Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গুজরাটের গান্ধীনগর স্টেশনে গান্ধীনগর এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে নতুন বন্দে ভারত এক্সেপ্রেসের যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী

গুজরাটের গান্ধীনগর স্টেশনে গান্ধীনগর এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে নতুন বন্দে ভারত এক্সেপ্রেসের যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি,  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 

গান্ধীনগর স্টেশনে গান্ধীনগর মুম্বাইয়ের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সেপ্রেসের যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে কালুপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে করে সফরও করেন। 

প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগর স্টেশনে পৌঁছালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেভরাট, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরি। প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় দফার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ট্রেনের কামরাগুলি ঘুরে দেখেন এবং ট্রেনের ভিতর কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সে খোঁজ-খবর নেন। দ্বিতীয় দফার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রেল ইঞ্জিনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষও প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দেখেন। 

এরপর প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগর এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে নতুন এবং উন্নতমানের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা সূচনা করেন এবং ট্রেনটিতে করে কালুপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সফর করেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সহযাত্রীদের সঙ্গে, রেল কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে, মহিলা উদ্যোগপতি এবং গবেষক ও তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপর তিনি বন্দে ভারত ট্রেনের উজ্জ্বল সাফল্যের সঙ্গে জড়িত কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্য কর্মীদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেন। 

গান্ধীনগর এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় দফার এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিবর্তনের সূচক হয়ে উঠবে। ভারতের এই দুটি বাণিজ্যিক হাবের সঙ্গে যোগাযোগকে অনেক উন্নত করবে। গুজরাট থেকে মুম্বাই বা অন্যত্র ব্যবসায়িকদেরকে বেশি দামে প্লেনের টিকিট কেটে আর যেতে হবে না। বরং তারা ট্রেন সফরেই বিমানে যাত্রার সুবিধা পাবেন। দ্বিতীয় দফার এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে গান্ধীনগর থেকে মুম্বাই যেতে সময় লাগবে আনুমানিক সাড়ে ৫ ঘণ্টা।

দ্বিতীয় দফার এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রা অত্যন্ত উন্নতমানের এবং যাত্রীরা বিমান যাত্রার সুযোগ-সুবিধা তাতে পাবেন। এতে উন্নতমানের অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সংঘর্ষ এড়ানোর ব্যবস্থা- কবচ এতে রয়েছে। 

দ্বিতীয় দফার এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস অনেক উন্নত এবং আধুনিক ব্যবস্থা সম্পন্ন। কেবলমাত্র ৫২ সেকেন্ডের মধ্যেই শূন্য থেকে  ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রতি ঘণ্টায় এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ হল ১৮০ কিলোমিটার। এই উন্নতমানের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ওজন ৩৯২ টন। যেখানে আগের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ওজন ছিল ৪৩০ টন। চাহিদার ভিত্তিতে এতে ওয়াইফাই ব্যবস্থাও থাকছে। ট্রেনের প্রত্যেক কোচে তথ্য সরবরাহের জন্য আগের ২৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের পরিবর্তে এখন ৩২ ইঞ্চি স্ক্রিন রাখা থাকবে। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব কারন এসিগুলি ১৫ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে। ধুলোমুক্ত পরিষ্কার, বায়ু শীতল, সাকশান মোটর থাকায় যাত্রা অনেক সুগম হবে। পাশে হেলান দেওয়া আসনের সুযোগ থাকছে। আগে যেটা এক্সিকিউটিভ ক্লাসে পাওয়া যেত এখন এই ট্রেনের সব শ্রেণীতেই তা পাওয়া যাবে। এক্সিকিউটিভ কামরাগুলিতে আসনগুলি ১৮০ ডিগ্রি ঘোরানোর সুবিধা সম্বলিত। 

নতুন এই নকশায় এই ট্রেনের ছাদে বায়ু পরিশোধনের জন্য ফোটো ক্যাটালিস্ট অতি বেগুনি বায়ু পরিশোধন ব্যাবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। চন্ডীগড়ের সেন্ট্রাল সায়েন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রস্তাব মতো এই ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। ট্রেনের ভিতরে প্রবেশকারী এবং বাইরে নির্গত বায়ুকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মতো জীবানু মুক্ত করতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনের কামরার ছাদের সামনের এবং পিছনের দিকে এই ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে বায়ুকে জীবানু মুক্ত করতে। 

PG/AB/ NS