Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গুজরাটের ধরমপুরে শ্রীমদ রাজচন্দ্র মিশনে বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

গুজরাটের ধরমপুরে শ্রীমদ রাজচন্দ্র মিশনে বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি,  ৪  আগস্ট, ২০২২

গুজরাটের ভালসাদ জেলার ধরমপুরে রাজচন্দ্র মিশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের এই প্রকল্পগুচ্ছ মহিলা এবং অভাবী মানুষদের স্বার্থে এক বৃহৎ সেবা হিসেবে পরিগণিত হবে। শ্রীমদ রাজচন্দ্র মিশনের এই নীরব সেবার সদিচ্ছার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এই মিশনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বিভিন্ন সেবা কর্মের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আজকের দিনে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সময় এই কর্তব্য নিষ্ঠাই হচ্ছে সময়ের দাবি। গুজরাটে গ্রামীণ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পুজ্য গুরুদেবের নেতৃত্বে শ্রীমদ রাজচন্দ্র মিশন যে প্রশংসনীয় কাজ করেছে তাতে বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই নতুন হাসপাতালের মধ্য দিয়ে দরিদ্র সেবায় মিশনের দায়বদ্ধতা তা আরও বেশি শক্তি পাবে। এই হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্র সুলভে সকলের জন্য উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা যোগাবে বলে জানান তিনি। “এই উদ্যোগ ‘অমৃত কাল’এ সুস্থ ভারতের লক্ষ্য পূরণে শক্তি যোগাবে এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সবকা প্রয়াসের (সকলের প্রচেষ্টা) উদ্যোগকেও শক্তিশালী করবে” জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের যেসব সন্তান ভারতের দাশত্বের শৃঙ্খল মোচনে সচেষ্ট ছিলেন আজাদি কা অমৃত মহোসবের সময় দেশ তাঁদের স্মরণ করছে। শ্রীমদ রাজচন্দ্রজি ছিলেন সে রকমই একজন সাধক, যাঁর অবদান এ দেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে রয়েছে।” শ্রীমদ রাজচন্দ্রজির প্রতি মহাত্মা গান্ধীর শ্রদ্ধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। শ্রীমদ এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্রী রাকেশজির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলা, আদিবাসী এবং অবহেলিত শ্রেণীর মানুষদের স্বশক্তিকরণে নিয়োজিত থেকে এইসব মানুষরা দেশের চেতনাকে জাগ্রত রেখেছেন। মহিলাদের জন্য এই সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের প্রতিষ্ঠাকে এক বৃহৎ উদ্যোগ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীমদ রাজচন্দ্রজি শিক্ষা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে কন্যা সন্তানদের স্বশক্তিকরণের প্রতি সব সময় গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। খুবই অল্প বয়স থেকে মহিলাদের স্বশক্তিকরণের কথা জোর দিয়ে বলেছেন শ্রীমদ। তিনি বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সময় জাতীয় শক্তি হিসেবে নারী শক্তিকে প্রথম সারিতে নিয়ে আসা আমাদের দায়বদ্ধতার অঙ্গ।

আমাদের কন্যা এবং ভগ্নীদের অগ্রগতির পথে যাবতীয় বাধাকে উৎখাত করতে কেন্দ্রীয় সরকার সচেষ্ট বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলকে স্বাস্থ্য পরিষেবা যোগানোর কথা মাথায় রেখেই দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশব্যাপি যে টিকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা কেবলমাত্র মানুষদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, জীব-জন্তুদের ক্ষেত্রেও তার পরিসর পরিব্যাপ্ত করা হয়েছে।

প্রকল্প সম্পর্কিত

ভালসাদের ধরমপুরে শ্রীমদ রাজচন্দ্র হাসপাতাল প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত। ২৫০ শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে তা থেকে গুজরাটের দক্ষিণ গুজরাট এলাকার মানুষ বিশ্বমানের চিকিৎসা পাবে।

১৫০ শয্যার শ্রীমদ রাজচন্দ্র পশু হাসপাতাল প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত এই হাসপাতালে পশু চিকিৎসকদের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক কর্মচারীরাও রয়েছেন। পশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতিকল্পে প্রথানুগ ঔষধের পাশাপাশি সামগ্রিক চিকিৎসা পরিকাঠামো ওই হাসপাতালে পাওয়া যাবে।

৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে মহিলাদের জন্য শ্রীমদ রাজচন্দ্র সেন্টার অফ এক্সেলেন্স। এতে তাঁদের আত্মোন্নতিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী, শ্রেণীকক্ষ, বিনোদন, বিশ্রাম এলাকার ব্যবস্থা রাখা হবে। ৭০০-রও বেশি আদিবাসী মহিলাকে এ কাজে নিযুক্ত করা হবে। এতে আরও কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা অর্জনের সুযোগও সৃষ্টি হবে।

PG/AB/NS