Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

“ভারতকে উন্নতরাষ্ট্র রূপে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও উন্নতকরে তোলা”

“ভারতকে উন্নতরাষ্ট্র রূপে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও উন্নতকরে তোলা”


নয়াদিল্লি, ২৪ আগস্ট ২০২২

ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিতকরার পাশাপাশি প্রয়োজন দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকেও আরও উন্নত করে তোলা।  

আজ মোহালির সাহিবজাদা অজিত সিং নগরেহোমি ভাবা ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গকালে একথা বলেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্যান্সার চিকিৎসায় উন্নততর সুযোগ-সুবিধার প্রসারেতাঁর সরকার যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, একথারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টাটামেমোরিয়াল সেন্টার বর্তমানে প্রতি বছর দেড় লক্ষ নতুন রোগীর চিকিৎসা করার জন্য প্রস্তুত।এই নতুন হাসপাতালটি এবং সেইসঙ্গে বিলাসপুরের এইমস-এ রোগীদের চিকিৎসা চণ্ডীগড়ের পিজিআই-এরওপর অত্যধিক বোঝা কমাতে সাহায্য করবে বলে তিনি মনে করেন। এর ফলে, রোগী এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনরাচিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক ভালো সুযোগ পাবেন।

শ্রী মোদী বলেন, একটি ভালো চিকিৎসাব্যবস্থার অর্থ এই নয় যে শুধু চার দেওয়ালের একটি হাসপাতাল ভবন তৈরি করা। যে কোনো দেশেরইস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তখনই জোরদার হয়ে উঠতে পারে যখন তা প্রতিটি পর্যায়ে উপযুক্তসমাধানের রাস্তাও বাতলে দিতে পারে। গত আট বছরে সার্বিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থারপ্রসার সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠেছে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা বর্তমানে উন্নত হয়ে উঠছে ছয়টি বিশেষ বিশেষ স্তম্ভকে ভিত্তি করে। এর প্রথমস্তম্ভটিই হল প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসার। দ্বিতীয়টি হল, গ্রামাঞ্চলে ছোটছোট অথচ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমন্বিত হাসপাতাল গড়ে তোলা। দেশের বিভিন্ন শহরে মেডিকেলকলেজ স্থাপন এবং চিকিৎসা সম্পর্কিত বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হল এক্ষেত্রে তৃতীয়স্তম্ভ। চতুর্থ স্তম্ভ হল সারা দেশে চিকিৎসক এবং সেইসঙ্গে চিকিৎসাকর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো।অন্যদিকে, ওষুধ ও চিকিৎসার সাজসরঞ্জাম সুলভ করে তোলাই হল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রেপঞ্চম স্তম্ভ এবং ষষ্ঠ স্তম্ভটি হল প্রযুক্তির সাহায্যে রোগীদের কষ্ট ও সমস্যা দ্রুতকমিয়ে আনা। প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জল জীবন মিশন’-এর আওতায় জলবাহিত রোগের প্রকোপ এখন অনেকটাই হ্রাসপেয়েছে। অন্যদিকে, যোগাভ্যাস, পরিচ্ছন্নতা, শারীরিক কসরত, পুষ্টি অভিযান, রান্নার গ্যাসইত্যাদির মাধ্যমে কমিয়ে আনা হয়েছে রোগীর সংখ্যাও। রোগ নির্ণয় সম্পর্কিত নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধাসৃষ্টির পাশাপাশি দেশে ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনকরা হচ্ছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কেন্দ্র স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।পাঞ্জাবেই চালু রয়েছে প্রায় ৩ হাজারটির মতো কেন্দ্র। সারা দেশে ক্যান্সার নির্ণয়েরজন্য ২২ কোটি মানুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ লক্ষ পরীক্ষা হয়েছে শুধুমাত্রপাঞ্জাবেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার রোগ নির্ণয়করা সম্ভব হলে গুরুতরভাবে অসুস্থদের যাতে দ্রুত ও ভালোভাবে চিকিৎসা শুরু করা যায় সেজন্যপ্রয়োজন অত্যাধুনিক হাসপাতালের। সরকারের লক্ষ্যই হল দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটিকরে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের আওতায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচিরমাধ্যমে ৬৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা পর্যায়ে গড়ে তোলা হচ্ছে স্বাস্থ্য চিকিৎসা সম্পর্কিতআধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এক সময় দেশে এইমস-এর সংখ্যা ছিল মাত্র সাত। কিন্তু এই সংখ্যাএখন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১-এ। দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ৪০টি কেন্দ্র স্থাপনেরঅনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হয়েগেছে।

শ্রী মোদী বলেন, বড় বড় হাসপাতাল গড়েতোলার পাশাপাশি সমানভাবে জরুরি উপযুক্ত সংখ্যক ভালো চিকিৎসক নিয়োগ। সেইসঙ্গে চিকিৎসাকর্মীদেরচাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এই লক্ষ্য পূরণে তাঁর সরকার যে বিশেষভাবে কাজ করে চলেছে একথারওউল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-র আগে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল৪০০টির মতো অর্থাৎ, স্বাধীনতার ৭০ বছরে দেশে গড়ে উঠেছিল ৪০০টি মেডিকেল কলেজ। কিন্তুমাত্র গত আট বছরে ২০০টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।৫ লক্ষ আয়ুষ চিকিৎসককে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেনপ্রধানমন্ত্রী। এর ফলে ভারতে চিকিৎসক ও রোগীদের অনুপাতের মাত্রাও উন্নত হয়েছে। ‘আয়ুষ্মানভারত’ কর্মসূচির আওতায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা ব্যয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন দেশেরদরিদ্র সাধারণ মানুষ এবং এইভাবে এ পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন সাড়ে তিন কোটিরওবেশি রোগী। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচির আওতায় রোগীদের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটিটাকা। অন্যদিকে, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ৫০০টির মতো ওষুধের দামও ৯০ শতাংশ পর্যন্তকমানো হয়েছে এবং এর ফলে সাশ্রয় হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকার।

দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায়এত বড় আকারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এর আগে করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন’ ন্যূনতম হয়রানি ছাড়াই ঠিক সময়েস্বাস্থ্য ও চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দিয়েছে প্রতিটি রোগীর কাছে। ভারতের নিজস্ব ফাইভ-জিপরিষেবা দূরদুরান্তে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তননিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, এটি চালু হলে দূরদুরান্তের দরিদ্র রোগীদেরআর গ্রাম থেকে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসতে হবে না শহরের বড় বড় হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে।ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও তাঁর পরিবার-পরিজনদের হতাশা ও দুশ্চিন্তামুক্ত করার প্রয়োজনীয়তারওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি প্রগতিশীল সমাজ ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যেরক্ষেত্রে পরিবর্তন সম্ভব করে তোলার জন্য আমাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি চিন্তাও ভাবনায় খোলামেলা হয়ে ওঠা প্রয়োজন।

 

PG/SKD/DM/