কৃতি যদি সমাজের প্রতি সংবেদনশীল এবং সম্পূর্ণ রূপে সমর্পিত হয় তাহলে কি ভাবে অদ্ভুত পরিনাম আসতে পারে তা আজ গুজরাট তথা ভারত করে দেখাচ্ছে। আগে কী ছিল? আগে যত সরকার ছিল তারা কোনো প্রকল্প চালু করার আগে কোনো বড় সভাঘরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফিতে কাটার কাজ করতো, খুব ভালো ভাষণবাজি হতো, আর তারপর সবাই চুপ। যারা সচেতন মানুষ তারা সেই প্রকল্পগুলি থেকে লাভবান হতো। আর অনেক মানুষের লাভের গুড় দালাল নামক পিঁপড়েরা খেয়ে যেতো। আর এভাবেই প্রকল্পের সমাপ্তি ঘটতো। আমরা সম্পূর্ণ রূপে এই প্রক্রিয়াকে বদলে দিয়েছি। অর্থ অবশ্যই ব্যয় হবে, কিন্তু তার ফলে জনগণকে উপকৃত হতে হবে। শুধুই উদ্বোধন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফিতে কাটার আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ না থেকে সরকার প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে যাবে, দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের খুঁজে বের করবে। তাদের কাছে পৌঁছে সমস্যা লাঘব করবে। এই প্রক্রিয়া চালু করতে আমরা অনেক বড় বড় পদক্ষেপ নিয়েছি।
আজ যখনই কোনো প্রকল্প রচিত হয় তখন আগে সাধারণ মানুষের কী সমস্যা, তাদের কী প্রয়োজন, দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত ব্যবস্থায় কী পরিবর্তন আনতে হবে সে নিয়ে সরকারি ব্যবস্থার মধ্যে নানা স্তরে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার সাহায্য নেওয়া হয়। গরিব ও মধ্যবিত্তদের জীবনে তারা কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সেই প্রতিকূলতাগুলি দূর করার চেষ্টা করা হয়। ফলে খুব সুন্দর নীতি রচিত হয়। গবেষণালব্দ এই নীতিতে সকলের চিন্তা-ভাবনার সমন্বয় ঘটে। আর নীতি প্রণয়নের পরও যদি মনে হয় য এতে কিছু সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে যেমন আজ এখানে আমাদের ভূপেন্দ্র ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন গুজরাট সরকার পিএমজেএওয়াই-এমএ যোজনা আয়ুষ্মান কার্ড-এর কিছু নিয়ম শিথিল করে সুবিধাভোগীদের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দিয়ছেন। এখন আরো অনেক বেশি মধ্যবিত্ত জনগণ এই প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হবেন। সরকার মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই প্রকল্পের সুফলগুলি পৌঁছে দিচ্ছে।
বন্ধুগণ,
যখন দেশের সাধারণ নাগরিকের ক্ষমতায়ণ হয় তখন তারা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। আর যখন আপনারা শক্তিশালী হয়ে ওঠেন তখন সাফল্য সুনিশ্চিত হয়। সেজন্য আমরা ভারতের সমস্ত নাগরিককে ক্ষমতায়িত করা, বিশেষ করে মা ও বোনেদের ক্ষমতায়ণ সুনিশ্চিত করতে চাই। আজ গরিব মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যখন বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যখন তারা তাদেরকে আর কাঠের উনুনের ধোঁয়ার মধ্যে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে না। রান্না করতে গিয়ে আমাদের মা ও বোনেরা যে নানা রকম রোগের শিকার হতেন তা থেকে আমরা তাদের বাঁচাতে পেরেছি। আমরার গরিবদের জন্য পাকা বাড়ি, মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করায় তাদের জীবনে অনেক ছোট-বড় সমস্যা থেকে তারা মুক্ত হয়েছেন। বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল, পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ, শৌচালয় নির্মাণ ইত্যাদি অনেক পদক্ষেপ আজ অনেক অসুখকে বাড়ির বাইরেই থামিয়ে দিচ্ছে। এই সকল বুনিয়াদি কাজে জোর দিয়ে আমরা সাফল্য পাচ্ছি। সম্প্রতি এতোবড় বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারীর সময়েও আমরা দেশের কোনো গরিবের উনুন নিভতে দিইনি। ৮০ কোটি মানুষকে দুই থেকে আড়াই বছর ধরে বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দিয়েছি।
শুধু তাই নয়, দেশের শিশুরা যদি সুস্থ না থাকে তাহলে দেশ সুস্থ থাকবে না। একথা ভেবে আমরা দেশের শিশুদের পুষ্টি বৃদ্ধির চেষ্টা করে চলেছি। সম্প্রতি গুজরাটে অনেক বড় পুষ্টি অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের দলের রাজ্য সভাপতি শ্রী সি আর পাটিলজির নেতৃত্বে একটি বড় লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত শিশুর পুষ্টি সুনিশ্চিত করতে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, পিএমজেএওয়াই ইত্যাদির সম্মেলনে এতো ভালো কাজ হয়েছে যে এখন তা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হচ্ছে। আর এই দীপাবলির উসবের মধ্যেই রাজ্যে ৫০ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ সম্পন্ন করা একটি বড় সাফল্য হিসেবে পরিগণিত হবে। আগে একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে বিশেষ করে আমাদের মা ও বোনেরা অসুস্থ হলে, তাঁদের গয়না এমনকি মঙ্গলসূত্র বন্ধক রেখে ৫-১০ হাজার টাকা ঋণ করে চিকিৎসা করাতে হতো। আজ আমরা সেই অসহায় দিনগুলি পেরিয়ে এসেছি। বাড়িতে সোনা থাকলে যেমন মাঝ রাতেও কাজে লাগে তেমনি এই আয়ুষ্মান কার্ড সোনার মতো মাঝ রাতে কাজে লাগছে। এই কার্ড নিয়ে গেলে হাসপাতালের দরজা খুলে যাবে। তক্ষণা আপনার কী হয়েছে তা জানার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। সেজন্য আমি বলি এই আয়ুষ্মান কার্ড একটি ৫ লক্ষ টাকার এটিএম। এটিএম থেকে যেমন আমরা প্রয়োজনে টাকা তুলতে পারি, এই কার্ডও প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গ দেয়। সমাজের অধিকাংশ মানুষ যেন এর দ্বারা লাভবান হয় তা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। ঈশ্বর আমাদের সে রকম আশির্বাদ দিয়েছেন। আমরা চাই যে সবাই দীর্ঘজীবী হন। আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে যথা সময়ে চিকিৎসার ফলে পরিবারের কোনো সদস্যের আয়ু যদি ৩০ বছর বাড়িয়ে ৭০ বছর করে দিতে পারি তাহলে আমরা সফল। আর সেই ৩০ বছরের মধ্যে তার পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে প্রত্যেক বছর ৫ লক্ষ টাকা করে অর্থাৎ মোট দেড় থেকে ২ কোটি টাকা সরকার দেবে। যতদিন বাঁচবেন ততদিন প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের চিকিৎসার নিশ্চয়তা আজ আপনাদের রয়েছে। আগে কোনো কঠিন রোগ হলে বা শল্য চিকিৎসা করাতে হলে অনেক সময় সাধারণ মানুষের আয়ের পথও বন্ধ হয়ে যেতো। আজ এই আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে তারা সুস্থ থাকবেন। একটু আগেই আপনারা পীযূষ ভাইকে দেখেছেন- তাঁর শরীর কতো দুর্বল হয়ে গেছে। একটু ভাবুন যদি এই আয়ুষ্মান কার্ড না থাকতো তাহলে পীযূষ ভাই ও তাঁর পরিবারের জীবনযাত্রায় কতো সমস্যা আসতো! সেইজন্য সমস্ত প্রকল্প থেকে যদি সাধারণ মানুষ লাভবান হয় তাহলে প্রকৃতপক্ষে সমাজ শক্তিশালী হয়ে উঠে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প প্রকৃতপক্ষে আপনাদের পরিবারে সবচাইতে বড় সাহায্যকারী, সবচাইতে বড় সঙ্কটমোচন।
ভাই ও বোনেরা,
আজ পর্যন্ত আমরা দেশে অনেক প্রকল্প রচনা করেছি। সেগুলির মধ্যে শুধু এই একটি প্রকল্পের মাধ্যমেই ইতিমধ্যে ৪ কোটিরও বেশি মানুষ লাভবান হয়েছেন। এর মধ্যে আমাদের গুজরাটেই ৫০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। প্রত্যেকের চিকিৎসা সুনিশ্চিত হওয়ার আজ গুজরাটবাসী যে সুখে জীবন-যাপন করছেন, পাশাপাশি তাদের যে অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে তা রাজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। আপনারা একটু ভাবুন, চিকিৎসা খাতে ৫-৮ লক্ষ টাকা সাশ্রয় থেকেও বড় কথা নবীন প্রজন্মের শিশুরা সুস্থভাবে বড় হয়ে উঠছে। এটা আমাদের সাফল্য। আর আমি অত্যন্ত আনন্দিত আজ অধিকাংশ মানুষ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত। আমি যদি রোগকে দূরে রাখতে পারি তাহলে চিকিৎসা নিয়েও এতোটা ভাবতে হবে না। এসব পদক্ষেপ আমাদের মা ও বোনেদের অনেক বেশি শক্তি যুগিয়েছে। আমাদের সমাজে মা ও বোনেরা নিজেদের নিয়ে তেমন চিন্তা করেন না। কোনো মা অসুস্থ হলে যত কষ্টই হোক না কেন তিনি বাড়িতে অন্য কাউকে জানতে দেন না। ঠোঁট টিপে রেখে কাজ করে যান। কারন তাঁরা ভাবেন বাড়ির সবাই যদি জানতে পারে যে আমি অসুস্থ তাহলে সব টাকা চিকিৎসার পিছনে খরচ হবে, পরিবারের ঋণ বাড়বে! কিন্তু আজ তাঁদের এই ছেলে মা ও বোনেদের আর এভাবে ঠোঁট চেপে কষ্ঠ সহ্য করতে দেবে না। বিশেষ করে তাঁদের কথা ভেবেই আমরা এই প্রকল্প এনেছি। এখন আর আমাদের মা ও বোনেদের কষ্ট লুকিয়ে রাখতে হবে না। তাঁদের চিকিৎসার জন্য সরকার টাকা দেবে, অসুস্থতা দূর করার জন্য সরকার চিন্তা করবে।
আমি মনে করি আমার মা ও বোনেদের কথা ভেবে হলেও প্রত্যেকে অবশ্যই আয়ুষ্মান কার্ড নেবেন আর অসুখ হলে অবশ্যই তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে। দু-দিন বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যা হবে ঠিকই কিন্তু তারপর অনেক বেশি শান্তি পাবেন। মা ও বোনেরা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দু-দিনের সমস্যার কথা না ভেবে একবার অবশ্যই নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন। আমার মনে আছে, যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন রাজ্যে ‘চিরঞ্জীবি যোজনা’ শুরু করেছিলাম। তার আগে আমাদের রাজ্যে গর্ভধারণকালীন অনেক মায়ের মৃত্যু হতো। গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যেতো, প্রসবের সময় মা কিংবা সন্তানের মৃত্যু হতো, আবার কখনও তো উভয়েরই মৃত্যু হতো। মা ও শিশুদের এই প্রসবকালীন মৃত্যু থেকে বাঁচাতে আমরা এই ‘চিরঞ্জীবি যোজনা’ শুরু করেছিলাম। সেই থেকে গুজরাটের হাসপাতালগুলি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে গর্ভাবস্থায় ও প্রসবকালে মা ও শিশুদের মৃত্যু হার কমিয়ে এনেছিল। আজ গুজরাটের খুব কম জায়গাতেই বাড়ির আঁতুড়ঘরে শিশুর জন্ম হয়। কারন আঁতুড়ঘরে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের সুস্থভাবে প্রসব হলেও নানা রকম রোগ ভোগের সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ‘বাল ভোগ যোজনা’, ‘খিলখিলাহট যোজনা’, ‘বাল মিত্র যোজনা’র মতো বেশ কিছু সুফলদায়ক প্রকল্প চালু করেছিলাম। এগুলির ফলে গুজরাটে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম যোজনা বা এককথায় মা যোজনা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। আর আজ পিএমজেএওয়াই-এমএ যোজনা আয়ুষ্মান যোজনা চালু হল। এতে পিএমজেএওয়াই যোজনার সঙ্গে গুজরাট সরকারে মা যোজনাকে জুড়ে এর পরিধিকে বিস্তারিত করা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে আপনারা আগেও উপকৃত হয়েছেন, আজও উপকৃত হচ্ছেন আর ভবিষ্যতে এর উপকারের পরিধি আরো বিস্তৃত হওয়ায় তার দ্বারাও লাভবান হবেন। আজ শুধু গুজরাট নয়, ভারতের অন্যান্য প্রান্তে, কিংবা আমাদের বন্ধু দেশগুলির অনেক এলাকায়ও যদি আমাদের গুজরাটের কোনো পিএমজেএওয়াই-এমএ যোজনার সুবিধাভোগী যান তাহলেও তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন। সেজন্য আমি বলেছি এটা একটা সোনা। এখান থেকে কোনো কাজে যদি মুম্বাই কিংবা কলকাতা যান আর সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন তাহলে সেখানও আপনারা বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন। একই রকমভাবে আপনার পরিবারে কেউ যদি দেশের অন্যত্র কিংবা বন্ধু দেশগুলিতে গিয়ে অসুস্থ হন তাঁরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, বাইরের রাজ্য থেকে যাঁরা গুজরাটে এসেছেন তাঁরাও অসুস্থ হলে গুজরাটের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা করাতে পারবেন। অর্থাৎ ভারতের যেকোন নাগরিক দেশের যেকোন প্রান্তে গেলে যাতে সম্পূর্ণ চিকিৎসার সুবিধা পান তা সুনিশ্চিত করতে এই আয়ুষ্মান কার্ড কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আপনারা যাতে সব সময় সুস্থ থাকেন সেই চিন্তাই আমরা করে যাবো।
আজ আপনাদের সবার সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে। আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। আপনাদের খরচের চিন্তা কমাতে পেরেছি। আপনাদের সবাইকে আমার অনেক অনেক শুভ কামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য- প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই ভাষণটি গুজরাটি ভাষায় দিয়েছেন। এটি তার ভাবানুবাদ।
PG/SB/NS
PMJAY-MA Yojana Ayushman cards will ensure top quality and affordable medical care. https://t.co/Ak5bFjm57T
— Narendra Modi (@narendramodi) October 17, 2022