Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শ্রম মন্ত্রীদের জাতীয় শ্রম সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শ্রম মন্ত্রীদের জাতীয় শ্রম সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন


নয়াদিল্লি, ২৫ অগাস্ট, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শ্রম মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং শ্রী রামেশ্বর তেলি ও বিভিন্ন রাজ্যের শ্রম মন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ভগবান তিরুপতি বালাজীকে প্রণাম জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃত কালে উন্নত দেশ গড়ে তুলতে ভারতের আশা-আকাঙ্খা পূরণে শ্রমিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য দেশে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে কোটি কোটি শ্রমিকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার মতো বিভিন্ন প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অতিমারী পরিস্থিতিতে আপৎকালীন ঋণ সহায়তা প্রকল্প দেড় কোটিরও বেশি চাকরি বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। প্রয়োজনের সময় দেশ যখন শ্রমিকদের সাহায্য করছে, একইভাবে শ্রমিকরাও অতিমারী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করছেন। ভারত আরও একবার বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলির অন্যতম হয়ে উঠছে। এর কৃতিত্ব শ্রমিকদের।

প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা দিতে আনা অন্যতম প্রধান উদ্যোগ ই-শ্রম পোর্টালের কথা উল্লেখ করেন। মাত্র এক বছরে ৪০০টিরও বেশি ক্ষেত্রে ২৮ কোটিরও বেশি শ্রমিক নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। তিনি রাজ্যস্তরে এ ধরনের পোর্টাল চালু করতে মন্ত্রীদের কাছে অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গত আট বছরে দেশ থেকে দাসত্বের মানসিকতাসম্পন্ন আইনগুলি বিলোপ করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে ২৯টি শ্রম আইনকে ৪টি সরল শ্রম কোড-এ পরিবর্তন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও পরিবর্তন করতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও এর রূপায়ণের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালে অমৃত কালের জন্য দেশের শ্রম মন্ত্রক যে দিশা-নির্দেশ তৈরি করছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, মহিলাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে কাজের জায়গায় যথাযথ পরিবেশ এবং বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। নারী শক্তি যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ভারত দ্রুত লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে। দেশে নতুন নতুন ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কি করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করার উপরও জোর দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ শতকে ভারতের সাফল্য নির্ভর করছে সুযোগের সদ্ব্যবহার কতটা করা হচ্ছে, তার ওপর। দক্ষ কর্মী বাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে আমরা এর সুযোগ নিতে পারি। শ্রী মোদী বলেন, সরকার বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুক্তি করছে। আমাদের একে-অপরের থেকে শিখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সকলকে সচেতন করে বলেন, নির্মাণ কর্মীরাও কর্মী বাহিনীর অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি সকলকে যথাযথভাবে সেস ব্যবহারের পরামর্শ দেন। শ্রী মোদী বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যগুলি ৩৮ হাজার কোটি টাকা সেস ব্যবহার করেনি বলে তিনি জানতে পারেছেন। এগুলি দ্রুত ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। এছাড়াও, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এবং ইএসআইসি-র যথাযথ রূপায়ণেও জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষে সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, দেশবাসীর যৌথ প্রয়াস দেশের যথার্থ ক্ষমতা প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রেক্ষাপট

কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে ২৫ ও ২৬ অগাস্ট দু’দিনের সম্মেলনের আয়োজন করে। শ্রমিকদের উন্নয়নে নীতি-নির্ধারণ ও তাঁদের জন্য আনা প্রকল্পগুলির কার্যকর রূপায়ণের ক্ষেত্রে এই সম্মেলন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

 

PG/PM/SB