নয়াদিল্লি, ১৮ জুন, ২০২২
গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজী, শ্রী কালিকা মাতাজী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি শ্রী সুরেন্দ্রভাই প্যাটেলজী, গুজরাট সরকারের মন্ত্রী ভাই পূর্ণেশ মোদীজী, উপস্থিত সকল পূজনীয় সাধু, সকল ভক্তবৃন্দ!
আজ পাওয়াগড়ে মা কালীর পদতলে কয়েক মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ আমার হয়েছে। বহু বছর পর তাঁর আশীর্বাদ আমি পেয়েছি। আমার জীবনের এটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। যখন স্বপ্ন সংকল্প নিতে সাহায্য করে আর যখন সেই সংকল্প পূরণ হয়, তখন মনে কত আনন্দ হয়, তা আপনারা সহজেই অনুমান করতে পারছেন। আজ আমার মন আনন্দে ভরে উঠেছে। বিগত পাঁচ শতাব্দী ধরে মা কালীর ধ্বজা এই মন্দিরের চূড়ায় ওড়েনি। আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর মায়ের ধ্বজা আবারও উড়ছে। আমাদের মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি যে নিষ্ঠা আমাদের রয়েছে, তা আমাদের সকলকে শক্তি যোগায়, অনুপ্রাণিত করে। গুপ্ত নবরাত্রী এই মাসের শেষে শুরু হচ্ছে। পাওয়াগড়ের মা কালীর মন্দির শক্তিপীঠের অন্তর্গত। শক্তি ও সাধনার এটিই বিশেষত্ব। গুপ্ত নবরাত্রী রয়েছে কিন্তু শক্তি বিলুপ্ত হয়নি। যখন আস্থা, বিশ্বাস ও তপস্যা ফলপ্রসূ হয়, তখন শক্তি পূর্ণ মর্যাদায় প্রকাশিত হয়। পাওয়াগড়ের মা কালীর আশীর্বাদ নিয়ে আমরা গুজরাট ও সারা ভারতে সেই শক্তিকে প্রত্যক্ষ করতে পারছি। বহু দশক পর মহাকালীর মন্দির আমাদের গর্বিত করেছে। আজ আরও একবার পাওয়াগড় মন্দিরের চূড়ায় ধ্বজা উড়ছে। এই ধ্বজা আমাদের বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নানা পরিবর্তন সত্ত্বেও মানুষের মনে আস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভাই ও বোনেরা,
আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন, অযোধ্যায় বিরাট মন্দির তৈরি হচ্ছে। কাশী বিশ্বনাথ ধাম অথবা কেদারধামে ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আজ নতুন ভারত তার আধুনিক উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গৌরবকে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। আজ নতুন ভারত তার ঐতিহ্য ও পরিচিতির জন্য গর্বিত। এইসব আধ্যাত্মিক স্থানগুলি আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে নানা সম্ভাবনা তৈরি করে। পাওয়াগড়ে মা কালিকার মন্দিরের পুনর্নির্মাণ আমাদের গৌরবোজ্জ্বল যাত্রাপথের অঙ্গ। এই উপলক্ষে আমি মা মহাকালীর চরণে প্রণাম জানাই। আর আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। আজকের এই অনুষ্ঠান ‘সবকা সাথ, সবকা বিসওয়াস ও সবকা প্রয়াস’ -এর প্রতীক।
বন্ধুগণ,
শ্রীমা কালিকা মন্দিরের চূড়ায় ধ্বজা উত্তোলনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। মা’কে দর্শনের সময় আমি ভাবছিলাম, তাঁর কাছ থেকে কি চাইবো। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, স্বামী বিবেকানন্দ মা কালীর আশীর্বাদ চেয়ে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মা, আপনি আমায় আশীর্বাদ করুন, আমি যাতে দেশের মানুষের সেবক হয়ে আরও শক্তি, নিষ্ঠা ও উদ্যমের সঙ্গে তাঁদের জন্য কাজ করতে পারি। যে শক্তি আমার আছে, সেই শক্তি দিয়ে আমি দেশের মা ও বোনেদের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।
মা কালীর চরণতলে আমার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের কথা মনে পড়েছে।
বন্ধুগণ,
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুজরাট যেমন অবদান রেখেছে, একইভাবে দেশের উন্নয়নেও তার একই ভূমিকা রয়েছে। ভারতের গর্ব ও মহিমার সঙ্গে গুজরাট সমার্থক হয়ে গেছে। ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যকে গুজরাট নেতৃত্বে দিয়েছে। একই সঙ্গে, ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে সংরক্ষণ করতে সবধরনের প্রয়াস বজায় রেখেছে।
কয়েক শতাব্দীর সংগ্রাম শেষে দেশ যখন স্বাধীনতা পেল, সেই সময় আমরা দাসত্ব ও স্বৈরাচারী শাসনের আক্রমণে আহত ছিলাম। আমাদের অস্তিত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। ভারতের সংস্কৃতির স্বাধীনতা অর্জন সর্দার সাহেবের নেতৃত্বে গুজরাট থেকে শুরু হয়েছে। দেশকে পুনর্গঠনের যে সংকল্প নেওয়া হয়েছে, তারই অঙ্গ হিসাবে সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করা হয়।
সোমনাথের ঐতিহ্য আজ পাওয়াগড় ও পঞ্চমহল বহন করছে। এর মধ্য দিয়ে গুজরাট সারা দেশের কাছে তার প্রাপ্য স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ মহাকালী মন্দিরের চূড়ায় যে ধ্বজা উত্তোলন করা হ’ল, তা গুজরাট ও সারা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধ্বজা। পাঁচমহল ও গুজরাটবাসী এই মন্দিরের মহিমাকে রক্ষা করেছে। আজ এই সোনার কলস মন্দিরের স্বপ্ন পূরণ করেছে। পাওয়াগড় ও পঞ্চমহলের তপস্যা আজ পূর্ণ হয়েছে।
এই, অঞ্চলের একটি ঐতিহ্য এখন অনেকে হয়তো মেনে চলেন না। তবে প্রাচীনপন্থীরা মেনে চলেন। আগে পাঁচমহল সহ এই অঞ্চলের মানুষ সেই রীতি মেনে চলতেন। সেই সময় মা কালীর চরণতলে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র রাখা হত। মন্দিরের পূজারী সন্ধ্যা আরতীর পর মা কালীকে সেই নিমন্ত্রণপত্র পড়ে শোনাতেন। ভক্তি সহকারে সেই পাঠ করার ঐতিহ্য এখনও বজায় রাখা হয়েছে বলে সুরেন্দ্র কাকা আমাকে জানিয়েছেন।
মা কালীর আশীর্বাদ নিয়ে মন্দির পরবর্তীকালে উপহার সামগ্রী পাঠাতো। এটি মহান আশীর্বাদ! এই ঐতিহ্য দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসছে। কিন্তু, এবার মা আমাদের আরও বড় উপহার দিয়েছেন। মায়ের মন্দিরে শক্তি উপাসনা করার সুযোগ আবারও তৈরি হওয়া থেকে আর কি বড় উপহার থাকতে পারে বলুন তো। মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া তো এটা সম্ভবই না।
শ্রী কালিকা মন্দিরের গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হ’ল – এর গর্ভগৃহ। আজ যখন এই মন্দিরের পুনর্নির্মাণ হয়েছে, তখন গর্ভগৃহটিকে একই রকম রেখে দেওয়া হয়েছে। গুজরাট সরকার, পবিত্র যাত্রাধাম বিকাশ বোর্ড এবং ট্রাস্টি একযোগে এই কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করেছে। আমাকে সুরেন্দ্রভাই বলেছেন, দুধিয়াতালাব ও ছাসিয়াতালাবের সঙ্গে পরিক্রমা পথকে যুক্ত করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য যজ্ঞশালা, ভোজনশালা, ভক্তি নিবাসের পাশাপাশি, মাতাজী মন্দিরের সঙ্গে ছাসিয়াতালাবকে একটি লিফটের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। এছাড়াও, মানচির কাছে একটি অতিথিশালা ও পার্কিং জোন গড়ে তোলা হবে।
এর আগে এখানে ভক্তদের পৌঁছতে অনেকটা সময় লেগে যেত। সিঁড়ি ভেঙে কষ্ট করে উঠতে হ’ত। যাঁরা এই মন্দিরে আগেও এসেছেন, তাঁরা জানেন, সেই সময় সিঁড়িগুলির কি অবস্থা ছিল। আজ সুন্দর পাথর দিয়ে সিঁড়িগুলিকে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। সিঁড়ির ধাপের উচ্চতা এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে উঠতে অসুবিধা না হয়। আগে এখানে মন্দির চত্বরে জনা ২৫ – এর বেশি লোক পৌঁছতে পারতেন না। আজ কয়েকশো লোক একসঙ্গে এখানে প্রবেশ করে পুজো দিতে পারবেন। মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে। এখানে যাতে কোনোভাবে পদপিষ্ট হতে না হয়, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমি সকল কালীভক্তের কাছে অনুরোধ করছি যে, যে কোনও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবার জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। যদি আমরা শৃঙ্খলা বজায় রাখি, তা হলে আমাদের যাত্রাপথ সুগম হবে এবং আমরা মায়ের আশীর্বাদ পাব। দুধিয়াতালাবেরও সংস্কার করা হবে। এই পুকুরকে ঘিরে একটি পরিক্রমার ব্যবস্থা হবে।
মা কালীর আশীর্বাদ বারাবার চাওয়া হয়। আগে পাওয়াগড় যাত্রা এতটাই দুর্গম ছিল যে, ভক্তরা তাঁদের জীবনে মাত্র একবারই এই মন্দিরে আসতেন। কিন্তু, এখন সুযোগ বেড়েছে। মন্দির দর্শন অনেক সহজ হয়েছে। আমাদের মা-বোনেরা, প্রবীণ নাগরিক, শিশু এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ভক্তরা সহজেই মায়ের আশীর্বাদ চাইতে পারেন।
আমি নিজে আজ এখানে রোপওয়ের মাধ্যমে এসেছি। রোপওয়ে যাত্রাপথকে যেমন সহজ করে তুলেছে, একই সঙ্গে পঞ্চমহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করা সম্ভব হয়েছে। আজ গুজরাটের বিভিন্ন তীর্থ ক্ষেত্র ও পর্যটন কেন্দ্রে রোপওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাওয়াগড়, সাপুতারা, অম্বাজী এবং গিরনারে রোপওয়ে মানুষকে অনেক সুবিধা করে দিয়েছে।
গুজরাট পাওয়াগড়, মা অম্বা, সোমনাথ ও দ্বারকেশের আশীর্বাদে গৌরবোজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। মহান কবি নর্মাদ লিখেছেন, “মা অম্বা উত্তরে, কালী মা পূর্বে, কুন্তেশ্বর মহাদেব দক্ষিণে এবং সোমানাথ ও দ্বারকেশ পশ্চিমে”।
আজ গুজরাটের পরিচিতি আকাশ ছোঁয়া। কবি নর্মাদের নাম গুজরাটের পরিচিতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আস্থা এবং আধুনিক প্রযুক্তি তীর্থযাত্রায় সুবিধা এনে দিয়েছে। আজ গুজরাট জুড়ে তীর্থযাত্রীদের জন্য সমস্ত মন্দিরে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। গুজরাটে তীর্থযাত্রায় পবিত্রতা, শান্তি ও সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
যখন আমরা মায়ের মন্দির ও শক্তির ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করি, তখন আমরা দেখতে পাই, গুজরাটের মানুষ সবধরনের সুবিধা পাচ্ছেন। এখানে একটি শক্তি রক্ষাচক্র রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মায়ের উপস্থিতিতে গুজরাট রক্ষা পাচ্ছে। বনস্কান্থায় অম্বাজী, পাওয়াগড়ে মা কালীজী, চটিলায় চামুন্ডা মাতা, উঞ্ঝায় ঊমিয়া মাতা, কচ্ছে আশাপুরা মাতা, নবসারির কাছে উনাই মাতা, দেবীয়া পাড়ায় দেবমগড়া মাতা, ভাবনগরের কাছে খোদিয়ার মাতা, মেহসানায় বাহুচারা মাতা, খোদালহামে অম্বা মাতা রয়েছেন। আমরা এদের থেকে সর্বদা আশীর্বাদ পাচ্ছি এবং আমরা বলতে পারি যে, আমরা শক্তির আশীর্বাদধন্য।
আমাদের ভূপেন্দ্রজী থ্রিডি ভিডিও প্রোজেকশনের মাধ্যমে অম্বাজী গহ্বরের পাদদেশে যেসব কাজ শুরু হয়েছে, সেগুলির বিষয়ে জানিয়েছেন। অম্বাজী মন্দিরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।
কিছুদিন আগে আমি সোমনাথ মন্দিরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। ঘাট ও মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন, যাত্রী সাধারণের সুবিধার জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভক্তবৃন্দের সুবিধার্থে দ্বারকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়েছে। তীর্থ ক্ষেত্রগুলির উন্নয়ন শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে নেই। সমাজের মঙ্গলে এবং দেশের ঐক্যবদ্ধ ভাবনায় আমাদের তীর্থযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তীর্থযাত্রীরা ধর্মস্থান ও মন্দির যখন দর্শন করেন, তখন তাঁদের জন্য নানা সুযোগ তৈরি হয়। পর্যটনের বিকাশ হচ্ছে, পরিকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের তীর্থযাত্রীরা স্থানীয় সংস্কৃতি, শিল্পকলা সম্পর্কে পরিচিত হচ্ছেন। আমরা দেখেছি, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তৈরি হওয়ার পর কেভাডিয়ার একতানগরে পর্যটকের সংখ্যা কিভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, আজ এই জায়গা সারা বিশ্বের কাছে অন্যতম গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে। একইভাবে, কাশী বিশ্বনাথ ধাম এবং চারধাম যাত্রায় নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। এ বছর কেদারনাথে সবচেয়ে বেশি তীর্থযাত্রী দর্শন করেছেন।
পাওয়াগড় উন্নয়নের ফলে এই মন্দির দর্শনে বহু ভক্তের সমাগম হবে। ভাদোদরা ও পাঁচমহলে আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনেরা এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। ভক্তরা বিরাসত বনও দর্শন করবেন। এর ফলে, প্রকৃতি, পরিবেশ, ঐতিহ্য ও আয়ুর্বেদের প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হবেন। একইসঙ্গে, প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান ও পাওয়াগড় দুর্গের পর্যটক সংখ্যা বাড়বে।
পাওয়াগড়ে আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি, এর নিজস্ব একটি ইতিহাস রয়েছে। এই জায়গা একদিকে যেমন মা মহাকালীর শক্তিপীঠ হিসাবে পরিচিত, অন্যদিকে এখানে জৈন মন্দিরের ঐতিহ্যও রয়েছে। ভারতের ঐতিহাসিক বৈচিত্র্যে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পাওয়াগড়। ইউনেস্কো চম্পানেরকে প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্র হিসাবে নিবন্ধীকৃত করেছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে পর্যটন বিকাশের ফলে এর পরিচিতি আরও বাড়বে। পাঁচমহলে পর্যটনের সম্ভাবনার পাশাপাশি, এই অঞ্চলে যুবক-যুবতীদের মধ্যে নানা সুযোগ তৈরি হবে। পাঁচমহল বিশিষ্ট গায়ক বৈজু বাওরার জন্য বিখ্যাত। যেখানে ঐতিহ্য, অরণ্য ও সংস্কৃতি শক্তিশালী, সেখানে শিল্পকলা ও প্রতিভা বিকশিত হয়েছে। আমাদের এই নতুন নতুন প্রতিভাকে জনসমক্ষে নিয়ে আসতে হবে।
চম্পানের জ্যোতিগ্রাম প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। ২০০৬ সালে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন সকলে আমার কাছে অনুরোধ জানাতেন, রাতে খাবার সময় যাতে বিদ্যুতের সংযোগ থাকে। জ্যোতিগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবার গুজরাটে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের তদানিন্তন রাষ্ট্রপতি শ্রী এ পি জে আব্দুল কালাম এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন।
পাওয়াগড়ে বায়ুদেবের আশীর্বাদ রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, পাওয়াগড় অঞ্চলের উন্নয়নের ছোঁয়া গুজরাট ও সারা দেশের মানুষ অনুভব করবেন। এই ভাবনা নিয়ে আরও একবার মা মহাকালীর চরণে প্রণাম জানাই এবং আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করি। গুজরাট ও অন্যান্য রাজ্যের মা কালীর অগণিত ভক্ত, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় এখানে এসেছেন। তাঁদের পূর্বপুরুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি সকলকে অভিনন্দন জানাই। উপস্থিত ভক্তদের পূর্বপুরুষরা এখানে অনেক আশা নিয়ে আসতেন। কিন্তু, হতাশ হয়ে ফিরতেন। এখন তাঁদের সন্তান-সন্ততিরা গর্বের সঙ্গে বলবেন, তোমরা হয়তো কষ্ট স্বীকার করেছো কিন্তু এখন যুগের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা মা কালীর আশীর্বাদধন্য। ভূপেন্দ্রভাইয়ের নেতৃত্বে, অছি পর্ষদ ও গুজরাট সরকার যে কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। আপনাদের সকলকে অনেক অভিনন্দন।
(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন)
PG/CB/SB
May Kalika Mata's blessings be upon all of us. Addressing a programme at Pavagadh Hill. https://t.co/poLpvqwmy2
— Narendra Modi (@narendramodi) June 18, 2022
आज सदियों बाद पावागढ़ मंदिर में एक बार फिर से मंदिर के शिखर पर ध्वज फहरा रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) June 18, 2022
ये शिखर ध्वज केवल हमारी आस्था और आध्यात्म का ही प्रतीक नहीं है!
ये शिखर ध्वज इस बात का भी प्रतीक है कि सदियाँ बदलती हैं, युग बदलते हैं, लेकिन आस्था का शिखर शाश्वत रहता है: PM @narendramodi
आज भारत के आध्यात्मिक और सांस्कृतिक गौरव पुनर्स्थापित हो रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) June 18, 2022
आज नया भारत अपनी आधुनिक आकांक्षाओं के साथ साथ अपनी प्राचीन पहचान को भी जी रहा है, उन पर गर्व कर रहा है: PM @narendramodi
मां काली का आशीर्वाद लेकर विवेकानंद जी जनसेवा से प्रभुसेवा में लीन हो गए थे: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) June 18, 2022
मां, मुझे भी आशीर्वाद दो कि मैं और अधिक ऊर्जा के साथ, और अधिक त्याग और समर्पण के साथ देश के जन-जन का सेवक बनकर उनकी सेवा करता रहूं।
— PMO India (@PMOIndia) June 18, 2022
मेरा जो भी सामर्थ्य है, मेरे जीवन में जो कुछ भी पुण्य हैं, वो मैं देश की माताओं-बहनों के कल्याण के लिए, देश के लिए समर्पित करता रहूं: PM
पहले पावागढ़ की यात्रा इतनी कठिन थी कि लोग कहते थे कि कम से कम जीवन में एक बार माता के दर्शन हो जाएँ।
— PMO India (@PMOIndia) June 18, 2022
आज यहां बढ़ रही सुविधाओं ने मुश्किल दर्शनों को सुलभ कर दिया है: PM @narendramodi
पावागढ़ में आध्यात्म भी है, इतिहास भी है, प्रकृति भी है, कला-संस्कृति भी है।
— PMO India (@PMOIndia) June 18, 2022
यहाँ एक ओर माँ महाकाली का शक्तिपीठ है, तो दूसरी ओर जैन मंदिर की धरोहर भी है।
यानी, पावागढ़ एक तरह से भारत की ऐतिहासिक विविधता के साथ सर्वधर्म समभाव का एक केंद्र रहा है: PM @narendramodi