Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মুম্বাই সমাচার পত্রিকার দ্বিশতাব্দী মহোৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

মুম্বাই সমাচার পত্রিকার দ্বিশতাব্দী মহোৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ১৪ জুন, ২০২২

 

আজ মুম্বাইতে মুম্বাই সমাচার-এর দ্বিশতাব্দী মহোৎসবে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে স্মরণ করেন যে মুম্বাই সমাচার-এর সূচনাকালে পরাধীনতার শৃঙ্খল এতটাই কঠিন ছিল যে কোনও ভারতীয় ভাষায় সংবাদপত্র প্রকাশের কথা চিন্তাই করা যেত না। সেই যুগে দেশীয় ভাষায় একটি সংবাদপত্র প্রকাশের পথিকৃৎ হয়ে ওঠে মুম্বাই সমাচার পত্রিকাটি। তিনি বলেন, বহু সহস্র বছর ধরে ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে আমরা অনেক কিছুই শিক্ষালাভ করেছি। মহাত্মা গান্ধী এবং সর্দার প্যাটেলও মুম্বাই সমাচার পত্রিকাটির বহু উল্লেখ করেছেন। মুম্বাই সমাচার-এর দ্বিশতাব্দী মহোৎসব তাই উচ্চস্তরের সাংবাদিকতার পাশাপাশি দেশপ্রেমের স্মৃতিও আমাদের মনে উস্কে দেয়। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সঙ্গে এক বিশেষ মেলবন্ধন ঘটেছে এই দ্বিশতাব্দী মহোৎসব উদযাপনের উপলক্ষটির। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সাংবাদিকতার অবদান এবং জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর ভারতে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথাও স্মরণ করেন তিনি।

শ্রী মোদী বলেন, বিদেশিদের প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে এই শহরটি  যখন বম্বে রূপে গড়ে ওঠে, তখনও মুম্বাই সমাচার তার মূল থেকে কোনও অংশেই বিচ্যুত হয়নি। সাধারণ মুম্বাইবাসীর একটি সংবাদপত্র হিসেবে এটির অস্তিত্ব ছিল তখন থেকেই এবং বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়েও এর গৌরব আজও অমলিন রয়ে গেছে। সেদিক থেকে মুম্বাই সমাচার শুধুমাত্র একটি সংবাদমাধ্যমই নয়, বরং এক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার। ভারতের দর্শন এবং তা প্রকাশের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই পত্রিকাটি। মুম্বাই সমাচার পত্রিকার ওপর দিয়ে অতীতে যে ঝড়-ঝাপটা বয়ে গেছে তা সামলে উঠতে ভারত যে কতটা দৃঢ় হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ আমরা চাক্ষুষ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র এবং সংবাদমাধ্যমের কাজই হল সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা। সামাজিক কাঠামোর মধ্যে অথবা দেশের শাসন ব্যবস্থায় যদি কোনরকম ভুলভ্রান্তি বা ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটে থাকে তবে তা সর্বসমক্ষে তুলে ধরা সংবাদপত্রের দায়িত্ব। একদিকে যেমন সংবাদমাধ্যমের অধিকার রয়েছে সমালোচনা করার, অন্যদিকে তেমনই ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করাও তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

শ্রী মোদী বলেন, ভারতের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, আলোচনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে যার ধারা আজও বহমান। বহু সহস্র বছর ধরেই সুস্থ বিতর্ক, সুস্থ সমালোচনা এবং সঠিক যুক্তি-তর্ককে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার একটি অংশ রূপে আমরা মনে করে আসছি। এমনকি বহু কঠিন সামাজিক বিষয়কেও আমরা সুস্থ আলোচনার টেবিলে নিয়ে এসেছি। এই বিষয়টিকে আরও জোরদার করে তোলা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি সাপ্তাহিক রূপে মুম্বাই সমাচার-এর সূচনা ১৮২২-এর পয়লা জুলাই। এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী ফারদানজি মার্জবানজি। পরে ১৮৩২ সালে এটি একটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। গত ২০০ বছর ধরে এই সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হয়ে আসছে।

 

PG/SKD/DM/