Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বিজয় দশমীর শুভ মুহূর্তে ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা

বিজয় দশমীর শুভ মুহূর্তে ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা


নতুন দিল্লি,  ১৫ অক্টোবর, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি এক ভিডিও বার্তাও প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এবং প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী অজয় ভট্টও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিজয় দশমীর শুভ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেন এবং জানান, এই দিনেই অস্ত্র এবং সামরিক সম্ভারের পুজোর ঐতিহ্য রয়েছে। তিনি জানান ভারতে, আমরা শক্তিকে সৃষ্টির মাধ্যম হিসেবে দেখি। এই উৎসাহের সঙ্গে দেশ পরাক্রমের দিকে এগিয়ে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী এদিন ডঃ এপিজে আব্দুল কালামকেও শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন যে, ডঃ কালাম এক শক্তিশালী দেশ গঠনের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি পুনর্গঠন এবং ৭টি সংস্থা তৈরির মধ্যে দিয়ে ডঃ কালামের শক্তিশালী ভারত গঠনের স্বপ্ন আরও মজবুত হবে। শ্রী মোদী আরও জানান, ভারতের স্বাধীনতার অমৃতকালের সময় দেশ যখন এক নতুন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে তখন এই প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি সেই সংকল্পেরই অঙ্গ। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংস্থাগুলি তৈরির সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল এবং এই নতুন ৭টি সংস্থা আগামী দিনে দেশের সামরিক শক্তি ক্ষেত্রে এক শক্তিশালী ভিত তৈরি করবে। ভারতীয় অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি গৌরবময় অতীতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই সংস্থাগুলির উন্নতিসাধনের প্রক্রিয়া উপেক্ষা করা হয়েছিল, যার ফলে দেশের প্রয়োজনে বিদেশী সরবরাহকারীদের ওপর ভারতকে নির্ভর করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “এই ৭টি প্রতিরক্ষা সংস্থা পরিস্থিতি পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা পালন করবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই নতুন সংস্থাগুলি আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে আমদানির বিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শ্রী মোদী আরও বলেন, ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্ডার বুক কর মাধ্যমে এই সংস্থাগুলির প্রতি দেশের ক্রমবর্ধমান আস্থায় প্রতিফলিত হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক অতীতে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও সংস্কারের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা, আমূল পরিবর্তন এবং প্রযুক্তি নির্ভরতার ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। তিনি বলেন, এখন বেসরকারি ও সরকারি ক্ষেত্র জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্যে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তিনি উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর প্রতিরক্ষা করিডরের নতুন পদ্ধতির কথা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে নীতিগত পরিবর্তনের সুফল দেখতে পারছে দেশের এমএসএমই ক্ষেত্রগুলি। তিনি আরও জানান, “গত ৫ বছরে আমাদের প্রতিরক্ষা রপ্তানি ৩২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” 

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, সরকারের লক্ষ্যই হলো দেশীয় সংস্থাগুলিকে কেবলমাত্র দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা নয়, বরং উৎপাদিত পণ্যগুলিকে বিশ্বের বাজারে ব্র্যান্ডে পরিণত করা। প্রতিযোগিতাকে আমাদের শক্তি, গুণমান ও নির্ভরযোগ্যতা আমাদের পরিচয় হিসেবে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি। শ্রী মোদী আরও উল্লেখ করেন যে, একবিংশ শতাব্দীতে যে কোনো দেশের বৃদ্ধি ও ব্র্যান্ড ভ্যালু অথবা কোনো সংস্থার পরিচিতি তার উদ্ভাবন এবং গবেষণা ও উন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল। তিনি নতুন সংস্থাগুলির কাছে আবেদন রাখেন যে, গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা যেন তাদের কর্ম সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে ওঠে। এতে তারা ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারবে। তিনি বলেন, এই পুনর্গঠন নতুন সংস্থাগুলিকে উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও সায়ত্বশাসন প্রদান করবে এবং নতুন সংস্থাগুলিকে এই ধরণের কর্মকাণ্ডে উৎসাহ যোগাবে। প্রধানমন্ত্রী এই সংস্থাগুলিকে স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রে এক নতুন যাত্রা পথের অঙ্গ হওয়ার আবেদন জানান এবং একে অপরের গবেষণা – দক্ষতাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, সরকার এই নতুন সংস্থাগুলিকে শুধু উন্নত উৎপাদন পরিবেশ প্রদান করেনি বরং সম্পূর্ণ কার্যকরী সায়ত্বশাসনও দিয়েছে। সরকার কর্মচারিদের স্বার্থ সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধ পরিকর বলেও পুনরায় জানান তিনি। 

কার্যকরি সায়ত্বশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নতুন উন্নতির সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনের পথ উন্মুক্ত করার জন্য সরকার অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে একটি সরকারি বিভাগ থেকে ৭টি ১০০ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত কর্পোরেট সত্তায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রস্তুতিতে আত্মনির্ভরতার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা হলো – মুনিশন্স ইন্ডিয়া লিমিটেড (এমআইএল), আর্মুড ভেহিকেলস নিগম লিমিটেড (এভিএএনআই), অ্যাডভান্স উয়েপন্স অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (এডাবলুই ইন্ডিয়া), ট্রুপ কমফোর্ট লিমিটেড (টিসিএল) (ট্রুপ কমফোর্ট আইটেম), যন্ত্র ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওয়াইআইএল), ইন্ডিয়া অপটেল লিমিটেড (আইওএল) এবং গ্লাইডার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড (জিআইএল)।

 

CG/SS/SKD/