নমস্কার!
ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সঙ্গে যুক্ত গোটা বিশ্বের বিদ্বান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আজ যখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি তখন ভারত বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর আরও একটি ঢেউ প্রতিরোধে অত্যন্ত সাবধানতা ও সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করছে। পাশাপাশি, ভারত আর্থিক ক্ষেত্রেও বেশ কিছু আশাব্যঞ্জক পরিণাম নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ভারতে আজ দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পূর্তি উৎসব পালনের উৎসাহও রয়েছে আর ভারত আজ মাত্র এক বছরের মধ্যে ১৬০ কোটি করোনা টিকার ডোজ প্রদানের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ।
বন্ধুগণ,
ভারতের মতো শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ গোটা বিশ্বকে একটি সুন্দর উপহার দিয়েছে, একটি ‘বুকে অফ হোপ’ বা আশার গুচ্ছ দিয়েছে। এই ‘বুকে অফ হোপ’-এ রয়েছে সমস্ত ভারতবাসীর গণতন্ত্রের ওপর অটুট আস্থা। এই ‘বুকে অফ হোপ’-এ রয়েছে একবিংশ শতাব্দীকে ‘এমপাওয়ার’ বা ক্ষমতায়িত করার মতো প্রযুক্তির সম্ভার। এই ‘বুকে অফ হোপ’-এ রয়েছে সমস্ত ভারতবাসীর ‘টেমপারামেন্ট’ বা লড়াকু মেজাজ, রয়েছে সমস্ত ভারতবাসীর মেধা। যে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতির আবহে আমরা ভারতীয়রা থাকি, তা শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের জন্য একটি অনেক বড় শক্তির উৎস। এই শক্তি সঙ্কটের মুহূর্তে শুধু নিজেদের জন্য ভাবে না, সমগ্র মানবতার কল্যাণে কাজ করে, এবং কাজ করা শেখায়। করোনার এই সঙ্কটকালে আমরা দেখেছি কিভাবে ভারত ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান হেলথ’ বা এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য – এই ভাবনা নিয়ে এগিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পৌঁছে দিয়েছে, টিকা পৌঁছে দিয়েছে, কোটি কোটি জীবন রক্ষা করেছে। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ফার্মা প্রোডিউসার বা ঔষধ নির্মাতা দেশ। আজ ভারতকে ‘ফার্মেসি টু দ্য ওয়ার্ল্ড’ বলা হচ্ছে। আজ ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম যেখানকার স্বাস্থ্য পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন, যেখানকার চিকিৎসক ও সেবিকারা প্রতিদিন তাঁদের সংবেদনশীলতা এবং বিশেষজ্ঞতার মাধ্যমে সকলের ভরসা, সকলের মন জয় করে নিচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
সংবেদনশীলতা, সঙ্কটের সময়েই এর আসল পরীক্ষা হয়। কিন্তু ভারতের সামর্থ্য এই সময় গোটা বিশ্বের জন্য উদাহরণস্বরূপ। এই সঙ্কটের সময় ভারতের আইটি সেক্টর বা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র প্রতিদিন ক্রমাগত ২৪ ঘন্টা কাজ করে বিশ্বের সমস্ত দেশকে অনেক বড় সমস্যা থেকে বাঁচিয়েছে। আজ ভারত সারা পৃথিবীতে রেকর্ড সংখ্যক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পাঠাচ্ছে। তাছাড়া, ভারতের মধ্যেই ৫০ লক্ষেরও বেশি সফটওয়্যার ডেভেলপার উদ্ভাবনের কাজ করছেন। আজ ভারতে ইউনিকর্ন-এর সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। ১০ হাজারেরও বেশি স্টার্ট-আপ বিগত ছয় মাসে রেজিস্টার হয়েছে। আজ ভারতের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম, নিরাপদ এবং সফল ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। শুধু গত মাসের উদাহরণ যদি তুলে ধরি, তাহলে ভারতে ইউপিআই বা ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেসের মাধ্যমে ৪.৪ বিলিয়ন লেনদেন হয়েছে।
বন্ধুগণ,
বিগত বছরগুলিতে ভারত উদ্ভাবন ও জনগণের ব্যবহার-বান্ধব করে তোলার মাধ্যমে যে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে তা আজ ভারতের অনেক বড় ক্ষমতা, অনেক বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। করোনা সংক্রমণ ট্র্যাকিং-এর জন্য ‘আরোগ্য সেতু অ্যাপ’ এবং টিকাকরণের জন্য ‘কোউইন পোর্টাল’-এর মতো প্রযুক্তিগত সমাধানগুলি ভারতের জন্য গর্বের বিষয়। ভারতের কোউইন পোর্টালে স্লট বুকিং থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট জেনারেশনের যে অনলাইন ব্যবস্থা রয়েছে তা অনেক বড় বড় দেশের মানুষকে আকর্ষিত করেছে।
বন্ধুগণ,
একটা সময় ছিল যখন ‘লাইসেন্স রাজ’ ভারতের পরিচয় হয়ে উঠেছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রই সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল, আর আমি মনে করি, এগুলিই ছিল ভারতের ব্যবসা স্থাপনের সবচাইতে বড় প্রতিকূলতা। আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্রমাগত এই প্রতিকূলতাগুলিকে দূর করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ ভারত ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’কে উৎসাহ যোগাচ্ছে। সব ক্ষেত্রে সরকারের দখলদারি হ্রাস করছে। ভারত আজ নিজের কর্পোরেট করের হার সরলীকরণ করে, ন্যূনতম করে একে গোটা বিশ্বে সবচাইতে বেশি প্রতিযোগিতামূলক করে তুলেছে। গত বছরই আমরা এক্ষেত্রে ২৫ হাজারেরও বেশি ‘কমপ্লায়েন্সেস’ কমাতে পেরেছি। ভারত নিজের ‘রেট্রোস্পেক্টিভ ট্যাক্সেস’-এর মতো বিষয়ে সংস্কার এনে ব্যবসায়ী মহলের বিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। ভারত ড্রোন প্রযুক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তি, জিওস্পেশিয়াল ম্যাপিং ইত্যাদি বেশ কিছু ক্ষেত্রকেও ‘ডি-রেগুলেট’ করেছে। ভারত আইটি সেক্টর এবং বিপিও-র সঙ্গে যুক্ত কালবাহ্য টেলিকম আইনগুলিতে বড় ধরনের সংস্কার এনেছে।
বন্ধুগণ,
ভারত আজ ‘গ্লোবাল সাপ্লাই চেন’ বা বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি ভরসা করার মতো অংশীদার হয়ে ওঠার জন্য দায়বদ্ধ। আমরা ক্রমে অনেক দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পথ তৈরি করছি। ভারতীয়দের মধ্যে ‘ইনোভেশন’ বা উদ্ভাবনকে, নতুন প্রযুক্তিকে আপন করে নেওয়া, রপ্ত করে নেওয়ার যে ক্ষমতা রয়েছে, আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপের যে ‘স্পিরিট’ রয়েছে তা আমাদের প্রত্যেক গ্লোবাল পার্টনারকে নতুন প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত করতে পারে। সেজন্য ভারতে বিনিয়োগের জন্য এটাই সব থেকে ভালো সময়। ভারতীয় নবীন প্রজন্মের মধ্যে আজ আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপ একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ২০১৪ সালে যেখানে ভারতে মাত্র কয়েকশ’ রেজিস্টার্ড স্টার্ট-আপ ছিল, সেখানে আজ এগুলির সংখ্যা ৬০ হাজার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে এখন ৮০টিরও বেশি ইউনিকর্ন হয়ে উঠেছে, যেগুলির মধ্যে ৪০টির বেশি ২০২১-এই স্থাপিত হয়েছে। যেভাবে ‘ইক্স-পিএটি’ ভারতীয়রা বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করছেন, সেভাবেই ভারতীয় যুবক-যুবতীরা আপনাদের সকলের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে ভারতকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত, সম্পূর্ণ রূপে তৎপর।
বন্ধুগণ,
‘ডিপ ইকনমিক রিফর্মস’ নিয়ে ভারতের দায়বদ্ধতা ভারতকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচাইতে আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তোলার আরও একটি বড় কারণ। করোনাকালে যখন বিশ্বে ‘কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং প্রোগ্রাম’-এর মতো ‘ইন্টারভেনশন্স’-এ গুরুত্ব দিচ্ছিল, তখন ভারত সংস্কারের পথকে পোক্ত করেছে। ডিজিটাল এবং ফিজিকাল পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তোলার সবচাইতে বড় বড় প্রকল্পগুলিকেই করোনার সঙ্কটকালেই অভূতপূর্ব গতি প্রদান করা হয়েছে। দেশের ৬ লক্ষেরও বেশি গ্রামকে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে বিশেষ করে, ‘কানেক্টিভিটি’ সংক্রান্ত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ‘অ্যাসেট মনিটাইজেশন’-এর উদ্ভাবক ‘ফাইনান্সিং টুলস’-এর মাধ্যমে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে একটাই প্ল্যাটফর্মে আনার জন্য ভারত ‘গতি শক্তি – ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’ শুরু করা হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে সংহতভাবে পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নের কাজ করা হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য, মানুষজন এবং পরিষেবার ‘সিমলেস কানেক্টিভিটি’ এবং ‘মুভমেন্ট’-এ একটি নতুন গতি আসবে।
বন্ধুগণ,
আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে ভারতের অগ্রাধিকার শুধুই প্রক্রিয়াগুলিকে সহজ করা নয়, পাশাপাশি বিনিয়োগ এবং উৎপাদনকেও ‘ইনসেন্টিভাইজ’ করা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আজ ১৪টি ক্ষেত্রে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ স্কিম’ চালু করা হয়েছে। ফ্যাব, চিপ এবং ডিসপ্লে শিল্প স্থাপনের জন্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘ইনসেন্টিভ প্ল্যান’ আমার বক্তব্যকে প্রমাণ করে যে বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলকে মসৃণ করে তুলতে ভারত কতটা দায়বদ্ধ। আমরা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। টেলিকম, ইনস্যুরেন্স, ডিফেন্স, এরোস্পেস-এর পাশাপাশি এখন সেমি-কন্ডাক্টর ক্ষেত্রেও ভারতের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ ভারত বর্তমানের পাশাপাশি আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্য নিয়ে একের পর এক নীতি প্রণয়ন করে যাচ্ছে, একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই করোনা কালখণ্ডে ভারত ‘হাই গ্রোথ, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস’-এর স্যাচুরেশনের লক্ষ্য রেখেছে। উন্নয়নের এই কালখণ্ড ‘গ্রিন’ বা পরিবেশ-বান্ধব হবে, ‘ক্লিন’ বা পরিচ্ছন্ন হবে, ‘সাসটেনেবেল’ বা টেকসই হবে এবং ‘রিলায়েবল’ বা ভরসাযোগ্য হবে। ‘গ্লোবাল গুডস’ বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সমস্ত পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেগুলি উৎপাদনের বড় দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করা এবং সেগুলির সফল বাস্তবায়নের পরম্পরা জারি রেখে আমরা ২০৭০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’র লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি। বিশ্বের ১৭ শতাংশ জনসংখ্যাসম্পন্ন দেশ ভারত যদিও বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের মাত্র ৫ শতাংশের জন্য দায়ী, মাত্র ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণই ভারতের কারণে হয়। কিন্তু পরিবেশের প্রতিকূলতাগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতা ১০০ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স বা আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘ এবং ‘কোয়ালিশন ফর ডিসাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন’-এর মতো উদ্যোগ এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ। বিগত বছরগুলির প্রচেষ্টার ফল হল, আজ আমাদের ‘এনার্জি নিডস’-এর ৪০ শতাংশ ‘নন-ফসিল’ উৎস থেকে আসছে। ভারত প্যারিস চুক্তিতে যে ঘোষণা করেছিল, সেই লক্ষ্যমাত্রা ভারতবাসী আজ থেকে নয় বছর আগেই অর্জন করে নিয়েছে।
বন্ধুগণ,
এই প্রচেষ্টাগুলির মাঝে আমাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে আমাদের অনেকের জীবনশৈলীও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রতিকূলতার সৃষ্টি করছে। ‘থ্রো অ্যাওয়ে কালচার’ বা যেখানে-সেখানে যা খুশি ছুঁড়ে ফেলার সংস্কৃতি এবং ‘কনজিউমারিজম’বা পণ্য সংস্কৃতি- ই পরিবেশের প্রতিকূলতাগুলিকে আরও গভীর তুলেছে। আজকের যে ‘টেক, মেক, ইউজ, ডিসপোজ’ প্রবণতা এবং এই প্রবণতা-নির্ভর যে অর্থনীতি, তাকে দ্রুতগতিতে আমাদের ‘সার্কুলার ইকনমি’র দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পরিবেশের স্বার্থে এই সংস্কৃতি রূপান্তরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সিওপি-২৬-এর যে ভাবনা নিয়ে আমরা চর্চা করলাম, তার মূলেও এই ভাবনাই রয়েছে। ‘LIFE’ – অর্থাৎ, ‘লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’ এমন ‘রেজিলিয়েন্ট’ এবং ‘সাসটেনেবল লাইফস্টাইল’-এর দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পরিবেশের সঙ্কটের পাশাপাশি ভবিষ্যতের অভাবনীয় সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। সেজন্য ‘মিশন লাইফ’-এর ‘গ্লোবাল মাস মুভমেন্ট’ গড়ে ওঠা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ‘লাইফ’-এর মতো গণ-অংশীদারিত্বের অভিযান যা আমাদের ‘পি-৩’র ভিত্তি করে তুলতে পারে। আর যখন আমি ‘পি-৩’ বলি তখন আমি ‘প্রো প্ল্যানেট পিপল’ বুঝি আর তাঁরাই গণ-অংশীদারিত্বের অনেক বড় ভিত্তি গড়ে তুলতে পারেন।
বন্ধুগণ,
আজ ২০২২ সালের সূচনাকালে যখন আমরা দাভোসের এই শীর্ষ সম্মেলনে আলাপ-আলোচনা, মন্থন করছি, আপনাদের আরও কিছু প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সচেতন এবং সতর্ক করাও ভারত তার দায়িত্ব বলে মনে করে। আজ ‘গ্লোবাল অর্ডার’-এ পরিবর্তনের পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক পরিবার রূপে আমরা যে সমস্যাগুলি মোকাবিলা করে আসছি, সেই সমস্যাগুলিও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলির মোকাবিলার জন্য প্রত্যেক দেশকে, প্রত্যেক আন্তর্জাতিক এজেন্সির মাধ্যমে, সম্মিলিতভাবে এবং পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজস রেখে, যৌথভাবে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। এই সরবরাহ শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে উদ্ভূত নানা বাধা ও প্রতিকূলতা, বিশ্বের সর্বত্র মুদ্রাস্ফীতি এবং আবহাওয়া পরিবর্তন এর উদাহরণ। আরও একটি উদাহরণ হল ক্রিপ্টো কারেন্সির আধিক্য। যে ধরনের প্রযুক্তি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তা কোনও একটি দেশের নেওয়া সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই প্রতিকূলতাগুলির মোকাবিলা করা এবং সমাধান সম্ভব নয়। আমাদের এক ধরনের ভাবনা নিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু আজ আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে যে ‘মাল্টি-ল্যাটারাল অর্গানাইজেশন’গুলি নতুন ‘ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ এবং নতুন নতুন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত কি? এই সামর্থ্য কি কারোর আছে? যখন এই সংস্থাগুলি গড়ে উঠেছিল, তখন পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। আজ পরিস্থিতি ভিন্নরকম। সেজন্য প্রত্যেক গণতান্ত্রিক দেশের এটা দায়িত্ব, যাতে আমরা মিলেমিশে এই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সংস্কারের জোর দিই, যাতে এগুলিকে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজ দাভোসে যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে তার লক্ষ্যও এই ইতিবাচক বার্তালাপের দিকে যাবে।
বন্ধুগণ,
নতুন নতুন প্রতিকূলতার মধ্যে আজ বিশ্বের নতুন নতুন পথ খোঁজার প্রয়োজন রয়েছে, নতুন নতুন সঙ্কল্প গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। আজ বিশ্বের প্রত্যেক দেশকে পরস্পরের সহযোগিতায় আগের থেকে বেশি এগিয়ে আসতে হবে। এটাই উন্নত ভবিষ্যতের সঠিক পথ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে দাভোসে আজ যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে তা এই ভাবনাকেই আরও সম্প্রসারিত করবে। আমি আরও একবার আপনাদের সবার সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি দেখা হওয়ার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি, কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
CG/SB/DM/
Addressing the World Economic Forum's #DavosAgenda. @wef https://t.co/SIjcQ741NB
— Narendra Modi (@narendramodi) January 17, 2022
भारत जैसी मजबूत डेमोक्रेसी ने पूरे विश्व को एक खूबसूरत उपहार दिया है, एक bouquet of hope दिया है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
इस bouquet में है, हम भारतीयों का डेमोक्रेसी पर अटूट Trust: PM @narendramodi
इस bouquet में है, 21वीं सदी को Empower करने वाली Technology,
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
इस bouquet में है, हम भारतीयों का Temperament, हम भारतीयों का Talent: PM @narendramodi
कोरोना के इस समय में हमने देखा है कि कैसे भारत ‘One Earth, One Health’ के विजन पर चलते हुए, अनेकों देशों को जरूरी दवाइयां देकर, वैक्सीन देकर, करोड़ों जीवन बचा रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
आज भारत दुनिया का तीसरा सबसे बड़ा pharma producer है, pharmacy to the world है: PM @narendramodi
आज भारत, दुनिया में रिकॉर्ड software engineers भेज रहा है। 50 लाख से ज्यादा software developers भारत में काम कर रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
आज भारत में दुनिया में तीसरे नंबर के सबसे ज्यादा Unicorns हैं। 10 हजार से ज्यादा स्टार्ट-अप्स पिछले 6 महीने में रजिस्टर हुए हैं: PM @narendramodi
आज भारत के पास विश्व का बड़ा, सुरक्षित और सफल digital payments platform है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
सिर्फ पिछले महीने की ही बात करूं तो भारत में Unified Payments Interface के माध्यम से 4.4 बिलियन transaction हुए हैं: PM @narendramodi
आज भारत Ease of Doing Business को बढ़ावा दे रहा है, सरकार के दखल को कम से कम कर रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
भारत ने अपने corporate tax rates को simplify करके, कम करके, उसे दुनिया में most competitive बनाया है।
बीते साल ही हमने 25 हज़ार से ज्यादा compliances कम किए हैं: PM @narendramodi
आज भारत Ease of Doing Business को बढ़ावा दे रहा है, सरकार के दखल को कम से कम कर रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
भारत ने अपने corporate tax rates को simplify करके, कम करके, उसे दुनिया में most competitive बनाया है।
बीते साल ही हमने 25 हज़ार से ज्यादा compliances कम किए हैं: PM @narendramodi
भारतीयों में Innovation की, नई Technology को Adopt करने की जो क्षमता है, entrepreneurship की जो स्पिरिट है, वो हमारे हर ग्लोबल पार्टनर को नई ऊर्जा दे सकती है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
इसलिए भारत में इन्वेस्टमेंट का ये सबसे best time है: PM @narendramodi
भारतीय युवाओं में आज entrepreneurship, एक नई ऊंचाई पर है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
2014 में जहां भारत में कुछ सौ रजिस्टर्ड स्टार्ट अप थे। वहीं आज इनकी संख्या 60 हजार के पार हो चुकी है।
इसमें भी 80 से ज्यादा यूनिकॉर्न्स हैं, जिसमें से 40 से ज्यादा तो 2021 में ही बने हैं: PM @narendramodi
आत्मनिर्भरता के रास्ते पर चलते हुए भारत का फोकस सिर्फ Processes को आसान करने पर ही नहीं है, बल्कि Investment और Production को इन्सेन्टीवाइज करने पर भी है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
इसी अप्रोच के साथ आज 14 सेक्टर्स में 26 बिलियन डॉलर की Production Linked Incentive schemes लागू की गई हैं: PM @narendramodi
आज भारत वर्तमान के साथ ही अगले 25 वर्षों के लक्ष्य को लेकर नीतियां बना रहा है, निर्णय ले रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
इस कालखंड में भारत ने high growth के, welfare और wellness की saturation के लक्ष्य रखे हैं।
ग्रोथ का ये कालखंड green भी होगा, clean भी होगा, sustainable भी होगा, reliable भी होगा: PM
हमें ये मानना होगा कि हमारी Lifestyle भी Climate के लिए बड़ी चुनौती है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
‘Throw away’ Culture और Consumerism ने Climate Challenge को और गंभीर बना दिया है।
आज की जो ‘take-make-use-dispose’ economy है, उसको तेज़ी से circular economy की तरफ बढ़ाना बहुत ज़रूरी है: PM @narendramodi
मिशन LIFE का global mass movement बनना ज़रूरी है।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
LIFE जैसे जनभागीदारी के अभियान को हम P-3, ‘Pro Planet People’ का एक बड़ा आधार भी बना सकते हैं: PM @narendramodi
आज global order में बदलाव के साथ ही एक वैश्विक परिवार के तौर पर हम जिन चुनौतियों का सामना करते रहे हैं, वो भी बढ़ रही हैं।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
इनसे मुकाबला करने के लिए हर देश, हर वैश्विक एजेंसी द्वारा collective और synchronized action की जरूरत है: PM @narendramodi
ये supply chain के disruptions, inflation और Climate Change इन्हीं के उदाहरण हैं।
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
एक और उदाहरण है- cryptocurrency का।
जिस तरह की टेक्नोलॉजी इससे जुड़ी है, उसमें किसी एक देश द्वारा लिए गए फैसले, इसकी चुनौतियों से निपटने में अपर्याप्त होंगे। हमें एक समान सोच रखनी होगी: PM
आज वैश्विक परिदृष्य को देखते हुए, सवाल ये भी है कि multilateral organizations, नए वर्ल्ड ऑर्डर और नई चुनौतियों से निपटने के लिए तैयार हैं?
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022
जब ये संस्थाएं बनी थीं, तो स्थितियां कुछ और थीं। आज परिस्थितियां कुछ और हैं: PM @narendramodi
इसलिए हर लोकतांत्रित देश का ये दायित्व है कि इन संस्थाओं में Reforms पर बल दे ताकि इन्हें वर्तमान और भविष्य की चुनौतियों से निपटने में सक्षम बनाया जा सके: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) January 17, 2022