Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’, (৮৯ তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ


আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ আবার ‘মন কি বাতের’ মাধ্যমে আপনাদের অর্থাৎ পরিবারের কোটি-কোটি সদস্যের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। ‘মন কি বাতে’ আপনারা সবাই স্বাগত। কিছু দিন আগে দেশ এমন এক সাফল্য অর্জন করেছে যা আমাদের সবাইকে প্রেরণা দেয়। ভারতের সামর্থ্যের প্রতি এক নতুন বিশ্বাস জাগায়। আপনারা ক্রিকেটের ময়দানে টীম ইণ্ডিয়ার কোনও ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি করা শুনে খুশি হন নিশ্চয়ই। কিন্তু, ভারত আরও এক ময়দানে সেঞ্চুরি করেছে এবং সেই ক্ষেত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের পাঁচ তারিখে দেশে ইউনিকর্নের সংখ্যা একশোতে পৌঁছে গিয়েছে আর আপনারা তো জানেনই একটি ইউনিকর্ন মানে হল কম করে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার স্টার্ট-আপ। এইসব ইউনিকর্নের মোট নির্ধারিত মূল্য তিনশো তিরিশ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ পঁচিশ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। নিশ্চিতভাবে এই বিষয়টা একজন ভারতীয়ের কাছে গর্ব করার মত ব্যাপার। আপনারা এটা জেনেও আশ্চর্য হবেন যে আমাদের মোট ইউনিকর্নের মধ্যে চুয়াল্লিশটি গত বছরে তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বছরের তিন-চার মাসের মধ্যেই আরও চোদ্দটা ইউনিকর্ন তৈরি হয়ে গেছে। এর মানে হল বিশ্বজুড়ে মহামারীর এই আবহেও আমাদের স্টার্ট-আপগুলো সম্পদ  আর ভ্যালু তৈরি করে গিয়েছে। ভারতের ইউনিকর্নগুলোর বার্ষিক বৃদ্ধির গড় হার  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বেশি। যারা মূল্যায়ন করেন, তাঁরা তো এও বলছেন যে আগামী বছরগুলোতে এই সংখ্যায় দ্রুত বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হবে। একটা ভালো কথা এটাও যে আমাদের ইউনিকর্নগুলো বৈচিত্র্যমুখী। এগুলো ই-কমার্স, ফিন-টেক, এডু-টেক, বায়োটেকের মত অনেক ক্ষেত্রে কাজ করছে। আরও একটা বিষয় যেটা আমি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি সেটা হল, স্টার্ট-আপের জগৎ নতুন ভারতের মনোভাবকে তুলে ধরছে।

বর্তমানে ভারতের স্টার্টআপ ব্যবস্থাপনা শুধু বড় শহরগুলোর মধ্যে সীমিত নেই, ছোট ছোট শহরাঞ্চল থেকেও শিল্পোদ্যোগীরা এগিয়ে আসছেন। এর থেকে বোঝা যায়, যার কাছে উদ্ভাবনী শক্তি  আছে, তিনিই সম্পদ তৈরি করতে পারেন।

বন্ধুরা, দেশের এই সাফল্যের পিছনে, দেশের যুবশক্তি, দেশের প্রতিভা, আর সরকার, সবাই মিলেই এই প্রচেষ্টায় যুক্ত আছেন, সবার অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু এখানে আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আছে, আর তাহলো স্টার্টআপের জগতে সঠিক পথপ্রদর্শন। একজন ভালো মেন্টর স্টার্টআপকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তারা নতুন শিল্পোদ্যোগীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সব দিক দিয়ে সাহায্য করবেন। আমি এই ব্যাপারে গর্বিত যে ভারতে এরকম অনেক মেন্টর আছেন যাঁরা স্টার্টআপকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের সমর্পণ করেছেন।  

শ্রীধর বেম্বু জি সম্প্রতি পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। উনি নিজে একজন সফল শিল্পোদ্যোগী, কিন্তু এখন উনি অন্যান্য শিল্পোদ্যোগীদেরও গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। শ্রীধর জি নিজের কাজ গ্রাম্য এলাকা থেকে শুরু করেছিলেন। উনি গ্রামীণ যুবকদের গ্রামে থেকেই কিছু করার জন্য উৎসাহিত করছেন। আমাদের এখানে মদন পডাকির মত মানুষও আছেন যিনি গ্রামাঞ্চলে শিল্পোদ্যোগীদের  উৎসাহিত করার জন্য ২০১৪ সালে ওয়ান-ব্রিজ নামের একটি প্লাটফর্ম বানান। আজ  ওয়ান-ব্রিজ দক্ষিণ আর পূর্ব ভারতের ৭৫টিরও বেশী জেলায় সক্রিয়। এর সঙ্গে যুক্ত ৯,০০০-এরও বেশী  গ্রামাঞ্চলের শিল্পোদ্যোগীরা  গ্রামীণ উপভোক্তাদের নিজেদের পরিষেবা প্রদান করছেন। মীরা সেনয়জিও এরকমই এক উদাহরণ।    
    
তিনি গ্রামাঞ্চলে, আদিবাসী এবং যুবসম্প্রদায়ের জন্য বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতার প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ করছেন। আমি এখানে মাত্র কয়েকজনেরই নাম উল্লেখ করলাম। কিন্তু আজ আমাদের এমন অনেক মেন্টর আছেন। আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয় যে স্টার্ট আপের জন্য আমাদের দেশে একটা গোটা সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। আমার বিশ্বাস আগামী সময়ে ভারতের স্টার্ট আপ জগত  প্রগতির ডানা মেলবে।            
বন্ধুরা, কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি আকর্ষণীয় আর উৎসাহব্যাঞ্জক জিনিস পাই যা আমাদের দেশবাসীর সৃজনশীলতা ও শিল্পী সত্ত্বার রঙে রঙিন।  এটি একটি উপহার যা তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলা থেকে একটি  স্বনির্ভর গোষ্ঠী আমাকে পাঠায়। এতে ভারতীয়ত্বের সুবাস, মাতৃ শক্তির আশির্বাদ তথা আমার প্রতি তাদের স্নেহ দীপ্যমান। এটি জিআই ট্যাগপ্রাপ্ত একটি বিশেষ তাঞ্জাভুর পুতুল। আমি তাঞ্জাভুর স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই, তাদের স্থানীয় সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই উপহার আমায় পাঠানোর জন্য। বন্ধুরা, এই তাঞ্জাভুর পুতুল  অতি সুন্দর তো বটেই, পাশাপাশি এটি নিপুনভাবে নারী ক্ষমতায়নের গাথা লিখছে। তাঞ্জাভুরে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর  বহু দোকান, কিয়স্ক খোলা হচ্ছে যার ফলে বহু দরিদ্র পরিবারের জীবন বদলে যাচ্ছে। এই দোকান ও কিয়স্কের  সাহায্যে মহিলারা তাদের পণ্য গ্রাহকদের সরাসরি বেচতে পারছেন।  এই উদ্যোগকে থারগাইগাল কায়ভিনাই পোরুত্তকল বিরপ্পনই আঁগাড়ী নাম দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, এই উদ্যোগের সঙ্গে  ২২টা স্বনির্ভর গোষ্ঠী  যুক্ত আছে। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের  এই দোকানগুলি তাঞ্জাভুরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। এর তত্ত্বাবধানের সম্পূর্ণ দ্বায়িত্বও মহিলাদের। এই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী  জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত থাঞ্জাভুরের পুতুল ও ব্রোঞ্জের প্রদীপ   ছাড়াও চাটাই, খেলনা ও গয়না প্রস্তুত করেন। এই দোকানের জন্য জি আই ট্যাগ এর পাশাপাশি হস্তশিল্পের সামগ্রীর বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উদ্যোগে কারিগররা উৎসাহ পেয়েছেন, উপরন্তু মহিলাদের আয় বাড়ায় নারী ক্ষমতায়নের পক্ষে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠেছে। আমার ‘মন কি বাত’-এর শ্রোতাদের কাছেও একটি অনুরোধ আছে। আপনারা একটু খোঁজ নিন  আপনাদের এলাকায় কোন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী  কাজ করছে। তাদের পণ্যবস্তু সম্পর্কে খোঁজ খবর হন, ও সেগুলি ব্যবহার করে দেখুন। এর মাধ্যমে আপনি  স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের আয় বাড়াতে তো সাহায্য করবেনই, উপরন্তু আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকেও সাহায্য করবেন।       

বন্ধুরা, আমাদের দেশে অনেক ভাষা, লিপি ও উপভাষার সমৃদ্ধ ভান্ডার রয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন পোশাক, খাদ্য ও সংস্কৃতি, এটাই আমাদের পরিচয়। এই ডাইভারসিটি, এই বৈচিত্র্য, একটি রাষ্ট্রের মতো, আমাদের শক্তিশালী করে এবং ঐক্যবদ্ধ রাখে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিশেষ অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হল কল্পনা নামের এক কন্যা, যার বিষয়ে আমি আপনাদের জানাতে চাই। তার নাম কল্পনা, কিন্তু তার প্রচেষ্টা ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর প্রকৃত চেতনায় পরিপূর্ণ। আসলে, কল্পনা সম্প্রতি কর্ণাটকে তার দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, কিন্তু; তার সাফল্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই যে, কল্পনা কিছুদিন আগে পর্যন্ত কন্নড় ভাষা জানত না। ও তিন মাসে শুধু কন্নড় ভাষাই শেখেনি, ৯২ নম্বরও পেয়েছে। আপনি নিশ্চই অবাক হচ্ছেন, কিন্তু এটাই সত্যি। তার সম্পর্কে আরও অনেক কিছু রয়েছে যা আপনাকে অবাক করবে এবং অনুপ্রাণিতও করবে। কল্পনা প্রকৃতপক্ষে উত্তরাখণ্ডের যোশী মঠের অধিবাসী। সে আগে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিল, কিন্তু কথায় বলে না যে, ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’। পরবর্তীকালে কল্পনা, মাইসোর এর অধিবাসী প্রফেসর তারামূর্তির সান্নিধ্যে আসেন, যিনি শুধুমাত্র ওকে যে উৎসাহিত করেছিলেন তাই নয়, সব রকম ভাবে সাহায্যও করেছিলেন। আজ, সে নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের সবার কাছে একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। আমি কল্পনাকে ওর উদ্যমের জন্য অভিবাদন জানাচ্ছি। এইভাবেই আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা দেশের ভাষাগত বৈচিত্র্যকে আরো মজবুত করার কাজ করে চলেছেন। এমনই একজন বন্ধু হলেন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার, শ্রীপতি টুডু মহাশয়। টুডু মহাশয় পুরুলিয়ার সিধু-কানু-বিরসা ইউনিভার্সিটিতে সাঁওতালি ভাষার অধ্যাপক। উনি সাঁওতালি সমাজের জন্য ওদের নিজস্ব অলচিকি  লিপিতে দেশের সংবিধানের একটি অনুলিপি তৈরি করেছেন। শ্রীপতি টুডু মহাশয় বলেন যে, আমাদের সংবিধান আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিককে তার অধিকার এবং কর্তব্যবোধের সঙ্গে পরিচয় করায়। এই কারণে প্রত্যেক নাগরিকের এর সাথে পরিচিত হওয়া জরুরী। তাই তিনি সাঁওতালি সমাজের জন্য তাঁদের লিপিতে সংবিধানের একটি অনুলিপি প্রস্তুত করে উপহার দেন। আমি শ্রীপতি মহাশয়ের এই চিন্তাভাবনা এবং তাঁর প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। এটি ‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর চেতনার প্রাণবন্ত উদাহরণ। এই ভাবনাচিন্তাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেইরকম  বিভিন্ন প্রচেষ্টার বিষয়ে আপনি ‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ওয়েবসাইটে  জানতে পারবেন । এখানে আপনি খাদ্য, শিল্প, সংস্কৃতি, পর্যটন সহ এই ধরনের অনেক কার্যকলাপ  সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনিও এই কর্মকাণ্ডে  অংশও নিতে পারেন। এর ফলে আপনি আপনার দেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন এবং আপনি দেশের বৈচিত্র্যও অনুভব করতে পারবেন ।   

আমার প্রিয় দেশবাসী, বর্তমানে আমাদের দেশে উত্তরাখণ্ডের  চার ধামের পবিত্র তীর্থযাত্রা চলছে। চার ধামে এবং বিশেষ করে কেদারনাথে, প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত পৌঁছাচ্ছেন। লোকেরা তাদের চারধাম যাত্রার আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন, কিন্তু আমি এটাও দেখেছি যে ভক্তরা কেদারনাথে কিছু তীর্থযাত্রীর  আবর্জনা ছড়ানোর কারণে বেশ হতাশ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা পবিত্র তীর্থস্থানে যাবো আর সেখানে ময়লার স্তূপ থাকবে, এটা ভাল বিষয় নয়। তবে বন্ধুরা, এসব অভিযোগের মধ্যেও অনেক ভালো ছবিও দেখা যাচ্ছে। যেখানে শ্রদ্ধা আছে, সেখানে সৃষ্টি ও ইতিবাচক উদ্যোগও আসে। এমনও অনেক ভক্ত আছেন যারা বাবা কেদারের ধামে দর্শন এবং পুজো করার পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনুশীলনও করছেন, কেউ তাদের থাকার জায়গার আশেপাশে পরিষ্কার করছেন এবং কেউ ভ্রমণ পথে পড়ে থাকা সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার করছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযান দল-এর সঙ্গে অনেক সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণও সেখানে কাজ করছে। বন্ধুরা, আমাদের যেমন তীর্থযাত্রার গুরুত্ব আছে, তেমনি তীর্থসেবারও গুরুত্বও রয়েছে। আমি তো বলব তীর্থসেবা ছাড়া তীর্থযাত্রা অসম্পূর্ণ।  দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের অনেকে আছেন যারা পরিচ্ছন্নতা এবং সেবার অনুশীলনে নিযুক্ত। আপনি রুদ্রপ্রয়াগের বাসিন্দা মনোজ বেঞ্জওয়ালজির কাছ থেকেও অনেক অনুপ্রেরণা পাবেন। মনোজজি বিগত ২৫ বছর ধরে পরিবেশের যত্ন নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, তিনি স্বচ্ছতার প্রচার চালানোর পাশাপাশি পবিত্র স্থানগুলিকে প্লাস্টিক মুক্ত করতেও নিযুক্ত রয়েছেন। অন্যদিকে, গুপ্তকাশীর বাসিন্দা সুরেন্দ্র বাগওয়ানিজিও স্বচ্ছতাকে নিজের জীবনের মন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি গুপ্তকাশীতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি চালান এবং আমি জানতে পেরেছি যে তিনি এই অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘মন কি বাত’। একইভাবে দেওয়ার গ্রামের চম্পাদেবী বিগত ৩ বছরধরে, তার গ্রামের মহিলাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট শেখাচ্ছেন। চম্পাজি শত শত গাছও রোপণ করেছেন এবং তার কঠোর পরিশ্রমে তিনি একটি সবুজ বন তৈরি করেছেন। বন্ধুরা, এই সব মানুষের প্রয়াস-এর কারণেই আমরা দেবভূমি আর তীর্থভূমির দৈবিক অনুভূতি উপলব্ধি করে থাকি। যেটা অনুভব করার জন্যই আমরা ওখানে যাই, এই দেবত্ব এবং আধ্যাত্মিককতা বজায় রাখার আমাদেরও দায়িত্ব।

এখন আমাদের দেশে চারধাম যাত্রার পাশাপাশি আগামী দিনে অমরনাথ যাত্রা, পন্ধরপুর যাত্রা এবং জগন্নাথ যাত্রার মতো অনেক যাত্রা হবে। শ্রাবন মাসে, প্রতিটি গ্রামেই বোধহয় কোনো না কোনো মেলা হয়। বন্ধুরা, আমরা যেখানেই যাই না কেন, এই তীর্থস্থানগুলোর গৌরব বজায় রাখতে হবে।

পরিচ্ছন্নতা, একটি পবিত্র পরিবেশ বজায় রাখা, এটা আমাদের কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয় এবং তাই আমাদের পরিচ্ছন্নতার সংকল্প নেয়া উচিত। কিছুদিন পর ৫ই জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালিত হবে। পরিবেশ নিয়ে আমাদের চারপাশে ইতিবাচক প্রচার চালানো উচিত এবং এটি একটি ধারাবাহিক কাজ। আপনারা এবার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বচ্ছতা ও বৃক্ষরোপনের কিছু উদ্যোগে অবশ্যই সামিল হবেন। আপনারা নিজেরাও গাছ লাগান এবং অন্যকেও অনুপ্রাণিত করুন।   

আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী মাসে ২১শে জুন, আমরা অষ্টম ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ পালন করবো। এই বছর যোগ দিবসের থিম হল – যোগা ফর হিউম্যানিটি, আমি আপনাদের  সবাইকে যোগ দিবস খুবই উৎসাহের সঙ্গে পালন করবার জন্য অনুরোধ করছি। হ্যাঁ! করোনা থেকে বাঁচতে যথোপযুক্ত সাবধানতাও অবলম্বন  করুন, তবে, এখন তো সারা বিশ্বে করোনার সামগ্রিক পরিস্থিতি আগের থাকে কিছুটা ভালো,  যথেষ্ট টিকাকরণের কারণে এখন লোকজন আগের থেকে অনেক বেশি বাইরে বেরোচ্ছেন, এইজন্য বিশ্বব্যাপী “যোগ দিবস” উপলক্ষে অনেক প্রস্তুতি চোখে পড়ছে। করোনা অতিমারি আমাদের সবাইকে অনুভব করিয়েছে যে, আমাদের জীবনে, সুস্বাস্থ্যের কতটা প্রয়োজনীয়তা আছে। আর যোগ, এক্ষেত্রে কত বড় মাধ্যম! মানুষ এটা বুঝতে পেরেছে – যে যোগ থেকে শারীরিক, আধ্যাত্মিক ও বৌদ্ধিক ౼ তিনটি ক্ষেত্রেই বিকাশ ঘটে । বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বাণিজ্য জগতের ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ছাত্রছাত্রী থেকে সামান্য মানুষও, সবাই যোগকে নিজের জীবনের অভিন্ন অঙ্গ করে ফেলছেন। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে, যে সমগ্র বিশ্বে যোগের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেখে আপনাদের সবার নিশ্চয় খুব ভালো লাগছে। বন্ধুরা, এইবার দেশ বিদেশে “যোগ দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত হতে চলা বেশ কিছু দারুণ উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এর মধ্যে একটি হলো গার্ডিয়ান রিং, যা  একটি বড়ো অনন্য কর্মসূচী হতে  চলেছে। এই অনুষ্ঠানে সূর্যর গতিপ্রকৃতিকে উদযাপন করা হবে, অর্থাৎ সূর্য যেরকম যেরকম যাত্রা করবে, পৃথিবীর আলাদা আলাদা প্রান্তে, আমরা যোগের মধ্য দিয়ে তাকে স্বাগত জানাবো। ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভারতীয় মিশন সেখানকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সূর্যোদয়ের সময় যোগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।   

একটি দেশের পরে আর একটি দেশে কার্য্যক্রম শুরু হবে। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এক নিরন্তর যাত্রাপথ চলতে থাকবে, সেই একইভাবে, এগিয়ে  যেতে থাকবে। এই অনুষ্ঠানের স্ট্রিমিংও এইভাবে একের পর এক জুড়তে থাকবে, অর্থাৎ এটা একরকম রিলে যোগ স্ট্রিমিং অনুষ্ঠান হবে। আপনারাও অবশ্যই এটা দেখবেন।  

বন্ধুরা, আমাদের দেশে এবার ‘অমৃত মহোৎসবের’ কথা মাথায় রেখে দেশের ৭৫ টি বিভিন্ন জায়গায়ও ‘আন্তজাতিক যোগ দিবসের’ আয়োজন করা হবে। এই উপলক্ষে বেশ কয়েকটি সংগঠন এবং দেশের মানুষও নিজের নিজের ক্ষেত্রের বিশেষ স্থানে কিছু সৃজনশীল কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি আপনাদের কাছেও অনুরোধ করব এবার যোগ দিবস পালন করার জন্য আপনারা নিজেদের শহর বা গ্রামের এমন কোন জায়গা বাছুন যা সবথেকে আলাদা ও অনন্য। এই জায়গা কোন প্রাচীন মন্দির অথবা কোন পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে, বা কোন বিখ্যাত নদী, হ্রদ বা পুকুরের পার হতে পারে। এতে যোগের সঙ্গে আপনাদের সেই জায়গার পরিচিতিও বাড়বে ফলে পর্যটনের প্রসার ঘটবে। এই সময়ে যোগ দিবস নিয়ে ১০০ দিনের কাউন্টডাউনও চলছে, অথবা এটাও বলতে পারেন যে নিজেদের এবং সামাজিক প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকা নানা কার্যক্রম তিন মাস আগেই শুরু হয়েছে। এই যেমন দিল্লিতে শততম এবং ৭৫ তম দিনের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠান হয়েছে। তেমনি আসামের শিবসাগরে ৫০তম এবং হায়দ্রাবাদে ২৫তম কাউন্টডাউন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। আমি চাই যে আপনিও আপনার পরিসরে যোগ দিবসের প্রস্তুতি শুরু করুন। বেশি করে মানুষের সঙ্গে দেখা করুন, প্রত্যেককে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকার আহ্বান জানান, তাদের অনুপ্রাণিত করুন। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস যে আপনারা সকলেই যোগ দিবসের কর্মসূচীতে উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন আর এতে আপনারা প্রাত্যহিক জীবনেও যোগকে আপন করে নেবেন।  

বন্ধুরা কয়েকদিন আগে আমি জাপান গিয়েছিলাম। নিজের অনেক কাজের মাঝে মাঝেই কিছু সুন্দর মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি ‘মন কি বাতে’ আপনাদের তাঁদের কথা শোনাতে চাই। এঁরা জাপানের অধিবাসী কিন্তু ভারতের প্রতি এঁদের আশ্চর্য রকমের টান রয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন হিরোশি কোইকেজি রয়েছেন, যিনি একজন বিখ্যাত আর্ট ডিরেক্টর। আপনারা এটা জেনে খুশি হবেন যে উনি মহাভারত প্রকল্পকে পরিচালনা করেছেন। এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল কম্বোডিয়ায়। গত ৯ বছর ধরে এটা অনবরত চলছে। হিরোশি কোইকেজি প্রত্যেকটা কাজ অন্যরকম ভাবে সম্পন্ন করেন। উনি প্রতিবছর এশিয়ার কোন একটি দেশে যাত্রা করেন এবং সেখানকার স্থানীয় শিল্পী এবং সুরকারদের সঙ্গে মহাভারতের কিছু অংশ প্রযোজনা করেন।    

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওঁরা ভারত, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সমেত ৯টি দেশে প্রোডাকশন ও স্টেজ পারফর্মেন্সও করেছেন। হিরোশি কোইকে এমন সমস্ত শিল্পীদের একত্রে আনেন যাঁদের ধ্রুপদী ও চিরায়ত এশিয়ান পারফর্মিং আর্টে ডাইভার্স ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। এই কারণেই তাঁর পারফর্মেন্সগুলিতে ভিন্ন-ভিন্ন আঙ্গিক দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও জাপানের শিল্পীরা জাভা নৃত্য, বালী নৃত্য, থাই নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানগুলি আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে এখানে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলেন এবং নৃত্যশৈলীগুলি খুব সুন্দর ভাবে এই বৈচিত্র ফুটিয়ে তোলে আর সঙ্গীতের বৈচিত্র এই প্রোডাকশনগুলিকে আরও প্রাণবন্ত করে দেয়। এঁদের উদ্দেশ্য আমাদের সমাজে বৈচিত্র ও সহাবস্থানের গুরুত্বটি সামনে আনা এবং শান্তির প্রকৃত রুপ কী – সেটা তুলে ধরা। এঁদের ছাড়া আমি জাপানে আর যে দু’জন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলাম তাঁরা হলেন আতসুশি মাতসুও ও কেঞ্জি ইয়োশি। এঁরা দু’জনেই টিইএম প্রোডাকশন কোম্পানীর সঙ্গে যুক্ত। এই কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে রামায়ণের সেই জাপানিজ অ্যানিমেশন ফিল্মটির, যেটি ১৯৯৩ সালে রিলিজ হয়। এই প্রজেক্টটির জাপানের বিখ্যাত ফিল্ম ডিরেক্টর য়ুগো সাকোর সঙ্গেও যোগ ছিল। প্রায় ৪০ বছর আগে, ১৯৮৩-তে উনি রামায়ণের ব্যাপারে প্রথমবার শোনেন। রামায়ণ ওঁর হৃদয় স্পর্শ করে, যার পর তিনি এই বিষয়ে আরও গভীরে গিয়ে গবেষণা করতে শুরু করেন। এটুকুই নয়, উনি নিজের ভাষায় রামায়ণের ১০টি সংস্করণ পড়ে ফেলেন এবং তিনি এখানেই থামেন নি, উনি এই মহাকাব্যটিকে  অ্যানিমেশনেও নিয়ে আসতে চান।    

এ কাজে ভারতীয়  অ্যানিমেটররাও তাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত ভারতীয় রীতিনীতি ও পরম্পরা সম্বন্ধে তাদের নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে ভারতীয়রা ধুতি কিভাবে পরেন, শাড়ি কিভাবে পরেন, কেশসজ্জা কিভাবে করেন, বাচ্চারা পরিবারের অন্যান্যদের ও একে অপরকে কিভাবে সম্মান প্রদর্শন করেন, আশীর্বাদের পরম্পরাটি কি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বয়ো: জ্যেষ্ঠদের প্রণাম করা, তাদের আশীর্বাদ নেওয়া, এই সমস্ত কিছু আজ ৩০ বছর পর এই অ্যানিমেশন ফিল্মের মাধ্যমে আবারো 4K তে রিমাস্টার করা হচ্ছে। এই প্রোজেক্টটি শীঘ্রই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের জাপানের মানুষেরা, যারা আমাদের ভাষা জানেন না, আমাদের রীতিনীতি, পরম্পরা  সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই, তাদের ভারতীয় সংস্কৃতির জন্য এই আত্মনিবেদন, এই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কোন ভারতীয় এতে গর্ববোধ করবেন না বলুন তো?  

আমার প্রিয় দেশবাসী, আত্মচিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সেবা করার মন্ত্র, সেল্ফ ফর সোসাইটির মন্ত্র আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ। আমাদের দেশে অগণিত মানুষ এই মন্ত্রকে নিজেদের জীবনের ধ্যান জ্ঞান করেছেন। আমি অন্ধ্রপ্রদেশের মরকাপুরমের বাসিন্দা এক বন্ধু, রামভূপাল রেড্ডিজির সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন, রামভূপাল রেড্ডিজি অবসরগ্রহণের পর প্রাপ্য তাঁর সমস্ত উপার্জন মেয়েদের শিক্ষার জন্য দান করেছেন। তিনি প্রায় ১০০ জন মেয়ের জন্য সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন, আর তাতে নিজের ২৫ লক্ষেরও বেশি টাকা জমা করেছেন। সেবার এমনই আরেকটি উদাহরণ ইউ.পি তে আগ্রার কচৌরা গ্রামে রয়েছে। অনেক বছর ধরেই এই গ্রামে মিষ্টি জলের অভাব ছিল। ইতোমধ্যে গ্রামের এক কৃষক কুঁয়ার সিং গ্রাম থেকে ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে নিজের ক্ষেতে মিষ্টি জলের সন্ধান পান। এটা তার কাছে খুবই আনন্দের বিষয় ছিল। তিনি ভাবলেন, এই জল দিয়ে বাকি সব গ্রামবাসীদেরও সেবা করা যাক!   

কিন্তু ক্ষেত থেকে গ্রাম পর্যন্ত জল পৌঁছাতে ৩০ থেকে ৩২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল। কিছুদিন পর, কুঁওয়ার সিংয়ের ছোট ভাই শ্যাম সিং সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে হওয়ার পর গ্রামে আসেন, তখন তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি অবসরগ্রহণের পর  পাওয়া তাঁর সমস্ত অর্থ এই কাজের জন্য তুলে দেন এবং ক্ষেত থেকে গ্রামে পাইপলাইনের এর মাধ্যমে গ্রামবাসীদের মিষ্টি জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। যদি আন্তরিকতা থাকে ও আপনি আপনার কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠাবান হন, তাহলে একজন ব্যক্তিও কীভাবে পুরো সমাজের ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারে, এই প্রচেষ্টা তার একটি বড় প্রেরণাদায়ক উদাহরণ। এই কর্তব্য-পথে চলেই আমরা শক্তিশালী সমাজ গড়তে পারি, দেশকে ক্ষমতাশালী করে তুলতে পারি। স্বাধীনতার এই অমৃত মহোৎসবে এই হওয়া উচিত আমাদের সংকল্প এবং এই হওয়া উচিত আমাদের সাধনা – যার একমাত্র পথ কর্তব্য, কর্তব্য ও কর্তব্য।  

আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ “মন কি বাত”-এ আমরা সমাজ সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আপনারা সবাই বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমায় পাঠান এবং তার ভিত্তিতে আমাদের আলোচনা এগোয়। “মন কি বাত”-এর পরবর্তী সংস্করণের জন্য আপনারা আপনাদের পরামর্শ পাঠাতে ভুলবেন না। বর্তমানে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব সংক্রান্ত যেসব অনুষ্ঠান চলছে, আপনি যেগুলিতে অংশ নিচ্ছেন, সেগুলি সম্পর্কে আমায় অবশ্যই জানাবেন। আমি নমো অ্যাপ এবং মাই গভ সম্পর্কিত আপনাদের পরামর্শের অপেক্ষায় রয়েছি। পরের বার আমাদের আবার দেখা হবে, আবার দেশবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে এরকমই অনেক বিষয়ের উপর কথা হবে। আপনি নিজের যত্ন নিন এবং আপনার চারপাশের সমস্ত প্রাণীর যত্ন নিন। এই গ্রীষ্মে, পশু-পাখিদের জন্য খাদ্য এবং জল সরবরাহ করার আপনার মানবিক দায়িত্ব পালন করুন, ততদিন পর্যন্ত আপনাদের জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

( প্রধানমন্ত্রীর পুরো অনুষ্ঠানটি হিন্দিতে সম্প্রচারিত হয়েছে)

 

CG/CB/