নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
প্রিয় দেশবাসী,
মানুষের জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে যখন সময়ের আবর্তন অতীতকে সংশোধন করে এক নতুন ভবিষ্যৎ গঠনের সুযোগ নিয়ে উপস্থিত হয় আমাদের সামনে। সৌভাগ্যের বিষয়, এমনই একটি মুহূর্ত উপস্থিত আমাদের কাছে। আজ জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে আমাদের সুদীর্ঘ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এক সুযোগ আজ আমরা পেয়েছি। এই সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল বহু দশক আগে এবং এক সময় তা প্রায় নিশ্চিহ্নই হয়ে যায়। আজ হল এমনই একটি দিন যখন চিতার প্রত্যাবর্তন ঘটল ভারতের মাটিতে। এই সময় আমার একটি কথা বলতে খুবই ইচ্ছা করছে এবং তা হল এই যে চিতার প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রকৃতি প্রেমের চেতনা আজ পুনরায় জাগ্রত হল। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমি অভিনন্দন জানাই সকল দেশবাসীকে।
আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের বন্ধু দেশ নামিবিয়া ও সেই দেশের সরকারকে। বেশ কয়েক দশক পর তাদের সহযোগিতাতেই চিতা আবার ফিরে এল ভারতের মাটিতে।
চিতার আগমন প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়িত্বশীলতা সম্পর্কেই শুধুমাত্র সচেতন করে তুলবে না, একইসঙ্গে মানবিক মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য সম্পর্কেও আমাদের সজাগ করে দেবে।
বন্ধুগণ,
যখনই আমরা মূল বা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি, তখন আমাদের অনেক কিছুই হারাতে হয়। এই কারণেই আমরা বারংবার তুলে ধরেছি ‘পঞ্চপ্রাণ’ অর্থাৎ, পাঁচটি সঙ্কল্পের কথা। স্বাধীনতার এই অমৃতকালে এ হল আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে গর্বিত হওয়ার এবং সেইসঙ্গে দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার এক সঙ্কল্পবিশেষ। বিগত শতকগুলিতে আমরা এমন এক সময়েরও সাক্ষী থেকেছি যখন প্রকৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার উন্মাদনাকে মনে করা হত ক্ষমতা ও আধুনিকতার এক বিশেষ প্রতীক। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে শেষ তিনটি চিতার যখন অবলুপ্তি ঘটে, তার পরেও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সঙ্গে তাদের নির্মমভাবে শিকারের চেষ্টা চালানো হয় পরবর্তী কয়েকটি বছর ধরে। খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে ১৯৫২ সালে চিতাকে ভারত থেকে নিশ্চিহ্ন একটি প্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাদের পুনর্বাসন সম্পর্কে পরবর্তী দশকগুলিতে অর্থবহ বা ফলপ্রসূ কোনো প্রচেষ্টাই চালানো হয়নি।
স্বাধীনতার অমৃতকালে চিতা প্রাণীটির পুনর্বাসনে এক নতুন উদ্যম গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে আমাদের দেশ। ‘অমৃত’-এর মাহাত্ম্যই হল মৃতের মধ্যেও জীবনদান। আমি আনন্দিত যে আমাদের কর্তব্য ও বিশ্বাসের অমৃত আমাদের সেই হৃত ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের আবার পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছে। সেইসঙ্গে, একদা নিশ্চিহ্ন চিতাকে আবার ভারতের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে স্বাধীনতার অমৃতকালে।
বহু বছরের কঠোর পরিশ্রমেই তা সম্ভব হয়েছে। এই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার পেছনে বহু শক্তি আমরা ব্যয় করেছি। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে এর কোনো গুরুত্বকেই স্বীকার করা হয়নি। ‘চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচির কাজ আমরা ছকে ফেলেছিলাম। তার বাস্তবায়নে দেশের বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়ার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে সমীক্ষা ও গবেষণার কাজ চালিয়ে গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদল যেমন এই উদ্দেশ্যে নামিবিয়া সফর করেছেন, সে দেশের প্রতিনিধিরাও তেমনভাবেই ভারত সফরে এসেছেন। চিতার উপযুক্ত বাসস্থান খুঁজে দেখতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো হয়েছে দেশজুড়ে। শেষ পর্যন্ত কুনো জাতীয় উদ্যানটিকে বেছে নেওয়া হয় এই শুভ কাজের সূচনা হিসেবে। আমাদের সেই কঠোর পরিশ্রমের ফসল আজ আমাদের সামনে উপস্থিত।
বন্ধুগণ,
প্রকৃতি ও পরিবেশ যদি সুরক্ষিত থাকে, তাহলে আমাদের ভবিষ্যতও যে সুরক্ষিত থাকবে এটা প্রমাণিত সত্য। এই বাতাবরণে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির বহু পথই তখন খুলে যায়। কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতারা যখন নির্ভয়ে বিচরণ করবে, তখন প্রাকৃতিক পরিবেশে এই তৃণভূমিকেও আমরা আবার নতুন করে ফিরে পাব। জীববৈচিত্র্যেরও প্রসার ও উন্নয়ন ঘটবে এর সাথে সাথেই। আগামী দিনগুলিতে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে ‘প্রকৃতি পর্যটন’। উন্নয়নের নতুন নতুন সম্ভাবনা যেমন এখানে সৃষ্টি হবে, তেমনই প্রসার ঘটবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিরও। আজ আমি এই প্রসঙ্গে সকল দেশবাসীর কাছে একটি আবেদন জানাতে চাই। কুনো জাতীয় উদ্যানে আজ যে চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হল, সেগুলি দেখার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা ও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হবে দেশবাসীকে। এই চিতাগুলি আজ এখানে উপস্থিত হয়েছে আমাদের অতিথি রূপে এবং এই অঞ্চলের সঙ্গে তারা এখনও সেভাবে পরিচিত নয়। তাই, কুনো জাতীয় উদ্যানকে যাতে তারা তাদের বাসভূমি বলে মেনে নিতে পারে, সেটুকু সুযোগ তাদের কয়েক মাসের জন্য দিতে হবে। আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা অনুসরণ করেই চিতা পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে কখনই আমরা বিফল হতে দেব না।
বন্ধুগণ,
প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রশ্নে বিশ্ববাসীও এখন নিরন্তর উন্নয়ন সম্পর্কে সরব হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতি ও পরিবেশ, পাখি ও জীবজন্তু শুধুমাত্র ভারতের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার প্রতীকমাত্র নয়, একইসঙ্গে আমাদের সংবেদনশীলতা ও আধ্যাত্মিকতারও তারা দ্যোতকও বটে। আমরা হলাম এমনই এক জাতি যাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নির্ভরশীল ‘সর্বম খলবিদম ব্রহ্মা’ – এই মন্ত্রটির মধ্যে। এর অর্থ, পশুপাখি, গাছপালা, মূল, শিকড় ও চেতনা – এ সমস্ত কিছুর মধ্যেই ঈশ্বর বিরাজমান। এ সমস্ত কিছুই হল আমাদের প্রসারমানতারই প্রতীক। আমরা বলে থাকি :
‘পরম পরোপকার্থম
যো জীবতি স জীবতি’
এর অর্থ, ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থসিদ্ধির মধ্যেই প্রকৃত জীবনের অর্থকে খুঁজে পাওয়া যায় না। দয়া, মায়া, সহমর্মিতা – এর মধ্য দিয়েই জীবনের সত্যকে অনুসন্ধান করতে হয়। এই কারণেই আমরা নিজেরা আমাদের খাদ্য গ্রহণের আগে অন্যান্য প্রাণী ও পাখির খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিই। আমাদের চারপাশে ক্ষুদ্রতম যে প্রাণীগুলি ঘুরে বেরায়, তাদের প্রতিও যত্নবান হওয়ার শিক্ষা আমরা লাভ করেছি। যদি কোনো প্রাণীর আকস্মিক মৃত্যু ঘটে, তাহলে আমরা আমাদের অনেক সময় অপরাধী বলে মনে করি। সুতরাং, শুধু আমাদের জন্যই যখন কোনো প্রজাতি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেই পরিস্থিতিকে আমরা কিভাবে সহ্য করতে পারি বলুন?
যে চিতা সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে নানা কথা শুনে দেশের শিশুরা বড় হয়েছে, তাদের অনেকেই হয়তো জানে না যে গত শতাব্দীতেই সেগুলির অবলুপ্তি ঘটে তাদের নিজেদের দেশেই। বর্তমানে চিতার দেখা মেলে ইরান ও আফ্রিকার কয়েকটি মাত্র দেশে। কিন্তু এই তালিকা থেকে ভারতের নাম লুপ্ত হয়েছে অনেকদিন আগেই। অদূর ভবিষ্যতে দেশের শিশুদের আর এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে না। তাদের নিজেদের দেশেই চিতাদের তারা ঘোরাফেরা করতে দেখবে কুনো জাতীয় উদ্যানে। দেশে অরণ্য এবং আমাদের জীবনে এতদিন যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, ভারতে চিতা ফিরে আসায় তার আজ পূরণ হল।
বন্ধুগণ,
একুশ শতকের ভারত সমগ্র বিশ্বের কাছে এই বার্তাই পৌঁছে দিয়েছে যে পরিবেশ ও অর্থনীতি কখনই পরস্পর বিরোধী নয়। কারণ, পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারে। ভারত বিশ্বকে এটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছে। আজ একদিকে যেমন আমরা বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতির অংশীদার হয়ে উঠতে পেরেছি, অন্যদিকে দেশের অরণ্যভূমিরও ক্রমপ্রসার ঘটেছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার পর দেশের ২৫০টি নতুন এলাকাকে সংরক্ষিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সিংহের এশিয়া প্রজাতির বংশ বৃদ্ধিও এখানে ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। দেশে এশিয়া প্রজাতির সিংহের এক গুরুত্বপূর্ণ আবাসভূমি হয়ে উঠেছে গুজরাট। বহু বছরের কঠিন পরিশ্রম, সমীক্ষা ও গবেষণার ভিত্তিতে গৃহীত নীতি এবং সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এর পেছনে। আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে গুজরাটে আমাদের এক সঙ্কল্প গ্রহণের কথা। ‘বন্যপ্রাণীর প্রতি আমাদের সম্ভ্রমকে আমরা জাগিয়ে রাখব এবং কোনভাবেই তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে যাব না’ – এই মন্ত্রটি আমরা গ্রহণ করেছিলাম। সেই শপথ গ্রহণের ফল আজ আমাদের সামনে উপস্থিত। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দেশে বাঘের সংখ্যাকে দ্বিগুণ করে তোলার লক্ষ্যমাত্রাকে আমরা ছুঁতে পেরেছি। এক সময় আসামে একশৃঙ্গ গণ্ডারের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছিল, কিন্তু আজ তাদের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত কয়েক বছরে দেশে হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি।
ভাই ও বোনেরা,
প্রকৃতি ও পরিবেশের দৃষ্টিকোণ থেকে আরও একটি বড় ধরনের কাজে আমরা সফল হয়েছি; তা হল, জলাভূমির সম্প্রসারণ। শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবন নির্ভরশীল জলাভূমির পরিবেশের ওপর। বর্তমানে দেশের ৭৫টি জলাভূমিকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে। এর মধ্যে ২৬টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গত চার বছরে। ভারতের এই প্রচেষ্টার ফল দেখা যাবে আগত শতাব্দীগুলিতে এবং এইভাবেই তা অগ্রগতির নতুন নতুন পথ খুলে দেবে।
বন্ধুগণ,
আজকের দিনে আমাদের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সমস্যা, তার সমাধান এবং আমাদের জীবনধারণকে সার্বিকতার সঙ্গেই গ্রহণ করা। এই কারণেই ভারত ‘লাইফ’ বা প্রাণ – এই শব্দটিকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে এক নতুন অর্থে তা হল, ‘পরিবেশের স্বার্থে জীবনশৈলী’। আন্তর্জাতিক সৌর সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ভারত আজ বিশ্বকে এক নতুন মঞ্চ ও দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিয়েছে। আমাদের এই প্রচেষ্টার সাফল্য ভবিষ্যৎ বিশ্বের দিক নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। সুতরাং, আজ এমন একটি সময় আমাদের সামনে উপস্থিত যখন বিশ্ববাসীর চ্যালেঞ্জগুলিকে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের বিষয় বলে মনে করলে চলবে না, সেগুলিকে আমাদের নিজেদেরও চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভাবতে হবে। আমাদের জীবনযাত্রায় একটু সামান্য পরিবর্তন, সমগ্র পৃথিবীর ভবিষ্যতের আধার হয়ে উঠতে পারে। আমি নিশ্চিত যে ভারতের প্রচেষ্টা ও তার ঐতিহ্য এই লক্ষ্যে চালিত করবে সমগ্র মানবজাতিকে। এক উন্নততর বিশ্ব সংসার গড়ে তোলার স্বপ্নকে আরও গভীর করে তুলবে।
এই বিশ্বাসের সঙ্গে আজ এই ঐতিহাসিক ও মূল্যবান মুহূর্তে আমি আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সকলকেই জানাই আমার অভিনন্দন।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে
PG/SKD/DM/
Project Cheetah is our endeavour towards environment and wildlife conservation. https://t.co/ZWnf3HqKfi
— Narendra Modi (@narendramodi) September 17, 2022
दशकों पहले, जैव-विविधता की सदियों पुरानी जो कड़ी टूट गई थी, विलुप्त हो गई थी, आज हमें उसे फिर से जोड़ने का मौका मिला है।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
आज भारत की धरती पर चीता लौट आए हैं।
और मैं ये भी कहूँगा कि इन चीतों के साथ ही भारत की प्रकृतिप्रेमी चेतना भी पूरी शक्ति से जागृत हो उठी है: PM @narendramodi
मैं हमारे मित्र देश नामीबिया और वहाँ की सरकार का भी धन्यवाद करता हूँ जिनके सहयोग से दशकों बाद चीते भारत की धरती पर वापस लौटे हैं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
ये दुर्भाग्य रहा कि हमने 1952 में चीतों को देश से विलुप्त तो घोषित कर दिया, लेकिन उनके पुनर्वास के लिए दशकों तक कोई सार्थक प्रयास नहीं हुआ।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
आज आजादी के अमृतकाल में अब देश नई ऊर्जा के साथ चीतों के पुनर्वास के लिए जुट गया है: PM @narendramodi
ये बात सही है कि, जब प्रकृति और पर्यावरण का संरक्षण होता है तो हमारा भविष्य भी सुरक्षित होता है। विकास और समृद्धि के रास्ते भी खुलते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
कुनो नेशनल पार्क में जब चीता फिर से दौड़ेंगे, तो यहाँ का grassland ecosystem फिर से restore होगा, biodiversity और बढ़ेगी: PM @narendramodi
कुनो नेशनल पार्क में छोड़े गए चीतों को देखने के लिए देशवासियों को कुछ महीने का धैर्य दिखाना होगा, इंतजार करना होगा।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
आज ये चीते मेहमान बनकर आए हैं, इस क्षेत्र से अनजान हैं।
कुनो नेशनल पार्क को ये चीते अपना घर बना पाएं, इसके लिए हमें इन चीतों को भी कुछ महीने का समय देना होगा: PM
कुनो नेशनल पार्क में छोड़े गए चीतों को देखने के लिए देशवासियों को कुछ महीने का धैर्य दिखाना होगा, इंतजार करना होगा।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
आज ये चीते मेहमान बनकर आए हैं, इस क्षेत्र से अनजान हैं।
कुनो नेशनल पार्क को ये चीते अपना घर बना पाएं, इसके लिए हमें इन चीतों को भी कुछ महीने का समय देना होगा: PM
कुनो नेशनल पार्क में छोड़े गए चीतों को देखने के लिए देशवासियों को कुछ महीने का धैर्य दिखाना होगा, इंतजार करना होगा।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
आज ये चीते मेहमान बनकर आए हैं, इस क्षेत्र से अनजान हैं।
कुनो नेशनल पार्क को ये चीते अपना घर बना पाएं, इसके लिए हमें इन चीतों को भी कुछ महीने का समय देना होगा: PM
प्रकृति और पर्यावरण, पशु और पक्षी, भारत के लिए ये केवल sustainability और security के विषय नहीं हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
हमारे लिए ये हमारी sensibility और spirituality का भी आधार हैं: PM @narendramodi
आज 21वीं सदी का भारत, पूरी दुनिया को संदेश दे रहा है कि Economy और Ecology कोई विरोधाभाषी क्षेत्र नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
पर्यावरण की रक्षा के साथ ही, देश की प्रगति भी हो सकती है, ये भारत ने दुनिया को करके दिखाया है: PM @narendramodi
हमारे यहाँ एशियाई शेरों की संख्या में भी बड़ा इजाफा हुआ है।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
इसी तरह, आज गुजरात देश में एशियाई शेरों का बड़ा क्षेत्र बनकर उभरा है।
इसके पीछे दशकों की मेहनत, research-based policies और जन-भागीदारी की बड़ी भूमिका है: PM @narendramodi
हमारे यहाँ एशियाई शेरों की संख्या में भी बड़ा इजाफा हुआ है।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
इसी तरह, आज गुजरात देश में एशियाई शेरों का बड़ा क्षेत्र बनकर उभरा है।
इसके पीछे दशकों की मेहनत, research-based policies और जन-भागीदारी की बड़ी भूमिका है: PM @narendramodi
Tigers की संख्या को दोगुना करने का जो लक्ष्य तय किया गया था उसे समय से पहले हासिल किया है।
— PMO India (@PMOIndia) September 17, 2022
असम में एक समय एक सींग वाले गैंडों का अस्तित्व खतरे में पड़ने लगा था, लेकिन आज उनकी भी संख्या में वृद्धि हुई है।
हाथियों की संख्या भी पिछले वर्षों में बढ़कर 30 हजार से ज्यादा हो गई है: PM