Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত মিশন-আর্বান ২.০ এবং অম্রুত ২.০-এর সূচনা করেছেন

প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত মিশন-আর্বান ২.০ এবং অম্রুত ২.০-এর সূচনা করেছেন


নয়াদিল্লী, ০১   অক্টোবর, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ স্বচ্ছ ভারত মিশন-আর্বান ২.০ এবং অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন অ্যান্ড আর্বান ট্রান্সফরর্মেশন ‘অম্রুত’ ২.০-এর সূচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী, শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, শ্রী কৌশল কিশোর, শ্রী বিশ্বেশ্বর টুডু, বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা, পুরসভার মেয়র ও চেয়ারপার্সন এবং পুর কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। 

এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন ২০১৪ সালে দেশবাসী ভারতকে খোলা স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নিয়েছিলেন। সেই অঙ্গীকার পূরণে তাঁরা ১০ কোটির বেশি শৌচাগার নির্মাণ করেছেন। এখন স্বচ্ছ ভারত মিশন আর্বান ২.০-এর লক্ষ্য হল শহরাঞ্চলকে সম্পূর্ণ জঞ্জাল মুক্ত করা। প্রধানমন্ত্রী মিশন অম্রুতের পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের পয়ঃনিকাশী ও সেপ্টিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে, আমাদের শহরগুলিতে বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নদীতে যাতে কোনো নর্দমার জল না পরে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী শহরাঞ্চলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার সাফল্য মহাত্মা গান্ধীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধীর অনুপ্রেরণার ফলেই এই লক্ষ্যগুলি অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। তাঁর আদর্শের মধ্য দিয়ে আমরা এগুলিকে বাস্তবায়িত করছি। আজ শৌচাগার নির্মাণের ফলে আমাদের মা এবং বোনেদের অনেক সুবিধা হয়েছে। 

দেশের ভাবনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান ও অম্রুত মিশন প্রত্যেক দেশবাসীকে গর্বিত করেছে। তিনি বলেন “স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং অম্রুত মিশনের যাত্রাপথের একটি উদ্দেশ্য রয়েছে, সম্মান রয়েছে, মর্যাদা আছে, দেশের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে এবং মাতৃভূমির প্রতি অতুলনীয় ভালোবাসা রয়েছে”।   

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানটি আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত হচ্ছে। বাবাসাহেব বিশ্বাস করতেন শহরাঞ্চলের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বৈষম্যকে দূর করা সম্ভব। গ্রাম থেকে বহু মানুষ উন্নত জীবনের সন্ধানে শহরে আসেন। তারা কাজ পান, কিন্তু তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়না। গ্রামের থেকেও খারাপ অবস্থা হয়। বাড়ি থেকে দূরে এসে তারা আরও সংকটে পরেন। বাবাসাহেব তাই এই অসাম্য দূর করার ওপর গুরুত্ব দিতেন। স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং মিশন অম্রুতের দ্বিতীয় পর্ব তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে বাবাসাহেবের স্বপ্ন পূরণ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস স্বচ্ছতা অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। স্বচ্ছতা অভিযানে জন অংশীদারিত্বের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রজন্ম এই প্রয়াসকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছে। এখন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা টফির কাগজ রাস্তায় না ফেলে পকেটে করে নিয়ে যায়। তারা বড়দের জায়গা নোংরা করতে বারণ করে। “প্রত্যেকের জন্য, প্রতিদিন, প্রত্যেক পাক্ষিকে, প্রত্যেক বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্বচ্ছতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান।  স্বচ্ছতা হল জীবনশৈলী, স্বচ্ছতা হল জীবনের মন্ত্র”। তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তাঁর উদ্যোগের কথা এখানে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গুজরাটের পর্যটন সম্ভাবনাকে বাড়ানোর জন্য নির্মল গুজরাট কর্মসূচিকে জন আন্দোলনে পরিণত করা হয়।   

স্বচ্ছতা অভিযানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আজ ভারতে প্রতিদিন ১ লক্ষ টন বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। দেশে ২০১৪ সালে স্বচ্ছতা অভিযান যখন শুরু হয়, সেই সময় ২০ শতাংশেরও কম বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ করা হত। আজ আমরা প্রতিদিন ৭০ শতাংশ বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ করছি। আমাদের ১০০ শতাংশ বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। ২০১৪ সালে এই মন্ত্রকের বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। ৭ বছর পরে এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ কোটি টাকা। 

দেশের শহরগুলির উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে। শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে ন্যাশনাল অটোমোবাইল স্ক্র্যাপেজ পলিসির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন নতুন এই নীতি বর্জ্য পদার্থকে সম্পদে পরিণত করার বৃত্তীয় অর্থনীতির অভিযানকে শক্তিশালী করে তুলেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোন শহরের উন্নয়নে রাস্তার হকাররা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তিনি বলেন, পিএম স্বনিধি যোজনা এঁদের জীবনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। স্বনিধি প্রকল্পের সুবিধা বহু হকার নিয়েছেন। ২৫ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। এইসব হকাররা ডিজিটাল লেনদেনকে জনপ্রিয় করে তুলছে, তারা সঠিক সময়ে তাদের ঋণ পরিশোধ করছেন। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের মতো বড় বড় রাজ্যগুলি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।   

 

CG/CB/NS